মীরাবাঈ চানুর আত্মজীবনী এবার বড় পর্দায়, মণিপুরী ছবিতে অলিম্পিকে রূপো জয়ীর কীর্তি ফুটে উঠবে
মীরাবাঈ চানুর আত্মজীবনী এবার বড় পর্দায়
এবার মীরাবাঈ সাইখোম চানুর আত্মজীবনী ফুটে উঠবে বড় পর্দায়। মেরি কম, সাইনা নেহওয়ালের পর এবার চানুর বায়োপিক তৈরি হবে। ২১ বছরের খরা কাটিয়ে ভারোত্তোলনে দেশকে অলিম্পিক্স পদক এনে দিয়েছেন মীরাবাঈ সাইখম চানু। তাঁর হাত ধরেই চলতি টোকিও অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে এসেছে প্রথম পদক। মণিপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে কীভাবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন, কীভাবে দারিদ্রকে হারিয়ে লক্ষ্যে অবিচল থাকলেন, চানুর জীবনের এসব কাহিনিই এবার ভেসে উঠবে রুপোলি পর্দায়।
মণিপুরী ছবিতে অলিম্পিক্স পদকজয়ীর জীবনী ফুটে উঠবে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে ইম্ফলের সেউতি ফিল্মস প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও নাকি হয়ে গিয়েছে চানুর। উচ্ছ্বসিত ভারোত্তোলক ছবি সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে সইও করে দিয়েছেন বলে খবর। সদ্য রূপোর পদক নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন চানু। ২ বছর পর বাড়ির খাবার খেয়েছেন। মণিপুরের সরকার তাঁর জন্য এক কোটি টাকা পুরস্কার অর্থ ঘোষণা করেছে। চানুকে সম্মান জানিয়ে পুলিশের এএসপি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। চানুর অতি সাধারণ জীবন যাপন,পরিশ্রম ও সংগ্রাম নিয়ে এখনও নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেন।
জানা গিয়েছে এই ছবিটি মণিপুরী ভাষার পাশাপাশি ইংরাজি ও অন্যান্য কিছু ভাষাতেও মুক্তি পাবে। এবার প্রশ্ন হল, চানু চরিত্রে কাকে দেখা যাবে? প্রযোজনা সংস্থার তরফে মানাওবি জানান, 'মীরাবাঈ চানু হিসেবে মানাবে, এমন একজনকে আমরা খুঁজছি। বয়স, উচ্চতা, শরীরের গঠন- সবদিক থেকেই চানুর সঙ্গে মানানসই হওয়া প্রয়োজন। তারপর তাঁকে চানুর মতো করে ট্রেনিং দেওয়া হবে, যাতে অভিনয় সাবলীল হয়। সব মিলিয়ে শুটিং শুরু হতে এখনও মাস ছয়েক দেরি।’ তবে বলিউড চানুকে নিয়ে আত্মজীবনী করবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি তবে বলিউডে বায়োপিকের তালিকায় চানুর নাম নতুন করে যুক্ত হল।
৪৯ কেজি বিভাগে রূপো জয় করেছেন চানু। সোমবারই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগের ঘটনা। রিও অলিম্পিকের ঠিক আগে। নিজের গয়না বিক্রি করে চানুর জন্য একজোড়া কানের দুল বানিয়ে দিয়েছিলেন চানুর মা। দুলজোড়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তার গড়ন অলিম্পিক্স রিংয়ের মতো। সেই দুল পরে রিও অলিম্পিক জয় করতে পারেননি। তবে টোকিও থেকে পদক জিতে ফিরেছেন চানু। ইম্ফল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চানুর গ্রাম নঙ্গপক কাকচিংয়ে উৎসবের আবহ।