করোনার জন্য লকডাউন, ২১ দিনে দেখুন ২১টি বলিউড ছবি
করোনার জন্য লকডাউন, ২১ দিনে দেখুন ২১টি বলিউড ছবি
করোনা ভাইরাসের জেরে ২১ দিন লকডাউনের ঘোষণা। তার মানে বাড়ি থেকে এক পাও বেড়নো চলবে না। এরকম অবস্থায় অনেকেই সময় কি করে কাটাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। রান্না করে বা বাড়ির কাজ করার পরও মনে হচ্ছে সময়টা আর কাটছে না। কারণ এখন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ২৪ ঘণ্টার জন্যই ঘরবন্দী হয়ে রয়েছেন। তবে এই সময় একটা কাজ করা যেতেই পারে তা হল বিভিন্ন ধরনের পুরনো নতুন সিনেমা দেখা। সিনেমা দেখতে সকলেই ভালোবাসেন আর অনেক সময়ই কাজের চাপে বা অন্য কিছুর জন্য সেটা দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। এই কোয়ারান্টাইন সময়টাকে তাই কাজে লাগিয়ে সিনেমা দেখুন।
গোলমাল (১৯৭৯)
ভবানী শঙ্করের ভূমিকায় উৎপল দত্ত অভিনীত ও হৃষিকেশ মুখার্জির ছবি গোলমাল এখনও অনেকের প্রিয় ছবির মধ্যে একটি। যেখানে গোঁফ দিয়ে যায় চেনা এটিকে মুখ্য বিষয় করে অমল পালেকর ও উৎপল দত্তের মজাদার দ্বণ্দ্ব। যা দেখে আপনি হাসতে বাধ্য হবেন।
কভি হ্যাঁ কভি না (১৯৯৪)
শাহরুখ খান ও সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি অভিনীত কভি হ্যাঁ কভি না ছবিটিও বেশ দারুণ। যেখানে শাহরুখ একজন প্রতিভাবান সঙ্গীত শিল্পী এবং একতরফা ভালোবাসেন সুচিত্রাকে। ত্রিকোণ প্রেম ও শাহরুখের মিউজিসিয়ান হয়ে ওঠার গল্প নিয়েই এই ছবি।
মুন্না ভাই এমবিবিএস (২০০৩)
সঞ্জয় দত্ত ও আরশাদ ওয়ারসি অভিনীত মুন্না ভাই এমবিবিএস দারুণ একটি প্লট নিয়ে তৈরি হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে এক চিকিৎসকের মানবিক হওয়া কতটা জরুরি। হাসির ছবি অবশ্যই এটি।
ওয়েক আপ সিদ (২০০৯)
রণবীর কাপুর ও কঙ্কনা সেন শর্মা অভিনীত এই ওয়েক আপ সিদে দেখানো হয়েছে নব প্রজন্মকে তাঁদের মতো করে চলতে দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হোক।
চিল্লার পার্টি (২০১১)
শিশুদের জন্য একেবারেই দারুণ এই ছবিটি। বিশেষ করে রণবীর কাপুরের আইটেম ডান্স বাচ্চাদের খুবই ভালো লাগবে।
আন্দাজ আপনা আপনা (১৯৯৪)
বোকা বোকা জোকস যদি আপনার ভালো লাগে তবে অবশ্যই দেখুন আমির খান ও সলমন খান অভিনীত আন্দাজ আপনা আপনা। রবীনা ট্যান্ডন ও করিশমা কাপুরের অভিনয়ও ভালো লাগবে আপনার।
হেরা ফেরি (২০০০)
অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত হেরা ফেরি আপনাকে শেখাবে কিভাবে একটা বাড়ির নীচে থেকে বিভিন্ন মজার অভিজ্ঞতা হতে পারে।
দিল চাহতা হ্যয় (২০০১) ও নমস্তে লন্ডন (২০০৭)
এই দু'টি ছবি দেখতে পারেন। তবে খুব একটা হিট ছবি নয়।
গোলমাল ফান লিমিটেড (২০০৬) ও জব উই মেট (২০০৭)
হৃষিকেশ মুখার্জির পর রোহিত শেট্টির এই নতুন গোলমালও আপনাকে হাসতে বাধ্য করবে। যেখানে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগণ, আরশাদ ওয়ারশি, তুষার কাপুর ও শরমন জোশি।
শাহিদ কাপুর ও করিনা কাপুরের শেষ একসঙ্গে ছবি জব উই মেট ছবিটিও মিষ্টি প্রেমের গল্প। গানগুলিও জমজমাট।
ওয়েলকাম (২০০৭), গুড নিউজ (২০১৯)
অক্ষয় কুমার, অনিল কাপুর, নানা পাটেকর ও ক্যাটরিনা কাইফের এই ছবি যথেষ্ট মজাদার।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া করিনা-অক্ষয় অভিনীত গুড নিউজের বিষয়টিও বেশে নতুন। ভালো লাগবে দেখতে।
রেহনা হ্যয় তেরে দিল মে (২০০১) লাভ আজ কাল (২০০৯)
আর মাধবনের ম্যাডির চরিত্রটা এখনও মনে যদি গেঁথে থাকে তবে এই ছবিটি আবারও দেখা যেতে পারে। সঙ্গে সুন্দরী দিয়া মির্জার উপরি পাওনা।
নতুন লাভ আজ কাল দেখে যদি হতাশ হন তবে ফের সইফ আলি খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত লাভ আজ কাল ছবিটি দেখতেই পারেন।
পড়োসন (১৯৬৮) ও হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯)
দুই সময়ের ভিন্ন বিষয়ের ওপর তৈরি ছবি হলেও। দুটি ছবি অসাধারণ। পড়োসনে যেমন আপনি কিশোর কুমার , সুনীল দত্ত ও সায়রা বানুর মজাদার বিভিন্ন বিষয় দেখতে পারবেন তেমনি হাম দিল দে চুকে ছবিতে অজয় দেবগণ, সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাইয়ের অসাধারণ অভিনয় মুগ্ধ করবে।
বধাই হো (২০১৮)
এক বৃদ্ধা মায়ের মা হয়ে ওঠার গল্প নিয়েই তৈরি বধাই হো। যেখানে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা, নীনা গুপ্তা, সাইনা মালহোত্রা।
হাঙ্গামা (২০০৩), কুলি নম্বর ওয়ান (১৯৯৫)
প্রিয়দর্শন পরিচালিত হাঙ্গামা ছবিটি হাস্যরসের অন্য মাত্রায় রয়েছে। যা দেখলে বোঝা যাবে না।
গোবিন্দা-করিশমা কাপুর অভিনীত কুলি নম্বর ওয়ান দারুণ এক মাজার ছবি। যেখানে কাদের খানের সংলাপ দর্শকদের হাসতে বাধ্য করবে।
রজনিগন্ধা (১৯৭৪)
অমল পালেকর ও বিদ্যা সিনহার রজনীগন্ধা সেই সময়কার হিট ছবির মধ্যে অন্যতম।