সলমন খানকে খুন করতে ৪ লাখের রাইফেল কিনেছিল লরেন্স, পুলিশের জেরার স্বীকার গ্যাংস্টারের
পাঞ্জাবের গায়ক-নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনের সঙ্গে জড়িত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই পুলিশি জেরার মুখে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছে। সে স্বীকার করেছে যে ২০১৮ সালে সে বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে খুন করতে চেয়েছিল। আর তার জন্য সে রাইফেলও কিনেছিল।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানিয়েছে যে বিষ্ণোই পুলিশকে জানিয়েছে সে সলমনকে খুন করতে চাইত ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ মামলার কেসের কারণে। হাম সাথ সাথ হ্যায় সিনেমার শুটিং চলাকালীন রাজস্থানের যোধপুরে এই ঘটনা ঘটে। জুন মাসে হুমকি চিঠি পান সলমন খান, মনে করা হয়েছিল তা দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তিন সদস্য। যেখানে সলমন ও তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। লেখা হয়েছিল, তাঁদের ভাগ্যও সিধু মুসেওয়ালার মতো হবে, যাঁকে গুলি করে মারা হয় ২৯ মে রাস্তার মাঝে প্রকাশ্য দিবালোকে।
বিষ্ণোই জেরার মুখে এও জানিয়েছে যে কৃষ্ণসার হরিণকে হরিয়ানা, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে দেবতা হিসাবে পুজো করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ২টি কৃষ্ণসার হরিণ মারার অপরাধে সলমন খানকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে যোধপুর আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। অভিনেতা এই সাজার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানান। যোধপুর জেলে থাকার পর তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভরতপুর জেলে। জেরায় লরেন্স জানিয়েছেন তিনি তার সহযোগী সম্পত নেহেরাকে বার্তা দিয়েছিল সলমনকে খুন করার। সম্পত এখন অন্য মামলার কারণে পলাতক।
সূত্রের খবর লরেন্স বিষ্ণোই পুলিশকে জানিয়েছে যে সলমন খানকে মারার জন্য সম্পত নেহরা মুম্বই যায় এবং অভিনেতার বাড়ি রেইকি করতে শুরু করে। কিন্তু সম্পতের কাছে শুধু পিস্তল ছিল এবং দূর থেকে মারা যাবে এমন কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না, যা দিয়ে সলমন খানের ওপর দূর থেকে হামলা করা যাবে। এরপর দীনেশ দাগার নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গ্যাংস্টার আরকে স্প্রিং রাইফেল অর্ডার করে, যার দাম ৪ লক্ষ টাকা। এই রাইফেলটি পরে ২০১৮ সালে দাগারের কাছ থেকে উদ্ধার হয়। গত ৬ জুলাই সলমন খানের কৃষ্ণসার হরিণ মামলার আইনজীবী হস্তি মাল দাবি করেন যে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
কাপুর পরিবারের তরফে সোনম কাপুরকে দেওয়া হবে সাধ, অতিথি তালিকায় কে কে থাকছেন দেখুন