
কী রয়েছে ট্রেলারে,যা নিয়ে মুক্তির আগেই বিতর্কে মর্দানি ২! নাম পরিবর্তনের দাবিতে সরগরম পরিস্থিতি
ডিসেম্বরে মুক্তি। তার আগে বিতর্কে রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত মর্দানি ২। ছবিতে কোটা শহরের নাম ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
ট্রেলার মুক্তির পর কেন বিতর্কে মর্দানি ২
বলিউডের অন্যতম সফল প্রযোজনা সংস্থায় যশ রাজের ব্যানারে মর্দানি ২ দিয়ে পর্দায় ফিরছেন রানি মুখোপাধ্যায়। যে সিনামার মূল গল্প রাজস্থানের কোটা শহরের ক্রাইম।সিনেমার দৃশ্যায়ন কোটা শহরে মেয়েদের উপর এক সিরিয়াল ধর্ষণকারীর আক্রমণ দেখানো হয়েছে।
এরপর সেই ক্রিমিনালকে পুলিশ অফিসার শিবানী শিবাজী রয় অর্থাৎ রানি মুখোপাধ্যায় কীভাবে ধরবেন, সেই নিয়েই সিনেমার ক্লাইম্যাক্স।
আর এখানেই বিতর্কের জাল বিস্তার করেছে। অভিযোগ ছবিতে কোটা শহরকে অপরাধের কারখানা হিসেবে দেখা হয়েছে। যা নিয়ে এবার বিক্ষোভে কোটা শহরের বাসিন্দারা।
|
শিক্ষার্থীদের কাছে আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে কোটার
রাজস্থানের কোটা শহর শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ জায়গা রয়েছে। দেশের অন্য়তম এডুকেশনাল হাব হিসেবে কোটা শহর জনপ্রিয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। সেই শহরকেই অপারাধের আতুঁরঘর দেখানোয় কোটাবাসীদের অভিযোগ ছবিতে এমন দৃশ্যায়নের ফলে শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
শুধু তাই নয়, তাঁদের দাবি অবিলম্বে কোটা শহরের নাম ছবি থেকে বাদ দিতে হবে। কাল্পনিক গল্পে অন্য কোনও শহরের নাম ব্যবহারের প্রস্তাব রেখেছে তারা।
এই শহরের নাম ব্যবহার করায় পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের এই শহরে পড়তে পাঠানোর আগে পরিবারের মধ্য়ে সংকোচ তৈরি হবে বলে কোটাবাসী মনে করছে।

দাবি কী?
কোটা শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যে কোটাবাসীরা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।যা শুনে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে বিড়লা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'সিনেমার গল্প কাল্পনিক। সেক্ষেত্রে কোটা শহরের নাম জুড়ে দিয়ে শহরের নাম খারাপ করাটা অর্থহীন। '
উল্লেখ্য ছবির বেশিরভাগ অংশই কোটা শহরে শ্যুট করা হয়েছে। রানি মুখোপাধ্যায় নিজে এই শহরে থেকে শ্যুটিং করেছেন। এই শহরে সাম্প্রতিক বা অতীতে ধর্ষণ সংক্রান্ত বড় কোনও অভিযোগ নেই বলে কোটাবাসীরা দাবি করেছেন।
সেক্ষেত্রে সিনামার ট্রেলারে বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে লেখা থাকায় ছবির কাল্পনিক গল্প কোটাতেই হয়েছে বলে দর্শকের মনে হতে পারে। যা শহরের জনপ্রিয়তায় আঘাত করেছে। ফলে দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে এই শহরের ভাবমূর্তিতে আঘাত বলে বিক্ষোভকারীরা মনে করেন।