গানেই বাঁচছেন কেকে, পরপার গিয়ে প্রকাশিত শিল্পীর প্রথম গান
গানেই বাঁচছেন কেকে, পরপার গিয়ে প্রকাশিত শিল্পীর প্রথম গান
কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ, সেই মানুষটাকে আর মানুষ স্বচক্ষে গান গাইতে দেখতে পারবেন না কেউ। কিন্তু তাঁর অনবদ্য স্বর ? তা তো আটকাতে পারবে না নিয়তিও। মানুষের মনে যে রয়ে গিয়েছে কে.কে। সেটাকে ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আর তার প্রমাণ মিলল আবারও। তিনি বিলিন হয়ে গিয়েছেন মহাশূন্যে। কিন্তু তাঁর গলার স্বর তা বিলিন হয়ে যায়নি। তা রয়েছে এই ধরা ধামেই। গাইল নতুন গান।
চমকে যাচ্ছেন ? হ্যাঁ সেটাই স্বাভাবিক। প্রকাশিত হল কেকে রেকর্ড করা অন্যতম শেষ গান। তিনি গান গেয়েছিলেন পিলভিট সাগায়। ছবি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। গান লিখেছেন গুলজার। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন হিন্দি ছবি 'শেরদিল-দ্য পিলভিট সাগা'-র ট্রেলার।
উত্তরপ্রদেশ নেপাল বর্ডারের অন্তর্গত পিলভিট টাইগার রিজার্ভ অঞ্চলের বহু মানুষ বাঘের শিকার হলেও তাদের পরিবার পায় না কোনওরকম ক্ষতিপূরণ। যদিও খাতায় কলমে সেই নিয়ম রয়েছে। প্রতিবাদে গ্রামের প্রধান ঠিক করেন নিজেই শিকার হবেন বাঘের। যান বনে, সেখান থেকে বদলে যায় গ্রামের প্রধানের। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই হিন্দি ছবি মুক্তি পাবে ২৪ জুন।
শেরদিল গঙ্গারামের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। রয়েছে সায়নী গুপ্তা সহ আরও বড় বড় অভিনেতা , অভিনেত্রীরা। টান টান উত্তেজনায় ভরা ছবির এই ট্রেলার , যা মুক্তি পেয়েছিল সম্প্রতি। এবার প্রকাশ্যে এল ছবির গান। যা গেয়েছেন কেকে। গানের নাম ধুপ পানি বেহনে দে। এর সুর দিয়েছেন শান্তনু মৈত্র।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই তলোত্তমা থেকে ফিরে গিয়েছে নিথর দেহ। গান স্যালুট এবং লাখ লাখ ভক্তের চোখের জল নিয়ে মুম্বই গিয়েছে তাঁর পার্থিব শরীর। ভারতের অন্যতম সেরা জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র এহেন শেষ পরিনতি যেন কেউই এখনও ঠিকমত মেনে নিতে পারছে না। মুম্বইতে গায়কের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পরিবারের উপস্থিতিতে। কেকের আপামর গুণমুগ্ধ শ্রোতারা গানে গানে এখনও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রিয় গায়ককে।
তবে কেকে-র মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চ ও অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের গাফিলতির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে স্যোশাল মিডিয়া সহ একাধিক মহল। তারকা গায়কের এই অকাল মৃত্যুর দায় সরাসরি চাপানো হয়েছে হল কর্তৃপক্ষকে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে একাধিক বিষয়। প্রথমত, নজরুল মঞ্চের এসি ঠিকমত না চলায় বদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হলে ২০০০ জনের প্রায় তিনগুন বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয়ত, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ছড়ানো হয়েছিল অগ্নিনির্বাপক গ্যাস।
ফের একসঙ্গে প্রসেনজিৎ ও রচনা, তবে এবার ছোট পর্দায় ফিরছে জনপ্রিয় জুটি
এবং পরিশেষে অনুষ্ঠান চলা কালীনই কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে। একসময় বন্ধ করতে বলেন স্পট লাইট, এমনকি মিনিট ২০ বন্ধও রেখেছিলেন গান। ঘাম মুছছিলেন ও জল খাচ্ছিলেন বারবার। আর এতসবকিছুর পর অন্তিম ফল সঙ্গীত মহলের চূড়ান্ত ক্ষতি করে দেশ হারায় এক অনন্য সম্পদকে।