শুরু থেকেই ছিলেন অনুপ্রেরণা, কেকে'র মৃত্যুতেও প্রাসঙ্গিক রইলেন কিশোর কুমার
শুরু থেকেই ছিলেন অনুপ্রেরণা, কেকে'র মৃত্যুতেও প্রাসঙ্গিক রইলেন কিশোর কুমার
KK Death: কলকাতায় অনুষ্ঠান চলাকালীন মৃত্যু কৃষ্ণকুমার কুনাথ অর্থাৎ কেকে'র! ৫৩ বছর বয়সেই গানেই পথ চলা থামল সঙ্গীত শিল্পীর। কেকে'র প্রয়ানে'র খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ তাঁর অনুরাগীরা। দেশ এবং বিশ্বের মিউজিক ইন্ড্রাস্ট্রি এই খবরে মর্মাহত। আগামীদিনের সঙ্গীত শিল্পীদের কাছে কেকে হয়ে উঠেছিলেন অনুপ্রেরণা। বিশেষ গানের তালিম কখনও নেননি কেকে। কিন্তু যেভাবে একের পর এক তাঁর গাওয়া গান মানুষের মন ছুঁয়েছে তা অবশ্যই স্যালুট জানানো'র মতোই।
কোনও দিন গান শেখেননি কৃষ্ণকুমার কুনাথ
সেভাবে কোনও দিন গান শেখেননি কৃষ্ণকুমার কুনাথ। কিন্যু কিশোর কুমারই ছিল তাঁর অনুপ্রেরণা। 'সুরের শাহেনসা'ই কেকে সঙ্গীত সত্ত্বাকে জাগিয়ে তুলেছেন। আর এরপরেই ধীরে ধীরে গানের জগতে প্রবেশ তাঁর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন কেকে। জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনে অনেকটাই জুড়ে ছিলেন কিশোর কুমার। কেকে কোনও দিনই ক্লাসিকাল মিউজিক সেভাবে শেখেননি। তবে কয়েকদিনের জন্যে মিউজিক স্কুলে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেন সেটি। তবে ছোট থেকে মায়ের গান রেওয়াজ খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতেন কেকে।
কিশোর কুমারও গান শেখেননি
সাক্ষাৎকারে কেকে জানিয়েছিলেন, শুরুতে আমি, শুধু গান শুনেই একটা গান শিখতাম। এটা আমার কাছে বড় আর্শিবাদ ছিল। পরে আমি জানতে পারি কিশোরদাও কোনও দিন সেভাবে মিউজিক শেখেননি। আর তাই আমার মিউজিক ক্লাসে না যাওয়ার পিছনে এমনই অনেক কারন ছিল। তবে এভাবে গানকে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য তাঁর পরিবার কোনও চাপ দেননি বলেও সাক্ষাৎকারে জানান প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পী। কিশোর কুমার তাঁর অনেক সাক্ষাতকারেই জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রথাগতভাবে কোনওদিনই গান শেখেননি। কিশোর কুমারের মৃত্যুর পর পুরনো এক সাক্ষাতকারে কিশোর কুমারের ভাই অশোক কুমার জানিয়েছিলেন যে তাঁর গলা ছিল খুবই কর্কশ ও মোটা। অথচ চোখে গায়ক হওয়ার স্বপ্ন ভরপুর। আর সেই স্বপই তাঁকে ভারত সেরা করে তোলে। কেকে'র ক্ষেত্রেও তাই ঘটে।
কিশোর কুমারের মৃত্যু হয় হৃদরোগে
কলকাতায় অনুষ্ঠান চলাকালীনই মৃত্যু। একেবারেই স্ট্রোক আর এরপরেই সব শেষ। এখানেও অনেকটাই মিল রয়েছে কিশোর কুমার। কিশোর কুমারের মৃত্যু হয় ১৩ অক্টোবর ১৯৮৭। তারও মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটার্কে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিশোর কুমার কয়েকবার বেঁচে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে একবারেই যেন সব শেষ! কোথাও যেন জীবনের শেষ অধ্যায়ে এটাই পার্থক্য থেকে গেল দুই গুরু শিষ্যের মধ্যে।
হরিহরণ মুম্বই আসার জন্যে বলেন-
কেকে কিশোর কুমার ছাড়াও একাধিক প্রখ্যাত শিল্পীর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আরও এক ল্যাজেন্ড হরিহরণও প্রথম কেকে'কে মুম্বইতে আসার জন্যে ডাকেন। এমনকি পাকাপাকিভাবে সঙ্গীতকে পেশা হিসাবে নেওয়ার কথা জানান। একবার দিল্লিতে কে কে গান গেছিলেন। আর সেই সময়ে তাঁর গান শুনেছিলেন হরিহরণ। তখনই বুঝেছিলেন, ছেলেটার ভিতরে কিছু আছে। আর এরপরেই কে কে'কে মুম্বই আসার জন্যে তাঁকে জানান।
দেখে নিন সঙ্গীতশিল্পী কেকের সেরা গানের তালিকা