অনবরত ট্রোলড–নিন্দার জেরে ভেঙে পড়েছেন করণ জোহর, ফাঁস করলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু বলিউডের স্বজন পোষণ, পক্ষপাতিত্ব সহ বহু বিষয়কে তুলে ধরেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কাছে ট্রোলড হচ্ছেন বহু প্রযোজক–পরিচালক, অভিনেতা–অভিনেত্রীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পরিচালক তথা কেথ্রিজি খ্যাত করণ জোহর। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই করণের সমালোচনায় মুখর হয় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। এক রাতের মধ্যে করণের ইনস্টা ফলোয়ার্সের সংখ্যা কমে যায়।
তবে চিত্র পরিচালকের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন যে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে করণ জোহরকে যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তার জেরে তিনি গভীর হতাশায় ডুবে গিয়েছেন। বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে কথোপকথনে করণের ওই বন্ধু প্রকাশ করেছেন যে সুশান্তের মৃত্যুর পর করণ যে পরিমাণ নির্মম ঘৃণা তিনি পেয়েছেন তাতে ধর্মা প্রযোজনার মাথা চূর্ণ–বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের স্বজন পোষণ নিয়ে ফের আরও একবার প্রশ্ন উঠে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলে নানান ধরনের বিতর্ক। এমনকী বলিউডের অনেকেই ইন্ডাস্ট্রির অনেকের ওপর তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন।
করণ জোহর, আলিয়া ভাট, সোনাক্ষী সিনহা, সোনম কাপুর ও সলমন খানের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আসতে শুরু করে। ট্রোল ঝড়ে বাধ্য হয়ে করণ, আলিয়া, সোনম ও করিনা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের সীমা নির্দিষ্ট করে দেন। সুশান্তের মৃত্যুর পর সোনাক্ষী তাঁর টুইটার বন্ধ করে দেন এবং ইনস্টাতে করণ ও আলিয়াকে বয়কট করার জন্য সরব হন নেটিজেনরা।
করণ জোহরের ওই বন্ধু বলেন, 'এটা খুব সত্যি যে করণ ঘনিষ্ঠদের ট্রোলডের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে তিনি খুবই অনুতপ্ত। তাঁর তিন বছরের যমজ সন্তানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যন্যা পাণ্ডের মতো অনেকেই রয়েছেন যাঁদের সুশান্তের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁদেরও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হতে হচ্ছে এবং সুশান্তের আত্মহত্যার জন্য তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হচ্ছে।’
করণের বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে করণ যদি কোনও বিবৃতি দেন, এ প্রসঙ্গে ওই বন্ধু বলেন, 'একদমই নয়। আইনজীবীর পরামর্শ। সবচেয়ে ভালো হল চুপ থাকা। করণের কথা বলার মতো অবস্থা নেই। এই লড়াই তার বাইরে চলে গিয়েছে। ভাগ্যের দ্বারা মার খাওয়া এক ব্যক্তির মতো দেখতে লাগছে তাঁকে। করণের সঙ্গে এখন কথা বলা কোনও সুন্দর অভিজ্ঞতা নয়। তিনি ভেঙে পড়েছেন এবং আমরা যখন তাঁকে ফোন করি তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে ক্রমাগত জিজ্ঞাসা করেন তিনি কী এমন করেছেন যে যার জন্য তাঁকে এটা ভোগ করতে হচ্ছে।’
১৪ জুন মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। মুম্বই পুলিশ নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে এটা আত্মহত্যা।