জোধপুর জেলে কাকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সলমন ! উঠে এল সেই মহিলার পরিচয়
জেলের মধ্যে নিজেকে নিয়ে নয়, বরং সলমন ভেবেছিলেন তাঁর মায়ের কথা। মাকে নিয়ে জোধপুর জেলের মধ্যেই বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সলমন।
গত সপ্তাহেই জোধপুর জেলে ২ রাত্রি কাটিয়েছেন সলমন। সেই দুটি রাতই তাঁকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু, জেলের মধ্যে নিজেকে নিয়ে নয়, বরং সলমন ভেবেছিলেন তাঁর মায়ের কথা। মাকে নিয়ে জোধপুর জেলের মধ্যেই বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সলমন।
বহুদিন ধরেই অসুস্থ সলমনের মা সলমা খান। তারমধ্যে ছেলের জেলবন্দির সাজার খবর পেয়ে, মা অসুস্থ না হয়ে পড়েন , এই ভাবনাই চবলছিল সলমনের মধ্যে। রাজস্থান পুলিশের ডিআইজি জানিয়েছেন ,সলমন যা একটু নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন , তা কেবলমাত্র মায়ের কথা ভবেই। সেটা বাদ দিলে স্বাভাবিকই ছিলেন বলিউড তারকা। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জোধপুর জেলে সকালে খুবই অল্প আহার করেন সলমন। তাঁকে শোওয়ার জন্য ৪ টি কম্বল দেওয়া হয়েছিল। আর সেগুলি ব্যবহার করেই সলমন মাটিতে শুয়ে পড়েন জেলের।
এদিকে, জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে সলমনকে দেখতে আসা মানুষের সংখ্যাও কিছু কম ছিল না। অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা থেকে সলমনের দুই বোন অলভিরা ও অর্পিতা সবসময়ই সলমনের পাশে পাশে ছিলেন। এছাড়াও সলমনের বডিগার্ড শেরাও বার বার জোধপুর জেলে এসেছেন। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেদিন তিনি জামিনে মুক্তি পান, সেদিন জেল থেকেই একটিমাত্রই ফোন করেন সলমন। তা ছিল এসটিডি কল। আর সেই ফোনটি যায় সলমনের মায়ের কাছে। উল্লেখ্য়, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে জোধপুর আদালত। তারপরই ২ দিনের কারাবাসের পর ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি পান তিনি।