ইডির নজরে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে অভিনেত্রী
ইডির নজরে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে অভিনেত্রী
অভিযুক্ত কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের জালিয়াতি মামলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ওপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের সম্পূর্ণ নজর রয়েছে। এরই মধ্যে অভিনেত্রী আবু ধাবিতে আইফা অ্যাওয়ার্ডে যোগ দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী আবু ধাবির পাশাপাশি ফ্রান্স ও নেপাল যাওয়ার অনুমতিও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত ইডি কিছুদিন আগেই জ্যাকলিনের ৭.২৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
এই মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে জ্যাকলিন যাতে কোনওভাবে বিদেশে চলে যেতে না পারেন সেই জন্য গত বছর ডিসেম্বরই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়। তদন্ত যেহেতু চলছে এবং সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের যোগসূত্র কি তাও তদন্ত করা হচ্ছে, তাই এরকম সময়ে অভিনেত্রী কোনওভাবেই দেশ ছাড়তে পারেন না। তাঁকে এর আগেও ইডি মুম্বই বিমানবন্দরে আটক করেছিল এবং পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বাড়ি যাওয়ার জন্য।
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে এই মামলার সঙ্গে যোগ থাকার দরুণ একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। ইডির মতে, জ্যাকলিন স্বীকার করেছেন যে তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন এবং সুকেশ তাঁকে সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাবও দেয়। জ্যাকলিন দাবি করেছেন যে সুকেশ তাঁকে এক চ্যানেলের মালিক বলে পরিচয় দিয়েছিল। ইডি জানিয়েছে, চন্দ্রশেখর জ্যাকলিনকে ৫ কোটি টাকার ওপর উপহার দিয়েছে, যার মধ্যে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যকে ১৭৩,০০০ মার্কিন ডলার ও ২৭,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ঋণ দিয়েছে। তদন্তে এও উঠে এসেছে যে জ্যাকলিনের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য চন্দ্রশেখর তার এক ঘনিষ্ঠ পিঙ্কি ইরানিকে মোটা টাকা দেয়।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে রেড কার্পেটে দেখা যাবে অক্ষয় কুমার, এ আর রহমানকে
দিল্লি
পুলিশের
ইকোনমিক
অফেন্স
শাখায়
চন্দ্রশেখরের
বিরুদ্ধে
জালিয়াতি
ও
জোর
করে
টাকা
আদায়ের
অভিযোগ
দায়ের
করেন
প্রাক্তন
প্রমোটর
শিবিন্দর
মোহন
সিংয়ের
স্ত্রী
অদিতি
সিং।
শিবিন্দর
মোহন
সিং
২০১৯
সালের
অক্টোবরে
গ্রেফতার
হয়।
চন্দ্রশেখর
এবং
তার
সহযোগীরা
অদিতির
কাছ
থেকে
টাকা
নিয়েছিল
সরকারি
কর্মকর্তা
হিসেবে
এবং
তার
স্বামীর
জামিন
পাওয়ার
প্রতিশ্রুতি
দিয়ে।
দিল্লির
রোহিনী
জেলে
বসেই
চন্দ্রশেখর
স্পুফ
কলের
মাধ্যমে
কেন্দ্র
সরকারের
আধিকারিকের
নাম
করে
অদিতির
স্বামীকে
জামিন
দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি
দিয়ে
ক্রমাগত
টাকা
নিয়ে
গিয়েছে।