ইত্তেফাক মুভি রিভিউ; সিদ্ধার্থ, সোনাক্ষীকে ছাপিয়ে ঊজ্জ্বল অক্ষয়
ইত্তেফাক-এর একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোঝা কঠিন হবে আসল ক্লাইম্যাক্স।
বলিউডে মার্ডার মিস্ট্রি খুব বেশি তৈরি হয় না। যেখানে দর্শককে পুরো সিনেমা দেখে ভেবে যেতে হবে আসল অপরাধী কে। শেষে একেবারে ক্লাইম্যাক্সে গিয়ে জানা যাবে আসল ঘটনা। এমন সিনেমার নজির বিশেষ নেই। তবে প্রথমবার সিনেমা তৈরি করতে নেমেই পরিচালক অভয় চোপড়া বুঝিয়ে দিলেন তাঁর পারদর্শিতা। ইত্তেফাক-এর একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোঝা কঠিন হবে আসল ক্লাইম্যাক্স।
ইত্তেফাকও অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (বিক্রম শেঠি, লেখক), সোনাক্ষী সিনহা (মায়া সিনহা), অক্ষয় খান্না (দেব, পুলিশ)। ১৯৬৯ সালের ক্লাসিক সিনেমা ইত্তেফাক থেকেই অনুপ্রাণিত এই সিনেমাটি। পুরনো সিনেমাটিতে ছিলেন সুপারস্টার রাজেশ খান্না, নন্দা ও ইফতিখার।
সিনেমাটির প্রযোজনা করেছে শাহরুখ খানের সংস্থা রেড চিলিজ ও করণ জোহরের সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশন। সিনেমাটিতে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন অক্ষয় খান্না। দৃশ্য শুরু হচ্ছে একটি দৌড়নোর সিকোয়েন্স দিয়ে। সিনেমায় দুটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিক্রম ও মায়া। এই মামলার দায়িত্বে সুপার কপ দেব।
অক্ষয়ের মুখে সংলাপ 'তেরে জ্যায়সে ভুট্টে হম রোজ সেকতে হ্যায়' দারুণ মানিয়েছে। পাশাপাশি অভিনয়ে তিনি মাতিয়ে দিয়েছেন। তবে এই সিনেমা যেহেতু হার্ডকোর থ্রিলার তাই কোনও গানের দৃশ্য নেই। গল্প বলার ধরন থমকে যেতে পারে ভেবে ইচ্ছে করেই কোনও গান যোগ করেননি নির্মাতারা।
তবে সিনেমায় উষ্ণতা নেই এমনটা নয়। সোনাক্ষী ও সিদ্ধার্থের রোমান্স দর্শককে ছুঁয়ে যাবে। এমন দৃশ্য সোনাক্ষী খুব বেশি করেননি। ফলে তাঁকে দেখতে আলাদা আগ্রহ থাকবে। সবমিলিয়ে ইত্তেফাক উইকেন্ড জমিয়ে দিতে পারে।