নারী দিবস স্পেশ্যাল! মহিলাদের ভাবনাকে অসামান্য শিল্পনৈপূণ্যে এই ছবিগুলিতে তুলে ধরেছে বলিউড
মহাকাব্য থেকে সভ্যতার ইতিহাস, কিম্বা সমাজভাবনায় নারীকে অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। আগামীর পথ চলায় যেমন রয়েছে সে, তেমনই সে রয়েছে বর্তমানের হাতে হাত রেখেও।
মহাকাব্য থেকে সভ্যতার ইতিহাস, কিম্বা সমাজভাবনায় নারীকে অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। আগামীর পথ চলায় যেমন রয়েছে সে, তেমনই সে রয়েছে বর্তমানের হাতে হাত রেখেও। কখনও দেবী যে জ্ঞানে নারীকে কুর্ণিশ করেছে সমাজ, সেই নারীকে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত করে ধর্ষণের অত্যাচারে ছিন্নভিন্নও হতে হয়েছে। আবার কখনও কন্যাভ্রূণ হয়ে জন্মানোর অপরাধে মায়ের গর্ভেই মরে যেতেও হয়েছে। সমাজের এই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পর্যায়ে নারীর লড়াইয়ের অসামান্য কাহিনি তুলে ধরেছে বলিউডের বিভিন্ন ফিল্ম। উঠে এসেছে কিছু অসামান্য নারী চরিত্র।
ফ্যাশন
সোনালী গুজরাল ও মেঘনা মাথুরের চরিত্রের মধ্য দিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত ও প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এক অসামান্য় কাহিনি ফুটিয়ে তোলন মডেল গীতাঞ্জলি নাগপালের জীবনের একটা বড় অংশ ফুটে ওঠে কঙ্গনা অভিনীত সোনালীর চরিত্রে। এই ছবিতে নারীর চরিত্রকে যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় তা নিঃসন্দেহে অসামান্য ।
হাইওয়ে
খোলা আকাশের নিচে দাপটে পা ফেলে চলা এক মহিলার চরিত্র এই ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন আলিয়া। যদিও এই দাপট ফিরে পেতে এক লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। ছবিতে দেখানো হয়, নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। যত ধরনের অপমান, গঞ্জনা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে সত্যের পথে চলার এক অনন্য গল্প এই সিনেমায় বলা হয়েছে।
কুইন
রানির চরিত্রে কুইনের কঙ্গনা ফুটিয়ে তুলেছেন এক বিবাহযোগ্যা মহিলার লড়াই। এই লড়াই কখনও নিদের সঙ্গে কখনওবা সমাজের সঙ্গে। এক সাধারণ নারী থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প রয়েছে কুইন সিনেমায়। নারীকেন্দ্রিক এই গল্প সকলের মনে ধরেছে।
পিঙ্ক
দিল্লিতে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলের হাতে কয়েকজন মহিলার নিগৃহিত হওয়ার ঘটনা, ও তার পরিণামে এক রক্তাক্ত পরিস্থিতি, এই চিত্রনাট্যকে শিরদাঁড়া করে তৈরি হল 'পিঙ্ক'। ২০১৬ সালের সবচেয়ে চর্চিত সিনেমার একটি ছিল পিঙ্ক। অমিতাভ বচ্চন এই সিনেমায় অসাধারণ ভূমিকায় অভিনয় করলেও মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তাপসী পান্নু। গল্পটি একেবারেই মহিলাকেন্দ্রিক। মহিলার সম্মানরক্ষায় সমাজের সঙ্গে লড়ে স্বীকৃতি আদায়ের গল্প এই সিনেমায় বলা হয়েছে।
রাজি
এই গল্প সেহমতের। কাশ্মীরি মেয়ে সেহমতের বিয়ে হয় এক পাকিস্তানি সেনা অফিসারের সঙ্গে। সেই অফিসারের স্ত্রী হিসাবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যেতে থাকেন সেহমত। এমন বলিষ্ঠ নারী চরিত্র অনেকদিন বাদে বলিউডকে উপহার দিয়েছেন মেঘনা গুলজার।
[আরও পড়ুননারী দিবসে ফিরে দেখা টলিউডের এই অনন্য বাঙালি মহিলা চরিত্রগুলিকে ]