কেকে-বিদায় পালায় স্মৃতির পাতা ওল্টালেন ঊষা উত্থুপ, কুমার সানু সহ বিশিষ্ট শিল্পী মহল
কেকে-বিদায় পালায় স্মৃতির পাতা ওল্টালেন ঊষা উত্থুপ, কুমার সানু সহ বিশিষ্ট শিল্পী মহল
কলকাতায়
অনুষ্ঠান
করতে
এসে
অনুষ্ঠানের
পরেই
প্রয়াত
হন
জনপ্রিয়
সঙ্গীত
শিল্পী
কৃষ্ণকুমার
কুন্নাথ।
কেকে
নামেই
তিনি
জনপ্রিয়
ছিলেন
অনুরাগীদের
কাছে।
হিন্দি
ভাষার
পাশাপাশি
বাংলা
তামিল
তেলেগু
অসমীয়া
সহ
একাধিক
ভাষায়
একাধিক
সুপারহিট
গান
গেয়েছেন
জনপ্রিয়
সংগীতশিল্পী।
সংগীত
শিল্পীর
মৃত্যুতে
শোকোস্তব্ধ
গোটা
দেশ।
লাইভ পারফরম্যান্স করার পাশাপাশি টিভিতেও অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছে কেকে-কে। জীবনের শেষ টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন খুব কাছের বন্ধুদের নিয়ে। কপিল শর্মার সেই শোতে উপস্থিত ছিলেন কেকে, শান,পলাশ। মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে তিনজনের।
ওম পুরীর প্রাক্তন স্ত্রী নন্দিতা পুরি কলকাতায় লাইভ পারফরম্যান্সের শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন,এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের জন্য লজ্জার। ২.৫ হাজার দর্শকের জায়গায় ৭ হাজার দর্শক কী করে ঢুকে পড়ে? ফুটেছে দেখা গিয়েছে ঘামছেন কেকে, অসুস্থি বোধ করছেন, স্পটলাইট বন্ধ করতে বলেও কোনো লাভ হয়নি। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কেকে এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, কেকে এর সঙ্গে তাঁর প্রায় ২৪ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। তেরে লিয়ে গান দিয়ে তাঁদের সম্পর্কের সূচনা। এই ঘটনা সংগীতজগতের একটি বিশাল ক্ষতি। কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে কেকে এর অন্তিম সময়ে উপস্থিত ছিলেন জিৎ ও বাবুল সুপ্রিয়।
সঙ্গীত শিল্পী কেকের এই আচমকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মানতেই পারছেন না অস্কার জয়ী সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, "অবিশ্বাস্য! এত তাড়াতাড়ি চলে গেলে? ভাবতেই পারছি না"
নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করার পর কেকের মৃত্যুতে মুখ খুলেছেন সংগীতশিল্পী স্টেবিন বেন। বুধবার তিনি বলেছেন, কোনও সঙ্গীত শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানোর আগে পরিস্থিতির বিচার করে নেওয়া উচিত।
কেকে এর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, সুশৃংখল জীবনযাপন করতেন কেকে। একজন সঙ্গীত শিল্পীর কাজের সেরা সময় ৫০-৫৫ বয়স বছরে। সেখানে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন কেকে।
সৌভাগ্যক্রমে সংগীত শিল্পী কেকে এর ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে পেরেছিলেন গায়িকা সোনা মহাপাত্র। কেকে এর মৃত্যুর খবর শুনে তিনি হতবাক। মৃত্যুর খবর শুনে কয়েক সেকেন্ড তিনি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
শিবানী কাশ্যপ তাঁর শৈশবকালের প্রথম বছরগুলিতে কেকে-এর সঙ্গে সাক্ষাতের মধুরস্মৃতি শেয়ার করেছেন। সেইসঙ্গে বলেছেন কেকের এই হঠাত চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি ভারতীয় সঙ্গীত জগতে।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার শেষ লাইভ অনুষ্ঠান করেছেন সংগীতশিল্পী কেকে। সেই ছবি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছিলেন সংগীতশিল্পী। গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মুম্বই থেকে এসেছিলেন তিনি।
বর্ষীয়ান কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী ঊষা উত্থুপ কেকে-এর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ও মর্মাহত হয়ে পড়েছেন। দেশের এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমে প্রয়াত গায়ক সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি, এবং কেকে-কে 'দেশের সেরা কণ্ঠের মধ্যে একজন' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সেই সঙ্গে প্রয়াত গায়ককে অসাধারণ মনে মানুষ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন ঊষা উত্থুপ।
কেকের মজার ছলে বলা কথাই সত্যি হল! দেখুন ভিডিও
কেকে প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করলেন অপর এক জনপ্রিয়তম গায়ক কুমার সানু। কেকে-র তাঁর শেষ সাক্ষাত এবং অতীতের সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে কুমার সানু বলেন , "আমরা রেকর্ডিং স্টুডিওতে অনেক দেখা করতাম। এবং সর্বশেষ কয়েকদিন আগে আমাদের দেখা হয়েছিল। আমি বিশ্বাসও করতে পারি না যে কে কে আর নেই।" সেই সঙ্গে প্রয়াত গায়ককে দেশের অন্যতম সেরা শিল্পী হিসেবে বর্ণনা করেছেন কুমার সানু।
অপরদিকে কেকে-র মৃত্যুকে 'হৃদয়বিদারক ক্ষতি' বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সোনা মহাপাত্র। এই খবর শুনে তিনি সম্পূর্ণ হতবাক হয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা।