চলে গিয়েও গোয়ার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের মঞ্চে ফিরলেন রামানন্দ সেন
ভারতীয় চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফিতে একজন কিংবদন্তি রামানন্দ সেনগুপ্ত। ৭০টি-রও বেশি ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফি করা রামানন্দ সেনের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক কীর্তি। এহেন রামানন্দ সেনকে শনিবার কুর্নিশ জানানো হল ভারত
গোয়ায় ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রদ্ধা জানানো হল রামানন্দ সেনগুপ্তকে। 'নাগরিক' ছবিটি এদিন গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে প্রদর্শিত হয়। এই ছবিটি ছিল ঋত্বিক ঘটকের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘের ছবি। রামানন্দ সেনগুপ্তের সিনেমাটোগ্রাফি আর ঋত্বিকের দর্শন ছবিটিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের 'কাল্ট ফিল্ম'-এর মর্যাদা দিয়েছে। শনিবার মারকুইনেজ প্যালেস ২-এ ছবিটি প্রদর্শিত হয়।
ভারতীয় চলচ্চিত্র সিনেমাটোগ্রাফিতে রমানন্দ সেনগুপ্ত একটি চরিত্র। চলতি বছরের ২৩ অগাস্ট ১০১ বছর বয়সে প্রয়াত হন রমানন্দ। সত্তরটি-রও বেশি সিনেমাতে সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৩৮ সালে কলকাতায় অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন-এ অ্যাপ্রেন্টিস পদে যোগ দেন। ১৯৪১ সালে জি কে মেহতার সঙ্গে 'কুরুক্ষেত্র' নামে একটি বাংলা ছবিতে প্রথম ক্যামেরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তবে ১৯৪৬ সালে অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'পূর্বরাগ' ছিল সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে রমানন্দের প্রথম স্বাধীন কাজ। কলকাতায় ফরাসী পরিচালক জঁ রেনওঁ-এর সঙ্গেও ১৯৫১ সালে 'দ্য রিভার' ছবিটিতেও সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছিলেন। মৃণাল সেন থেকে শুরু করে ঋত্বিক ঘটকদের ছবির অন্যতম ভরসা ছিলেন তিনি। তাঁর করা ক্য়ামেরার অ্যাঙ্গেল, ফ্রেম পরিচালকের মনের কথাকে যেন অনায়সে ফুটিয়ে তুলতে পারত।
'নাগরিক' ছবিটি তৈরি হয়েছিল ১৯৫২ সালে। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৭ সালে ঋত্বিক ঘটকের মৃত্যুর পর। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে 'টেকনিসিয়ান স্টুডিও'-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও রমানন্দ সেনগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল তাঁর সিনেমাটোগ্রাফি করা ছবি প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে।
Nagarik by Ritwik Ghatak will be screened today to pay Homage to Ramananda Sen Gupta at 5:15pm at Maquinez Palace II for #IFFI2017 pic.twitter.com/7FDHXFo3Bx
— IFFI 2017 (@IFFIGoa) November 25, 2017
গোয়ায় ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার বাংলার বেশকিছু ছবি স্থান পেয়েছে। ইন্ডিয়ান প্যানারোমায় স্থান পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'বিসর্জন', প্রতীম ডি গুপ্তার 'মাছের ঝোল'। এছাড়া মেনস্ট্রিম সিনেমার সাব-ক্যাটিগরিতে স্থান পেয়েছে অনীক দত্তের 'মেঘনাদ বধ রহস্য'। নন-ফিচার ফিল্ম-এর তালিকায় আছে 'আওয়ার গ্র্যান্ড পেরেন্ট হোম' এবং 'পলাশ'।