সমালোচকদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে ৩ দিনেই ৪০.১৩ কোটির ব্যবসা করল 'হামসকলস'
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সইফ আলি খান, রীতেশ দেশমুখ, রাম কাপুর। এই ৩ জনেরই ৩টি করে চরিত্র অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। এছাড়াও তমান্না ভাটিয়া, এষা গুপ্তা, বিপাশা বসুও। গত শুক্রবার অর্থাৎ ২০ জুন প্রথম মুক্তি পায় ছবিটি। সাজিদের অন্যান্য ছবিগুলির তুলনায় প্রথম দিনেই লক্ষ্মীলাভা ভালই শুরু করে 'হামসকলস'। প্রথম দিনেই এ ছবির মোট উপার্জন ১২.৫০ কোটি টাকা। শনিবারেরও মোটামুটিই একই রেকর্ড বজায় রেখে ছবির আয় হয় ১২.৫৯ কোটি। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোচক ও বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ টুইট করে বলেন, প্রথম ২ দিনে হামসকলস'এর আয় ২৫.০৯ কোটি।
'হামসকলস' এবছরে মুক্তি পাওয়া ছুটির দিনে চতুর্থ সর্বোচ্চ আয় হওয়া ছবি
প্রথম দুদিনে ভালই ব্যবস্যা শুরু করলেও তৃতীয় দিনে অর্থাৎ প্রথম রবিবারে ছবির আয় লাফিয়ে উঠে যায় ১৫.০৪ কোটি টাকায়। অতএব হিসাবমতো প্রথম তিনদিনে 'হমসকলস'-এর নীট আয় হয়েছে ৪০.১৩ কোটি টাকা। চমকপ্রদভাবে, 'জয় হো', 'গুন্ডে', এবং 'হলিডে- এ সোলজার ইজ নেভার অফ ডিউটি' ছবির পর 'হামসকলস' এবছরে মুক্তি পাওয়া ছুটির দিনে চতুর্থ সর্বোচ্চ আয় হওয়া ছবি।
বক্সিঅফিস বলছে, রবিবারে এই ছবির আয় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এই সিনেমাটির চাহিদাও আছে। সমগ্র চিত্রটা দেখলে আয়ে অক্ষয়কুমার অভিনীত 'হলিডে- এ সোলজার ইজ নেভার অফ ডিউটি'র থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে 'হামসকলস'। কিন্তু শুধু মাইসোরে 'হলিডে- এ সোলজার ইজ নেভার অফ ডিউটি'-কেও টেক্কা দিয়েছে এই কমেডি ছবি।
সাজিদ খানের এই ছবির ব্যবসা নিয়ে সবার কৌতূহলের কারণ একটাই তা হল সমালোচকদের কটাক্ষ। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোকদের কেউ সাজিদের এই ছবি তৈরির যৌক্তিকতা নিয়ে যেখানে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেখানে অনেকে সইফের এই ছবিতে কাজ করা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। গণমাধ্যমেও এই ছবি নিয়ে চরম সমালোচনা করা হয়েছে। কিন্তু সমালোচকদের তিরস্কার সত্ত্বেও আম জনতার এই ছবিতে ভালভাবেই স্বাগত জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই ৫০ কোটির গণ্ডি পার করবে 'হামসকলস'। কে বলতে পারে হয়তো ১০০ কোটির গণ্ডি পেরোনোর সাফল্যও পকেটে পুরে ফেলবেন সাজিদ।