উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো আজও ঐতিহ্য মেনে পালন করে নতুন প্রজন্ম
সাধারণ থেকে সেলেব, আগামীকাল সকাল থেকে প্রায় প্রতিটি বাঙালিই ব্যস্ত থাকবেন লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন ঘিরে। ঘর আলো করে লক্ষ্মী আরাধনা একসময়ে চলত বাংলার ম্যাটিনি স্টার উত্তম কুমারের বাডি়তেও।
সাধারণ থেকে সেলেব, আগামীকাল সকাল থেকে প্রায় প্রতিটি বাঙালিই ব্যস্ত থাকবেন লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন ঘিরে। ঘর আলো করে লক্ষ্মী আরাধনা একসময়ে চলত বাংলার ম্যাটিনি স্টার উত্তম কুমারের বাডি়তেও। এখনও সেই ঐতিহ্য, রীতি, ধরে রেখেছেন উত্তম কুমারে নাতি গৌরব , নাতনি নবমিতারা।
বাড়ির পুজোর ভীষণভাবে জড়িয়ে থাকেন উত্তমের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। রীতি মেনে পুজোর দিন সাদা ধুতি আর চাদরে আসনে বসেন টলিউডের এউই ব্যস্ত অভিনেতা। পুজোর দিন ওয়ার্কআউটের জন্য তিনি বেরলেও, ভাসানের দিনটা গৌরব ফাঁকা রাখেন। তবে পুজোর আয়োজন থেকে পুজোর দিন, বেশিরভাগ সময়েই তদারকিতে দেখা যায় গৌরবকে। বাড়িতে নিকট আত্মীয় ,বন্ধু বান্ধব থেকে আসেন সেলেব্রিটিরাও।উত্তম কুমারের বাড়ির পুজোয় দেখা যায়, জুন মালিয়া, ঋদ্ধিমা, জিৎ, সৃজিতের মতো তারকাদের। সময় পেলে মুখ্যমন্ত্রীও আসেন এই বাড়িতে। একটা সময় পুজোর দিন রবি ঘোষ আসতেন এই বাড়িতে নিয়ম করে। সেই স্মৃতি আজও মনে পড়ে গৌরব-নবমিতার। উত্তম কুমারের আমলেও যেভাবে পাত সাজিয়ে লুচি আলুর দম থেকে বাসন্তি পোলাও ভোগ দেওয়া হত চট্টোপাধ্যায় পরিবারের মাকে, এখনও এই বাড়িতে সেই ধারাই বজায় রাখা হয়েছে।
শোনা যায়, উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরীদেবীর মুখের আদলে এক সময় লক্ষ্মীর মুখ গড়া হত চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। সেই সময় ছোট ছিলেন গৌরব ও নবমিতারা। তবে বাড়ির ঐতিহ্যের কথা যে তাঁদের বার বার স্মরণ করাতেন তাঁদের 'ছোটদাদু' তরুণ কুমার, তা আজও স্মৃতির কোণে উঁকি দেয় নবমিতার। সবমিলিয়ে এবারও জোরদার আয়েজন চলছে উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো ঘিরে।