বন্ধক দিয়েও আর কে স্টুডিও-কে ফিরে পান রাজ কাপুর! স্টুডিও ঘিরে অজানা অধ্যায়ের কিছু কথা
দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষমেষ কাপুর পরিবার জানিয়ে দিয়েছে বিক্রি হতে চলেছে মুম্বইয়ের বিখ্যাত আর কে স্টুডিও। রাজ কাপুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্টুডিও ভারতীয় চলচ্চিত্রের একাধিক অধ্যায়ের সাক্ষী।
দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষমেষ কাপুর পরিবার জানিয়ে দিয়েছে বিক্রি হতে চলেছে মুম্বইয়ের বিখ্যাত আর কে স্টুডিও। রাজ কাপুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্টুডিও ভারতীয় চলচ্চিত্রের একাধিক অধ্যায়ের সাক্ষী। স্টুডিও ঘিরে কিছু অজানা অধ্যায়ে নজর রাখা যাক।
৩০ বছর পর যা হল
রাজ কাপুরের স্মৃতি বিজড়িত আর কে স্টুডিওকে সযত্নে ৩০ বছর লালন করেছে কাপুর পরিবার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গতবছর এক বিধ্বংসী আগুন পুড়িয়ে দিয়েছে এই স্টুডিওর বেশ কিছু অংশ।
অজনা কিছু কথা
এই আরকে স্টুডিওতেই রাখাছিল রাজ কাপুরের 'মেরা নাম জোকার'-এর মুখোশ, নার্গিস , বৈজন্তীমালার মতো অভিনেত্রীদের শ্যুটিং-এ ব্যবহৃত বিভিন্ন গয়না। 'আওয়ারা', 'সঙ্গম' -এ যে পিয়ানোটি দেখানো হয়েছে তাও জায়গা করে নেয় এই স্টুডিওতে।
আর কে স্টুডিও এবং কিছু তথ্য
দেব আনন্দের মত বেশ কয়েকজন অভিনেতা একটা সময় পর্যন্ত আর কে স্টুডিও ছাড়া অন্য কোথাও শ্যুটিং পছন্দ করতেন না। পরবর্তীকালে প্রযুক্তির দিক থেকে অনান্য স্টুডিওগুলি উন্নত হয়ে উঠলেও, আর কে -কে ছাড়তে পারেননি অনেকেই। আর এই দিকটি দেখেই আশায় বুক বাঁধছিলেন কাপুর পরিবারের সদস্যরা।
বন্ধক দিতে হয়েছিল আরকে স্টুডিও
'মেরা নাম জোকার' -এর পর আর কে স্টুডিওর বন্ধক দিতে বাধ্য হন রাজ কাপুর। পরবর্তীকালে 'ববি' হিট হওয়ার পর সেই সম্পত্তি আবার ফিরে পান তিনি। রাজ কাপুরের স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গায় আর কে কটেজ আরও একটি উল্লেখ্য যোগ্য দিক। স্টুডিওর ক্যানটিনে যে আর কে অমলেট থেকে স্যান্ডউইচ পাওয়া যেত , তার স্বাদ এখনও অনেককে নস্টালজিক করে তোলে।