হ্যাপি নিউ ইয়ার রিভিউ : অযৌক্তিক এই মশলা ছবিতে বিনোদনটা কম বিরক্তিই বেশি
প্রথম দিনেই চেন্নাই এক্সপ্রেস সহ তাবড় তাবড় ছবির রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এই ছবি। শাহরুখ খানেক এইট প্যাক অ্যাবস -এ সত্যিই মজেছে তাঁর ভক্তেরা। যদিও এছবির চিত্রনাট্য অসাধারণ কিছু নয়, যা মানুষে আগে কখনও দেখেনি। কিন্তু এই ছবির আসল মূলধন তো পঞ্চাশের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি। ওই তো শাহরুখের ভক্তদের তো স্লোগানই আছে, কিং খান যেখানে, ভয় কী সেখানে। অর্থাৎ একটি ছবি হিট করানোর জন্য তাঁর নামটুকুই যথেষ্ট।
ছবির প্রচারেও যেমন সকলে ছবির কলাকুশলীরা সকলে বলে এসেছেন, এই ছবি ৬ হেরে যাওয়া মানুষের গল্প যাঁরা নিজের ভাগ্য বদলানোর সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ শাহরুখের মতে প্রত্যেক হেরে যাওয়া মানুষই জীবনে একবার সুযোগ পায় জয় পাওয়ার জন্য। আর সেই সুযোগটা নিতেই শাহরুখ ওরফে চার্লির নেতৃত্বে জুটবদ্ধ হবে একটি আন্তর্জাতিক নাচের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য। যেখানে জ্যাকি শ্রফের বহুমূল্য হীরে লকার থেকে চুরি করার ফন্দি আঁটে শাহরুখ খান, অভিষেক বচ্চন, বোমান ইরানি, সোনু সুদ, ভিভান শাহ এবং দীপিকা পাডুকোন।
আরও পড়ুন : হ্যাপি নিউ ইয়ার দীপাবলীতে মুক্তি পাওয়া ১১ তম ছবি শাহরুখ খানের
এই ছবিতে বেশ কিছু বিরক্তিকর কাতুকুতো দিয়ে হাসানোর মতো ভাড়ামি দৃশ্য রয়েছে। তবে বেশ কিছু উন্নতমানের অ্যাকশন সিকোয়েন্সও রয়েছে। এই ছবিতে চরিত্রগুলি হল শাহরুখ খান - চার্লি, দীপিকা - মোহিনী, অভিষেক - নন্দু, সোনু সুদ - জগমোহন প্রকাশ, বোমান - টেমটন এবং ভিভান - রোহন সিং। প্রত্যেকেরই কিছু আলাদা আলাদা গুণ বা বৈশিষ্ট রয়েছে।
এই ছবিতে প্রতিহিংসা বা বদলা বিষয়টিরও একটা গুরুত্ব রয়েছে তবে তা কী এবং শেষমেষ তারা সফল হয় কিনা, হলেও কীভাবে তার জন্য ছবিটা দেখতেই হবে।
কিন্তু এটুকু বলা যেতেই পারে এই ছবিতে যদি খুব বেশি কোনও চমকের আশায় যান তবে নিরাশ হবেন। নিখাদ বিনোদনের অতি সাধারণ মানের একটি ছবি হ্যাপি নিউ ইয়ার। অভিনয়ের প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে সবাই নিজের নিজের চরিত্র যথাযথ পালন করেছেন। তবে দীপিকার অদ্ভুতুরে ইংরাজি কখনও কখনও মজার বদলে আপনাকে বিরক্ত করবে। ৩ ঘন্টার লম্বা দীর্ঘের এই ছবি কিছু কিছু সময়ে আপনাকে ক্লান্ত করে দেবে।
বয়সের ছাপ চোখে মুখে কিছুটা স্পষ্ট শাহরুখের। তবুও তাঁর সেই রোম্যান্টিক চাউনি, এবং অনস্ক্রিন ক্যারিশমা দর্শককে বেঁধে রাখে। দীপিকার অভিনয় ও সৌন্দর্য-গ্ল্যামার এই ছবিতেও মন জয় করে নিয়েছে ঠিকই তবু এত কিছুর পরে অযৌক্তিক মশলা ছবি হয়েই রয়ে গেল হ্যাপি নিউ ইয়ার।