ভগবান মনে থাকেন, তাই ধর্মীয় সমাবেশে নয়, বাড়িতে থাকার আর্জি এআর রহমানের
ভগবান মনে থাকেন, তাই ধর্মীয় সমাবেশে নয়, বাড়িতে থাকার আর্জি এআর রহমানের
মহামারি করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ধর্মীয় স্থানগুলিতে জমায়েত হওয়ার ফলে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন সুরকার এআর রহমান। তিনি সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এই লকডাউনের সময় সকলে সরকারের পরামর্শ মেনে চলুন এবং সেলফ–আইসোলেটে থাকুন।
|
সরকারের নির্দেশ মানতে অনুরোধ রহমানের
দিল্লির নিজামুদ্দিনের পশ্চিমে তাবলিঘি জামাত মরকজের ১ থেকে ১৫ মার্চের ধর্মীয় সমাবেশে হাজার মানুষ সমাবেশের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা করোনা সংক্রমিত করছে। এই ঘটনার পরই এআর রহমান সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে দীর্ঘ এক বিবৃতিতে বুধবার মানুষকে উদার ও চিন্তাশীল হতে বলেছেন। এআর রহমান টুইটে বলেন, ‘ভগবান আমাদের মনের ভেতর থাকেন (সবচেয়ে পবিত্র মন্দির), তাই এখন সময় নয় ধর্মীয় স্থানে গিয়ে জমায়েত করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা। সরকারের উপদেশ শুনুন। কিছুদিনের জন্য সেলফ-আইসোলেশন আপনাকে বহু বছর দিতে পারে।' তিনি আরও বলেন, ‘ভাইরাস ছড়াবেন না এবং সহ মানুষের ক্ষতি করবেন না। এই রোগ আপনাকে সতর্ক করবে না যে আপনি এই রোগ বহনকারী, তাই এটা ভাবনে না যে আপনি সংক্রমিত নন। এটা সময় নয় ভুয়ো গুজব ছড়ানো ও আতঙ্ক-উদ্বেগ বাড়ানো।'
ধন্যবাদ চিকিৎসক–নার্সদের
রহমান এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক, যাঁরা সামনের সারিতে এগিয়ে এসে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছেন ও দেশের বহু জীবন বাঁচাচ্ছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই বার্তাটি হল ডাক্তার, নার্স এবং সমস্ত ভারতবর্ষের হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলিতে কর্মরত সমস্ত কর্মীদের জন্য, তাঁদের সাহসিকতা এবং নিঃস্বার্থতার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই ভয়াবহ মহামারি মোকাবিলায় তাঁরা কতটা প্রস্তুত তা দেখে এটি হৃদয় ভরে যায়। আমাদের বাঁচাতে তারা তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।' তিনি জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য সংকটের সময় সকলের উচিত তাঁদের প্রতিবেশী, প্রবীণ নাগরিক, দরিদ্র ও পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তা করা। রহমান বলেন, ‘এখন আমাদের পার্থক্যগুলি ভুলে গিয়ে এই অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে, যা বিশ্বকে উল্টে দিয়েছে। সময় এসেছে মানবতা এবং আধ্যাত্মিকতার সৌন্দর্যকে কার্যকর করার।'
ভারতে করোনা সংখ্যা ২০০০
২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। বুধবার ৩০০-রও বেশিজনের শরীরে এই করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। করোনা সংক্রমণের সংখা বাড়তে শুরু করে যখন বহু মানুষ তাবলিঘি জমাতের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।