জাতীয় স্তরের এই অ্যাথলেট আসলে একজন গ্যাংস্টার! সলমন খানকে খুনের যড়যন্ত্রে এবার পুলিশের জালে
'রেস থ্রি' মুক্তির আগে বিপদের ফাঁড়া কিছুতেই কাটছে না সলমন খানের। মাস খানেক আগেই কৃষ্ণসার হরিণ মামলায় কারাবাসের সাজা পেয়েছেন। প্রায় তিন দিন জেলে কাটিয়ে এখন জামিনে বাইরে।
'রেস থ্রি' মুক্তির আগে বিপদের ফাঁড়া কিছুতেই কাটছে না সলমন খানের। মাস খানেক আগেই কৃষ্ণসার হরিণ মামলায় কারাবাসের সাজা পেয়েছেন। প্রায় তিন দিন জেলে কাটিয়ে এখন জামিনে বাইরে। এরই মধ্যে সামনে এল সলমন খানকে খুনের ষড়যন্ত্রের কাহিনি। পুলিশি নজরদারিতে একটু ফাঁক থাকলেই গেছিল, সলমন খান হয়তো খুনই হয়ে যেতে পারতেন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে হরিয়ানা পুলিশ।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল সলমন খানকে যে খুনের চক্রান্ত করেছিল সে আবার একটা সময় জাতীয় স্তরের ডেকাথ্য়ালন খেলোয়াড়। বর্তমানে অপরাধ জগতে সে নাম লিখিয়েছে শুধু এমনটাই নয়, সে বর্তমানে একজন গ্যাংস্টার। কুখ্যাত গ্যাংস্টাল লরেন্স বিষ্ণোই-এর ডানহাত এই ক্রীড়াবিদ কাম অপরাধী।
জানা গিয়েছে, জাতীয় স্তরের এই অপরাধী ক্রীড়াবিদের নাম সম্পত নেহরা। সলমন খানকে খুনের যাবতীয় রেইকি করে ফেলেছিল সম্পত। এমনকী মুম্বইয়ে সলমনকে সে নিয়মিত ফলো করেছে। সলমনের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনেও রেইকি সেরেছিল সে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পর হায়দরাবাদে গা-ঢাকা দেয় সম্পত। সেখানে কিছু ছাত্রের সঙ্গে সে একটি মেসে বসবাস করছিল। আর তলে তলে চলছিল সলমন খানকে খুনের যাবতীয় পরিকল্পনা। মেসের বাকিরাও জানত না সম্পত আসলে একজন গ্যাংস্টার এবং সলমন খানের খুনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে সে হায়দরাবাদে আত্মগোপন করে আছে।
হায়দরবাদ পুলিশ যখন সম্পতকে জেরা শুরু করে তখনও সে দাবি করে তেলেঙ্গানা পুলিশে চাকরির আবেদনের চেষ্টা করছে। সন্ধ্যাবেলায় হাঁটতে বেরিয়েছিল সম্পত। সে সময় হায়দরাবাদ পুলিশের সাহায্যে তাকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ডিআইজি সতীশ বালান জানিয়েছেন, কৃষ্ণসার হরিণ মামলার রায় ঘোষণার সময় লরেন্স বিষ্ণোই সলমন খানের খুনের হুমকি দেয়। কৃষ্ণসার হরিণ বিষ্ণোই জনজাতির দেবতুল্য জীব। সম্পত জেরায় জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোই আসলে সলমনকে খুন করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মধ্যে নায়ক হতে চেয়েছিল। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় মনে করে কৃষ্ণসার হরিণ মামলায় সলমনকে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
লরেন্সকে অবশ্য আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে রাজস্থানের ভারতপুর জেলে বন্দি লরেন্স। এই কারণে এরপর সলমন কানকে খুনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় সম্পত। লরেন্সের নির্দেশ মতোই সে কাজ করছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
গ্রেফতারের পর লরেন্স অবশ্য সলমন খানকে খুনের হুমকির কথা অস্বীকার করে আসছে। জোধপুর আদালতে সে নিজেক নির্দোষ বলেও দাবি করেছিল। পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে বলেও অভিযোগ আনে। সম্পতের খোঁজে কিছুদিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিল হরিয়ানা পুলিশের টাস্ক ফোর্স। একটি ঘটনায় সম্পতের বিরুদ্ধে তাদের কাছে অভিযোগ ছিল। এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সম্পতের গতিবিধির খবর আসে তাদের কাছে। এরপরই সম্পতের উপর নজর রেখে হরিয়ানা পুলিশ পৌঁছয় হায়দরাবাদ।
সম্পত এতটাই সাধারণ জীবন যাপন করছিল যে তার অপরাধ জীবনের কাহিনি জানার পর সকলেরই মুখ হাঁ। এমনকী তার মেসের দুই সঙ্গীও অবাক। কারণ, সম্পত বেশি কথা বলত না। সারক্ষণই সে মোবাইল ফোনে কথা বলব অথবা এসএমএস করত বলে মেসের ওই ছেলেদের দাবি। সম্পত নাকি দিন কয়েকের মধ্যেই সলমন খানকে খুনের পুরো পরিকল্পনা ছকে ফেলেছিল। পুলিশ সম্পতকে ধরতে দেরি করলে কী হত তা ভেবেই অনেকেই শিউড়ে উঠছেন।