ইহলোক থেকে পরলোক, রবির সংস্পর্শ বদলে দেয় জীবন
রবীন্দ্রনাথ সত্যি যে বিশ্বকবি তার প্রমাণ নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাঁর , জার্মানি , জাপান , চিন, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো দেশে তাঁর ভ্রমণের বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া যায়। 'আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশীনি' গানটি লেখা এক বিদেশীনিকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকার যে এক নিবিড় সম্পর্ক আছে তা অনেকেরই অজানা। সেই কথা জানা যাবে 'থিংকিং অফ হিম' ছবিটি দেখলে।
ছবির প্রেক্ষাপট
আর্জেন্টিনার
লেখক
ভিক্টোরিয়া
ওকাম্পোর
সঙ্গে
নোবেল
বিজয়ী
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের
সম্পর্কের
অন্বেষণ
এই
ছবির
মুল
প্রতিপাদ্য
বিষয়।
গল্পের
শুরু
আর্জেন্টিনায়
সেখানে
এক
আর্জেন্টিনীয়
ব্যক্তি
কবির
লেখা
পড়ে
এবং
বিভোর
হয়ে
যান।
নিজের
ছেলেবেলার
অনেক
কষ্ট
ভুলতে
তিনি
ডুব
দেন
রবির
সাগরে।
এক
লাইব্রেরীতে
গিয়ে
জানতে
পারেন
রবি
ও
আর্জেন্টিনার
সেই
নিবিড়
সম্পর্ককে।
রবিকে
জানতে
তিনি
ছুটে
আসেন
শান্তিনিকেতন।
উপলব্ধি
করেন
এক
নতুন
জীবন।
বুঝতে
পারেন
না
পাওয়াও
এক
পাওয়া।
জীবনের
সব
কষ্ট
ভুলে
নতুন
করে
বাঁচতে
শেখেন।
তাঁকে
সঙ্গ
দেন
এক
ভারতীয়
মহিলা,
রাইমা
সেন
সেই
চরিত্রে
অভিনয়
করেছেন।
ছবি
এগোয়
দুই
পর্বে।
এক
দিকে
ওই
আর্জেন্টিনীয়
ব্যক্তির
জীবন
বদলে
যায়
কবির
শান্তিনিকেতনে
এসে
অপরদিকে
ভিক্টোরিয়া
ওক্যাম্পোর
জীবন
ধারা
বদলে
যায়
কবির
আধ্যাত্মিক
সংস্পর্শে।
কীভাবে
কবির
বাস্তব
জীবন
এবং
পরলৌকিক
জীবন
একজন
মানুষের
জীবন
বদলে
দেয়
তা
বলতে
চেয়েছেন
ছবির
নির্মাতা।
মূল গল্প
আসলে
গীতাঞ্জলি'-এর
ফরাসি
অনুবাদ
পড়ার
পর,
ওকাম্পো
রবীন্দ্র
সাহিত্যের
একজন
পরম
অনুরাগীতে
পরিনত
হন।
১৯২৪
সালে
বুয়েনস
আইরেস
সফরের
সময়
কবিগুরু
অসুস্থ
হয়ে
পড়লে,
ওকাম্পো
তাঁর
সেবা
শুশ্রূষার
দায়িত্ব
নেন
বলে
জানা
যায়।
পাবলো
সিজার
বাস্তব
জীবনের
গল্পে
র
উপর
ভিত্তি
করে
রবি
ঠাকুর-ওকাম্পোর
সম্পর্কের
রসায়নকে
পুনরায়
তৈরি
করেছেন।
পেরু
যাওয়ার
পথে
১৯২৪
সালের
৬
নভেম্বর
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরকে
চিকিৎসা
ও
বিশ্রামের
জন্য
বুয়েনস
আইরেসে
থামতে
হয়েছিল।
ভিক্টোরিয়া
জানতে
পারেন
যে
কবির
শরীর
খারাপ।
জানতে
পেরেই
তিনি
বিশ্বকবির
চিকিৎসা
ও
বিশ্রামের
ব্যবস্থা
নেওয়ার
প্রস্তাব
করেছিলেন।
তিনি
বুয়েনস
আইরেসের
একটি
শহরতলিতে
একটি
সুন্দর
বাড়ি
ভাড়া
নেন
এবং
সেখানে
রবীন্দ্রনাথের
থাকার
ব্যবস্থা
করা
হয়।
রবির সুস্থতা এবং আর্জেন্টিনীয় যোগ
তার
বারান্দা
থেকে,
রবীন্দ্রনাথ
প্রশস্ত
সমুদ্র-সদৃশ
প্লাটা
নদীর
দৃশ্য
এবং
লম্বা
গাছ
এবং
ফুলের
গাছের
সঙ্গে
একটি
বড়
বাগান
দেখতে
পান।
কবি
সম্পূর্ণ
সুস্থ
হয়ে
৩
জানুয়ারী,
১৯২৫-এ
বুয়েনস
আইরেস
ত্যাগ
করেন।
৬৩
বছর
বয়সী
রবি
ঠাকুর
৩৪
বছর
বয়সী
ভিক্টোরিয়া
ওকাম্পোর
দ্বারা
পুনরুজ্জীবিত
হয়েছিলেন।
ওকাম্পো
ভারতীয়
দার্শনিক
কবির
কাছ
থেকে
আধ্যাত্মিক
জাগরণ
এবং
সাহিত্যিক
অনুপ্রেরণা
পেয়েছিলেন।
ঠাকুরের
প্লেটোনিক
প্রেম
ওকাম্পোর
আধ্যাত্মিক
প্রেমের
দ্বারা
প্রতিফলিত
হয়েছিল
যিনি
আর্জেন্টিনা
একাডেমি
অফ
লেটারের
সদস্য
হওয়া
প্রথম
মহিলাও
ছিলেন।
সেই
ঘটনা
এখানে
ফুটিয়ে
তোলা
হয়েছে।
পাবলো সিজার এইই ছবির নির্মাতা। তাঁর যখন ১৩ বছর বয়স তখন থেকেই চলচ্চিত্র নির্মাণে তাঁর হাতেখড়ি। সিজারের দাদা তাকে একটি সুপার ৪ মিমি ক্যামেরা উপহার দিয়েছিলেন এবং তাঁকে সিনেমা করার প্রথম কৌশল শিখিয়েছিলেন। সিজার ১৯৯২ সাল থেকে বুয়েনস আইরেসের সিনেমা ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক। 'থিংকিং অফ. হিম-এ রবি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি। ভিক্টোরিয়ার অংশে আর্জেন্টাইন অভিনেতা এলিওনোরা ওয়েক্সলার অভিনয় করেছেন। চলচ্টিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী রাইমা সেন এবং হেক্টর বোর্দোনি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে আগামী ৬ মে মুক্তি পেতে চলেছে ইন্দো-আর্জেন্টিনীয় ছবি "থিংকিং অফ হিম"। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই ছবিটি। ছবিটির সহ-প্রযোজনা করেছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সুরজ কুমার।
কোথায় ভালো কোথায় খারাপ
ছবির
ক্যামেরার
কাজ
আহামরি
কিছু
নয়।
তবে
এডিটিং
এবং
কালারিং
খুব
ভালো
যা
দুরন্ত
ভাবে
ফুটিয়ে
তুলেছে
৩০
,
চল্লিশের
দশক
এবং
নব্বইয়ের
দশকের
সময়কে।
মেক
আপ
কস্টিউম
দুর্দান্ত।
তবে
খেই
হারাবে
বারবার
জাম্প
কাটে।
ভারতীয়দের
কিছুটা
সমস্যায়
ফেলতে
পারে
প্রথম
দিকের
দক্ষিণ
আমেরিকার
ভাষা।
তবে
এক
কথায়
ছবিটি
বেশ
ভালো।
রবি
ঠাকুরের
সংস্পর্শ
যে
মানুষের
জীবন
বদলে
দেয়
তাঁর
প্রমাণ
এই
ছবি।
আর
জানার
বিষয়
রবি
ও
দক্ষিণ
আমেরিকার
দেশ
,
মারাদোনার
দেশের
সঙ্গে
তাঁর
বিশেষ
সম্পর্ক।