(ছবি) ইনিই শুধু পারেন এত রূপ ধরতে, সত্যিই অসম সালা!
কথায় বলে, রূপে-গুণে সরস্বতী। তবে ইনি কিন্তু রূপে-গুণে বাবা মহাদেব। গুন বলতে, কথাটা বড্ড ভাল বলেন, তাই না জনপ্রিয় রেডিও জকি।
কথায় বলে, রূপে-গুণে সরস্বতী। তবে ইনি কিন্তু রূপে-গুণে বাবা মহাদেব। গুন বলতে, কথাটা বড্ড ভাল বলেন, তাই না জনপ্রিয় রেডিও জকি। ভাট বকাটাকে একেবারে শিল্পের পর্যায় নিয়ে গিয়েছেন ইনি। তাই তো এতবছর ধরে জনপ্রিয় লাফ্টার শো-এর সঞ্চালক। গানের গলাও মন্দ নয়, তাই তো নিজের গানের ব্যান্ডও আছে, সেটাও বেশ পরিচিতি পেয়েছে। আর অভিনয় সেতো একেবাকে অসম সালা....![বলিউড কলিং! অ্যাঙ্কারিং নয়, অভিনয় করতে মুম্বই চললেন মীর!]
মীরাক্কেল-এর সঞ্চালক, 'ব্যান্ডেজ'-এর ভোকালিস্ট, রেডিও মিরচির হাই কলকাতা এবং সানডে সাসপেন্স-এর প্রাণ ইনি, খাস খবর-এ সংবাদপাঠকের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখনও যদি এনার নামটা বলে দিতে হয়, তবে ধিক্কার আপনাকে।[সোস্যাল মিডিয়ায় 'নীতি পুলিশ'-এর শিকার মীর, দিলেন উপযুক্ত জবাব]
অসম সালা এবং পাগলা চুলকে নে-র মতো মহান সৃষ্টির স্রষ্টা ইনি। এর পরেও কী বলতে হবে আমরা এতক্ষণ মীর আফসার আলি ওরফে মীরের কথা বলছিলাম?
এতো গেল গুনের কথা। আর রূপ? সেকথা বললে তো ইনি ছদ্মবেশী, কখনও মনমোহন, কখনও লালুপ্রসাদ, কখনও পিসি সরকার, কখনও ঝিঙ্কু পিসি, কখনও আবার চেগুয়েভারা, বাবা মহাদেব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকেও ছাড়েননি। আর কলোম্বাসকে তো একেবারে গিলে খেয়েছেন। বিশ্বাস না হলে দেখে নিন মীরের ছদ্মবেশের কয়েকঝলক দেখে নিন।
মনমোহন সিং
ইনস্তাগ্রামে এই ছবিটি শেয়ার করেছেন মীর। যার ক্যাপশন, ৯ আগস্ট, ১৯৪২ - ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ - স্বাধীনতা দিবস, ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ - প্রজাতন্ত্র দিবস, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬ - মুখ খুলেছেন মনমোহন।
ঝিঙ্কু মামণি
কে বলবে ইনি পুরুষালি চেহারার এক পুরুষ। মেক আপ নিয়ে তিনি এক্কেবারে ঝিঙ্কু মামণি।
ড্রামাসুর
ইনি মহিষাসুর নন, ইনি ড্রামাসুর। মানে গিয়ে ড্রামা করা অসুর। ব্যান্ডেজের সঙ্গে এই অবতারেই পুজের শো করেছেন মীর। যেখানে তিনি অসুরের মনের দুঃখ-যন্ত্রণা কৌতুকে মুড়িয়ে পেশ করেছেন। সঙ্গে গেয়েছেন গানও।
মাস্টারমশাই
মীর যখন মাস্টারমশাই। এ এক্কেবারে জাঁদরেল মাস্টার। ছাতা দিয়ে পেটায়ও। মীরাক্কেলের সেটে। শিক্ষক দিবস স্পেশ্যাল পর্বে।
কবিগুরু
পেন্নাম 'ঠাকুর'...রবি ঠাকুর। জিনিয়াস না হলে এভাবে কবিগুরির গেটআপে এমন একটা অভিব্যক্তি কেউ দিতে পারে? এখানে তো বলতেই হয় 'আপনি থাকছেন স্যার'।
মাস্টার মীর চি
শুধু ছবি নয়, এই ছবির ক্যাপশনটা আরও ভাল। মাস্টার মীর-চি (রেডিও মিরচি)। হিউমারের সঙ্গে ইনটালেক্টটা যে মীরের পরতে পরতে রয়েছে এই ক্যাপশন তারই প্রমাণ। আর গেট আপটা তো একেবারে পাগলা চুলকে নে....!
নারদ মুনি
নারায়ণ...নারায়ণ! টিভির পর্দায় এত স্বচ্ছন্দে এমন নানা রূপ ধরতে কজনই বা পারেন। নারদ নারদ।
মহাদেব
নাম কোনও মহাদেব বাড়ুজ্জে, চাটুজ্জে নয়, ইনি একেবারে ব্যোম ব্যোম ভোলে মহাদেব। মানে স্বর্গের বিগ বসকেই খিল্লি করতে ছাড়েননি মীর। তবে মানিয়েছে কিন্তু বেশ।
কলোম্বাস
এই সেই কলোম্বাস। ৫৩৪ বছর বয়সে কলকাতায় এসে হাজির কলোম্বাস। সৌরভ পালধির পরিচালনায় কলকাতায় কলোম্বাস ছবিতে একেবারে মাতিয়ে দিয়েছেন মীর।