'চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা'- প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও গায়ক, এবার পুলিশের জালে
মার্শাল আর্টে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন এবং ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগী, কিন্তু এবার তিনি কী করলেন জানলে চমকে যাবেন।
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা এমনটাই প্রবাদ। আর এটাকেই ধ্যান জ্ঞান করে নিয়েছিলেন সূর্য বাহাদুর। তা নাহলে মার্শাল আর্টে দু'বারের জাতীয় পদক জয়ী কেন চুরি-ডাকাতির একাধিক কান্ডে অভিযুক্ত হিসেবে ধরা পড়বেন।
এক ডজনেরও বেশি চুরি ডাকাতির অভিযোগে সূর্য বাহদুর নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী সূর্য বাহাদুর মার্শাল আর্টে দু'বার জাতীয় স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এমনকী ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগীও ছিলেন । কিন্তু সেসব ছেড়ে চুরি-ডাকাতিকেই পেশা করে নিয়েছিলেন তিনি।
প্রায়
দু'ডজন
চুরি
ও
ডাকাতির
ঘটনার
সঙ্গে
জড়িত
সন্দেহে
এক
শাগরেদ-সহ
২৮
বছরের
গায়ক
সূর্যকে
গ্রেফতার
করেছে
দিল্লি
পুলিশ।
গত
২১
অক্টোবর
দিল্লির
রানহোলায়
এক
ব্যক্তির
মাথায়
বন্দুক
ঠেকিয়ে
সোনার
চেন,
এটিএম
কার্ড-সহ
মানিব্যাগ
ও
মোবাইল
ফোন
ছিনিয়ে
নিয়ে
পালিয়ে
যান
তাঁরা।
সেই
ঘটনার
তদন্ত
করতে
নেমে
পুলিশ
জানতে
পারে
সূর্য
এই
ঘটনার
সঙ্গে
জড়িত।
শুধু
তাই-ই
নয়,
তিনিই
নাকি
তিন
সদস্যের
এক
ডাকাত
দলের
মাথা।
বন্ধুমহলে
'ফাইটার'
নামে
পরিচিত
এই
গায়ক।
২০০৮
সালে
ইন্ডিয়ান
আইডলের
প্রাথমিক
রাউন্ড
পেরিয়ে
মূলপর্বের
জন্য
যোগ্যতা
পেয়েছিলেন
এই
সূর্য
বাহদুর।
কিন্তু
গালা
রাউন্ডে
কোনও
দিনই
পৌঁছতে
পারেননি।
এদিকে
তাইকোন্ডোতে
জাতীয়
চ্যাম্পিয়ন
হওয়ার
দাবি
করেছেন
গ্রেফতার
হওয়া
সূর্য।
তাঁর
বিরুদ্ধে
২৪
টি
চুরি
এবং
মোটর
গাড়ি
চুরির
অভিযোগ
রয়েছে।
ডিসিপি এমএন তিওয়ারি বলেন, "অভিযুক্তরা এক ডজনেরও বেশি চুরি-ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। বেআইনি অস্ত্র থাকার কথাও স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক, ৩২টি কার্তুজ, একটি পেপার স্প্রে এবং একটি স্কুটার উদ্ধার করা হয়েছে।"
তবে এটাই সূর্য বাহাদুরের প্রথমবার গ্রেফতার হওয়া নয়। ২০১৪ সালে তিনি জনকপুরীতে জিনিসপত্র চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবছর জুন মাসেও তাঁকে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল তিলকনগর থানার পুলিশ। যখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তখনই তাঁর থেকে একাধিক মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই সূর্য একাধিক বান্ধবী ছিল যাঁদের নিয়ে নিয়মিত পাঁচতারা হোটেলে যেতেন তিনি। অভিজাত জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া এই গায়ক ইউটিউবে নিজের ভিডিও পোস্ট করে রোজগার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা তাঁর উচ্চমানের জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আর তাই শেষ অবধি চুরি- ডাকাতি দিয়েই দারুণ মানের জীবন যাপন করতেন তিনি।