বক্সঅফিসে দারুণভাবে সাড়া জাগানো ‘পুষ্পা’ সিনেমার এই আটটি অজানা তথ্য জানেন কি?
বক্সঅফিসে দারুণভাবে সাড়া জাগানো ‘পুষ্পা’ সিনেমার এই আটটি অজানা তথ্য জানেন কি?
করোনা আবহে বক্স অফিসে দারুণভাবে সাফল্য অর্জন করেছে আল্লু অর্জুন অভিনীত 'পুষ্পা: দ্য রাইস’। দক্ষিণ হোক বা উত্তর দেশের প্রতিটি কোণায় পুষ্পা অসম্ভব ভালো সাড়া ফেলেছে। দর্শকদের দাবি মেনে এই সিনেমাটি ওটিটিতেও মুক্তি করানো হয়। বক্স অফিসে এই ছবিটি ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকার মার্কেট করে ফেলেছে। আল্লু অর্জুনের বিপরীতে এই ছবিতে দেখা গিয়েছে রশ্মিকা মন্দানাকে। সুকুমার পরিচালিত শুধু পুষ্পার গল্পই নয়, প্রত্যেকটা গান ও সংলাপ দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সিনেমার কিছু অজানা তথ্য, যা দর্শকরা এখনও জানেন না।
লাল চন্দন কাঠ পাচার নিয়ে গল্প
এই সিনেমায় আল্লু অর্জুন 'পুষ্পা' চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের পাহাড়ে লাল চন্দনকাঠ পাচার নিয়ে এই সিনেমার গল্প প্রধান। পরিচালক ঠিক করেছেন যে এই ছবিটি দু'টি অংশে মুক্তি করবে। এই ছবির প্রযোজক ওয়াই রবি শঙ্কর এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন যে আড়াই ঘণ্টায় পুষ্পার দীর্ঘ কাহিনী বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তাই এই সিনেমাটি দু'টি অংশে দেখানো হবে। 'পুষ্পা'র দ্বিতীয় অংশের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং ১০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন বলে জানা গিয়েছে।
পুষ্পার দ্বিতীয় অংশ
পুষ্পার ৮০ শতাংশ শুটিং হয়ে যাওয়ার পর নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন যে বাহুবলী-এর মতো এই ছবিটিও দু'টি ভাগে দেখানো হবে। তবে করোনা মহামারির কারণে শুটিং শুরু হতে একটু দেরি হচ্ছে।
প্রতিদিন ৩০০টি গাড়ির ব্যবহার শুটিংয়ে
'পুষ্পা'র অধিকাংশ দৃশ্যের শুটিং হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের মারেদুমিলির জঙ্গলে। এই পরিস্থিতিতে সিনেমার গোটা টিমকে জঙ্গলে নিয়ে যেতে হত। এই কাজের জন্য নির্মাতারা ৩০০টি গাড়ি রোজ ব্যবহার করতেন সিনেমার দলকে জঙ্গলে নিয়ে আসা ও ফেরত আনার জন্য। সিনেমার প্রথম দৃশ্যে বিপুল পরিমাণে চন্দনকাঠ দেখা গিয়েছে এবং তার জন্য প্রচুর লোকের প্রয়োজন ছিল। এর জন্য ১৫০০ মানুষকে একত্রিত করা হয়। পুষ্পা ছবির জন্য রোজ ৫০০ জন করে লোকের প্রয়োজন হত। একটা গানেই হাজার জন করে লোক ব্যবহার হয়েছে।
জঙ্গলে রাস্তা তৈরি করা হয়
শিল্প বিভাগের সহায়তায় লাল চন্দনের কারখানা দেখানো হয়েছে। চন্দন চোরাচালানের গাড়ির দৃশ্যের শুটিং করতে বেশ অসুবিধায় পড়েছিলেন নির্মাতারা। এর কারণ ছিল বনের খারাপ পথ। এমন পরিস্থিতিতে যাতায়াত যাতে সহজে করা যায় সেজন্য দলটি অনেক জায়গায় কাঁচা রাস্তা তৈরি করেছে।
আসল চন্দনকাঠ আটক করে পুলিশ
শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়তে হয়। কয়েকদিন ধরে কেরলের জঙ্গলে শুটিংও হয়েছে। এর জন্য দলটি চন্দনের কৃত্রিম বান্ডিল নিয়ে কেরলের বনে গিয়েছিল। সেখান থেকে দলটি ফেরার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সিনেমার শুটিংয়ের দলটি ব্যাখ্যা করে যে তারা শুটিংয়ের জন্য কৃত্রিম চন্দন কাঠের বান্ডিল ব্যবহার করছে।
আল্লু অর্জুন থেকে পুষ্পা হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে
আল্লু অর্জুন থেকে পুষ্পায় রূপান্তরিত হতে বহু সময় লেগেছে। পুষ্পার জন্য আল্লু অর্জুনের মেকআপে প্রায় দু'ঘণ্টা সময় লাগত। এরপর মেকআপ তুলতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হত অভিনেতাকে।
পোল্যান্ডের সিনেমাটোগ্রাফার
যে কোনো সিনেমায় সিনেমাটোগ্রাফার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি সিনেমার দৃশ্যগুলোকে জীবন্ত করে তোলেন। এমতাবস্থায় সিনেমাটোগ্রাফার মিরোসলা কুবা ব্রোজেক 'পুষ্পা'-এর প্রতিটি দৃশ্যকে দর্শনীয় করে তোলেন। ব্রোজেক পোল্যান্ড থেকে সিনেমাটোগ্রাফারের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণের সিনেমার জন্য কাজ করছেন।
‘পুষ্পা’র প্রথম ঝলক রেকর্ড গড়েছে
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে 'পুষ্পা' ছবির প্রথম ঝলক দেখা গিয়েছিল। ছবির টিজারে আল্লু অর্জুন একটি শক্তিশালী অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন। নির্মাতাদের মতে, পুষ্পার টিজারটি ১.৫ মিলিয়ন লাইক সহ টলিউডে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা টিজার হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।