দু'দশক ধরে চলা কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় কোন পথে সাজা সলমনের, ঘটনাবলী ঘিরে কিছু তথ্য
২ দশকে ৪ টি মামলা অবশেষে সাজা, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় এভাবই এগিয়েছে ঘটনাবলী। ১৯৯৮ সালের এই মামলায় অভিযুক্ত হন বলিউড তারকা সলমন , তাব্বু, সইফ আলি খান, নিলম, সোনালী বেন্দ্রে।
২ দশকে একাধিক মামলা অবশেষে সাজা, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় এভাবই এগিয়েছে ঘটনাবলী। ১৯৯৮ সালের এই মামলায় অভিযুক্ত হন বলিউড তারকা সলমন , তাব্বু, সইফ আলি খান, নিলম, সোনালী বেন্দ্রে। 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শ্যুটিংএর সময় এই হরিণ শিকারের ঘটনা ঘিরে সেই সময় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায় দেশজুড়ে। দেখে নেওয়া যাক ২০ বছর কেটে যাওয়া এই হত্য়া মামলার পর পর ঘটনাবলী।
মূল ঘটনা
১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শ্যুটিং চলছিল রাজস্থানে। অভিযোগ ওঠে, শ্যুটিংএর ফাঁকে সেখানের যোধপুরের কোঙ্কনি গ্রামে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন সলমন সহ সইফ আলি খান ও অন্যান্য তারকারা। আর সেই ঘটনাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সলমন খান। যদিও বাকি অভিযুক্তদের এই মামলায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সোনালি বেন্দ্রে, তাব্বু, নিলম , সইফ আলি খানরা। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে চলা মামলার সাপেক্ষে যেভাবে প্রক্রিয়া চলেছে দেখে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন:টিবি আক্রান্ত সহ অভিনেত্রী পূজা, পাশে দাড়ালেন কি সলমন! যা জানালেন 'সুলতান']
অভিযোগ
সলমনের বিরুদ্ধে এই বিরল প্রজাতির হরিণ হত্যার অভিযোগটি তোলেন, এলাকার বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ। সলমনদের বিরুদ্ধে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়। তার আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
কোন কোন ধারাতে মামলা?
সলমনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট -এ ৯/৫১ ধারাতে মামলা হয়। বাকি তারকাদের বিরুদ্ধে ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট -এর ৫২ ধরাতে মামলা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সমাবেশের অপরাধেও আইপিসি ১৪৯ -এ মামলা করা হয়।
ট্রায়াল কোর্টে সলমন
২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল এই মামলায় ট্রায়াল কোর্টে সলমন খানকে তোলা হলে তাঁকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা ও ৫ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। তারপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।এক সপ্তাহ জেলে ছিলেন সলমন।
মুক্তি পান সলমন
এরপর রাজস্থান হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। ফলে জেল থেকে মুক্তি পান সলমন। কিন্তু দেশ ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর সলমন খানকে তাঁর ওপর চলা যাবতীয় মামলা থেকে মুক্তি দেয়।
নভেম্বর ১১, ২০১৬ সাল
সুপ্রিমকোর্টের তরফে সলমানকে নোটিশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলায় ,সলমনকে ছেড়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করে রাজস্থান সরকার। সেই মর্মেই আসে নোটিস।
১৫ ফেব্রুারি, ২০১৭ সাল
সলমন খানের আইনজীবী জানান তাঁর মক্কেল নির্দেষ। যদিও সেই মর্মে তিনি প্রমাণ পেশ করতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান,. সমস্ত প্রমাণ ইতিমধ্যেই আদালাতের সামনে আছে। তখনই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
২৮মার্চ ২০১৮
এই মামলায় গত ২৮ মার্চ সলমান সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক মামলার সওয়াল জবাব চলে রাজস্থানের ট্রায়াল কোর্টে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট বিচারকে রিজার্ভে রাখেন।