জালিয়াতি মামলায় চার্জশিট তৈরির আগে কেন গ্রেফতার হননি জ্যাকলিন? দিল্লি আদালতের প্রশ্নের মুখে ইডি
বৃহস্পতিবার দিল্লি আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে জানান যে তারা যেন পক্ষপাতিত্ব না করে। শুধু তাই নয়, ইডি কেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে গ্রেফতার করেনি এবং এই মামলায় কেন তারা একাধিক মাপকাঠি ব্যবহার করছে এ নিয়েও প্রশ্ন করে আদালত। প্রসঙ্গত, সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকার অর্থ জালিয়াতি মামলার চার্জশিটে ইডি বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে অভিযুক্তদের তালিকায় রেখেছেন। এর আগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছিল, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সুরক্ষা পাবেন জ্যাকলিন। আর এই অন্তর্বর্তী জামিন চলাকালীন আদালতের নির্দেশে নতুন চার্জশিট এবং আনুষাঙ্গিক নথি সব পক্ষের আইনজীবীদের কাছে পেশ করবে ইডি। বৃহস্পতিবার ফের অভিনেত্রীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় আদালতে।
গ্রেফতার না করেই ইডির চার্জশিট গঠন
বিচারক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে প্রশ্ন করেন অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করেই কেন চার্জশিট গঠন করা হয়েছে আর এখন আদালতে এসে অভিনেত্রীর জামিনের বিরোধিতা করছে। আদালত স্পষ্ট বলে, 'আপনারা নিজেদের বাছাই করা নীতি বাস্তবায়ন করতে পারেন না। লুকআউট নোটিস এখনও খোলা রাখা যেতে পারে। কেন আপনার বিভিন্ন মাপকাঠি ব্যবহার করছেন? আপনারা নিজেদের নীতি বেছে তা কার্যকর করতে পারেন না।' এখানে উল্লেখ্য, দিল্লি আদালতে জ্যাকলিনের ২০০ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলার জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল। অন্তর্বতীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অভিনেত্রী স্বাভাবিক জামিন নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারবেন।
জামিনের বিরোধিতা করে ইডি
ইডি অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে জানায় যে অভিনেত্রী দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন। আদালত এখনও কোনও সমাধানে আসেনি এবং এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে ২৪-২৫ নভেম্বর। শুনানির সময়, তদন্তকারী সংস্থা ইডি অভিনেত্রীর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে এবং আদালতকে জানায় যে অভিনেত্রী কখনও ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করেননি তদন্তে। ইডি এও জানায় যে অভিনেত্রীর দেশ ছেড়ে পালানোর ঝুঁকিও রয়েছে। ইডি আদালতে জানান যে জ্যাকলিন তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার পরই বিস্তারিত সব জানান। আদালত ইডিকে জানায় যে জ্যাকলিনের সঙ্গে অগ্রাধিমূলক আচরণ করা যাবে না এবং সময় আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারংবার প্রশ্নের মুখে জ্যাকলিন
২০০ কোটি টাকার জালিয়াতি কাণ্ডে নাম যুক্ত হওয়ার পরই জ্যাকলিন দিল্লি আসেন ইডির প্রশ্নের উত্তর দিতে। জ্যাকলিন ইতিমধ্যে ইডি ও দিল্লি পুলিশের ইকোনমি অফেন্স উইং-এর মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি জ্যাকলিনের আইনজীবী জানিয়েছেন যে তাঁরা মর্যাদার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং অভিনেত্রী নির্দোষ। এমনকী এই মামলার মূল অভিযুক্ত চন্দ্রশেখর চিঠি লিখে দাবী করেছিলেন যে অভিনেত্রী কোনওভাবেই এই মামলার সঙ্গে জড়িত নন এবং তিনি অবগত ছিলেন না সুকেশ চন্দ্রশেখরের ব্যাপারে।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রতারণা কেস
সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিনের। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারেন যে সুকেশ জ্যাকলিনকে দামী দামী উপহার পাঠাতেন এবং তাঁদের দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে প্রায় ৩০টি মামলা রয়েছে।
অর্জুন কাপুরের বিয়ের প্রস্তাব মালাইকাকে, কি বললেন অভিনেত্রী জানেন?