আমার কেরিয়ার শেষ করতে চেয়েছিল সলমনের পরিবার, সুশান্তের মৃত্যু পর বিস্ফোরক দাবাং পরিচালক!
আমার কেরিয়ার শেষ করতে চেয়েছিল সলমনের পরিবার, সুশান্তের মৃত্যু পর বিস্ফোরক দাবাং পরিচালক!
বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই বিভিন্ন মহলে শুরু হয় বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে একের পর এক অভিযোগের বন্যা। সেই তালিকায় এবার যোগ হল চিত্রপরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের ভাই তথা সলমন খান অভিনীত দাবাংয়ের পরিচালক অভিনব কাশ্যপ।
ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক অভিনব
এক বিশাল লম্বা পোস্টে অভিনব কাশ্যপ অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিয়ে একের পর এক বাণ নিক্ষেপ করেন সালমান খান ও তাঁর পরিবারের দিকে। অভিনবের অভিযোগ, আরবাজ খান ও তাঁর পরিবার তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।
অভিনবকে সালমানের পরিবারের হুমকি
২০১০-এ দাবাং মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তাঁর সমস্ত প্রজেক্ট বন্ধ করা থেকে শুরু করে হুমকি দিয়েছে সলমন খানের পরিবারের সদস্যরা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগের তির দেগেছেন অভিনব। পরিচালকের অভিযোগ, একটা সময়ে সারাক্ষণ এই বিষয়টা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি এসব কারণে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদও হয় বলে অভিযোগ।
কেরিয়ারের কন্ট্রোল করতে চেয়েছিল
ফেসবুক পোস্টে অভিনব লেখেন, '১০ বছর আগে দাবাং টু থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম কারণ আরবাজ খান, সোহেল খান ও তাঁর পরিবারের যোগ আমি আর নিতে পারছিলাম না। তাঁরা আমার কেরিয়ারের কন্ট্রোল নিতে চেয়েছিল, আমাকে বারবার আমাকে হেয় করে গিয়েছে।'
প্রোজেক্ট বন্ধ করে দেয় আরবাজ-সোহেলরা
তিনি আরও লেখেন, 'শ্রী অষ্টবিনায়ক ফিল্মসের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় প্রজেক্ট হতে দেয়নি। আমি সই করার পর আরবাজ খান ব্যক্তিগতভাবে সেখানকার প্রধান রাজ মেহতাকে ফোন করেন এবং ভয় দেখান আমাকে নিয়ে কাজ করলে ফল ভুগতে হবে। ফলে আমায় সাইনিং অ্যামাউন্ট ফেরত দিতে হয়েছিল এবং ভায়াকম পিকচারসে যাই। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে।'
ভায়াকমের সিইও-কে হুমকি
অভিনবের অভিযোগ, 'এই সময় সামনে আসেন সোহেল খান এবং ভায়াকমের সিইও বিক্রম মলহোত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। আমার প্রজেক্ট মাঝ পথে আটকে যায় এবং সই করার রাশি সাত কোটি টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হয়। যা ছিল ৯০ লাখ টাকা। তখন আমায় বাঁচাতে এসেছিল রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট এবং বেসরম নিয়ে কাজ করা শুরু করি।'
কাজের ক্ষতি করতে শুরু করে সালমানরা
হুমকি পাওয়া নিয়ে অভিনব বলেন, 'আমার সমস্ত প্রজেক্ট ও ক্রিয়েটিভ কাজের ক্ষতি করতে শুরু করে এবং বারংবার আমার পরিবারের জীবন ও বাড়ির মেয়েদের ধর্ষণের হুমকি আসতে থাকে। নিজের উপর আস্থা হারাতে থাকি ও রাগ হতে থাকে। আর সে কারণেই ২০১৭ সালে পরিবারের থেকে দূরে যেতে থাকি, যা শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগে গিয়ে শেষ হয়।'
সালমানের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগাযোগে
এরপর তিনি সলমনের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগাযোগের অভিযোগ এনে লেখেন, 'আমি হার মানব না এবং লড়াই চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত তা হয় ওদের নয় আমাকে ধ্বংস করে দেয়। ওরা ওদের নোংরা টাকা দিয়ে শুধু প্রভাব খাটায়। রাজনৈতিক ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ওদের যোগাযোগের ফায়দা তুলে নতুন ট্যালেন্টদের দমিয়ে দেয়। অনেক সহ্য করেছি। এবার ঘুরে দাঁড়াবার সময়।'
স্বজনপোষণ সহ্য করে আমি টিকে রয়েছি, দুর্ভাগ্য সুশান্ত পারলেন না! বিস্ফোরক প্রকাশ রাজ