'থর' খ্যাত ক্রিস হেমসওয়ার্থের মুখে স্পষ্ট বাংলা! নেটফ্লিক্সের 'এক্সট্র্যাকশন'-এ বুঁদ বাঙালি দর্শক
লকডাউনে কী করবেন বুঝতে না পেরে নেটফ্লিক্সে লগইন করলেন। নতুন সিনেমা 'এক্সট্র্যাকশন' রিলিজ করেছে। 'থর' খ্যাত ক্রিস হেমসওয়ার্থও আছেন সিনেমাতে। গল্পের প্রেক্ষাপট ঠাকা-মুম্ইয়ের ড্রাগলর্ডদের রেষারেষি। আপনি বেশ ইন্টারেস্ট নিয়ে সেটা দেখতে শুরু করলেন। হঠাৎ করেই ক্রিস হেমসওয়ার্থের মুখে শুনলেন 'প্রমাণ দাও'। ঠিক শুনলাম তো! এই ভেবে ফের দেখার দরকার নেই সিনটা। স্পষ্ট বাংলাতেই কথাগুলে বলেছেন ক্রিস।

এক ফ্রেমে হলিউড-বলিউড
গত বছর যখন হলিউড অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থ যখন মুম্বাইয়ে শুটিং করেন, সেই সময় থেকেই এই ছবি নিয়ে উদ্দীপনার শুরু। হলিউড স্টার ক্রিস ছাড়াও সিনেমাটিতে রয়েছেন বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা রণদীপ হুডা এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠী।

বাঙালিদের বিশেষ আগ্রহের কারণ
তবে সিনেমাটি নিয়ে বাঙালি ও বিশেষ করে বাংলাদেশী দর্শকদের আগ্রহ আরও বেশি। গল্পের শুরু মুম্বইতে হলেও সিনেমার সিংহভাগ ঢাকার প্রেক্ষাপটে। এতে বাংলা ভাষারও ব্যবহার রয়েছে। নেটফ্লিক্সের বেশিরভাগ প্রডাকশনের মতোই এই সিনেমাতেও গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি মিশিয়েই সংলাপ সাজানো হয়েছে।

অ্যাকশনে পরিপূর্ণ গল্প
ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের দুই গ্যাং লর্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও একটি কিডন্যাপ দিয়ে গল্প শুরু। অপহৃত এক কিশোরকে উদ্ধার করতেই বাংলাদেশে পা রাখবেন ক্রিস অভিনীত টাইলার রেক নামক চরিত্রটি। অ্যকশনে ভর্তি সিনেমাটিতে রয়েছে পরপর গুলি বোমা বর্ষণের পাশাপাশি বাংলা ভাষার মুহূর্মুহূ প্রয়োগ।

রয়েছেন কলকাতার অভিনেতারাও
ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও সিনেমাটির শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। এদিকে সিনেমায় রয়েছেন কলকাতার দুই অভিনেতা। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শতাফ ফিগার। এছাড়া রয়েছেন কলকাতার নবীন প্রজন্মের অভিনেতা শৌনক কুণ্ডু।

ভারত-কেন্দ্রিক কনটেন্টে মন নেটফ্লিক্সের
নেটফ্লিক্স এখন প্রবলভাবে ভারত-কেন্দ্রিক কনটেন্ট তৈরিতে আগ্রহী কারণ বিগত আর্থিক বছরে এদেশে নেটফ্লিক্স যতটা আয় করবে ভেবেছিল, তার দ্বিগুণেরও বেশি ব্যবসা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। আর তাই আরও বেশি করে দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক প্রোজেক্টে মোননিবেশ করছে নেটফ্লিক্স।