জমেও ঠিক জমল না অভিষেক বচ্চনের ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ব্রিদ: ইন্টু দ্য শ্যাডোস
অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে ব্রিদ: ইন্টু দ্য শ্যাডোস, এই ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে বহুদিন পর পর্দায় দেখা গেল জুনিয়র বচ্চনকে। এই ওয়েব সিরিজে ভর্তি দক্ষ তারকারা থাকা সত্ত্বেও দর্শকের প্রত্যাশাতে পৌঁছানোর জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে এই সিরিজকে। অন্তত সেরকমই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ১২টি পর্বের প্রথম ছয়টি পর্বে।

অভিষেকের ডেবিউ
ব্রিদ: ইন্টু দ্য শ্যাডোসের মাধ্যমে ডিজিটাল ডেবিউ করলেন বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও মালায়ালাম অভিনেত্রী নিত্যা মেনন, যাঁকে তাঁর হিন্দি সিনেমার দর্শকরা মিশন মঙ্গলের চরিত্রের জন্য বেশি ভালো মনে রেখেছে। ছবির কাহিনীকার পরিচালক ময়ঙ্ক শর্মা, ভবানি আইয়ার, বিক্রম তুলি ও আরশদ সয়ৈদ।

ব্রিদ: ইন্টু দ্য শ্যাডোস–এর কাহিনী
ব্রিদের গল্প শুরু হয়েছে ডাঃ অবিনাশ সভরওয়াল (অভিষেক বচ্চন) ও আভা (নিত্যা মেনন) ও তাঁদের ৬ বছরের মেয়ে সিয়ার অপহরণ দিয়ে। ন'মাসেও এই দম্পতি যখন তাঁদের মেয়েকে খুঁজে পান না, তখন হঠাৎই অপহরণকারী রহস্যপূর্ণ ও পাজলিং বার্তা পাঠাতে শুরু করে ও অভিষেককে খুন করতে বলে যদি তাঁরা তাঁদের মেয়েকে জীবিত দেখতে চায়। সুতরাং, শেষ পর্যন্ত একটি সুন্দর দম্পতি হত্যাকারী হয়ে ওঠে এবং দর্শকদের একমাত্র যুক্তিই দেওয়া হয় যে ‘আপনি যদি নিজের পরিবারকে বাঁচাতে চান তবে সবকিছু করতে হবে আপনাকে।'

অভিষেক বচ্চনের চরিত্রকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি
অমিত সাধ এই ওয়েব সিরিজে কবীর সাওয়ান্ত নামে এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। আগের সিজনেও তাঁকে এই ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল এবং তিনি যথেষ্ট ভালো অভিনয় করেছিলেন। তবে নিত্যা ও অভিষেক বচ্চনের চরিত্রটিকে ভালো করে তুলে ধরা হয়নি। একসঙ্গে অনেক কিছু দেখানোর ফলে পরিচালক সন্তান অপহরণ হয়ে যাওয়ার পর মা-বাবার আবেগ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও পার্শ্ব চরিত্রে থাকা সায়ামি খের, রেশম শ্রীবর্ধন, শ্রুতি বাপনা, নিঝলগল রবি দারুণ অভিনয় করেছেন। এছাড়াও কবীর সাওয়ান্তের দৃশ্যগুলি যথেষ্ট ভালো ছিল।
ব্রিদ সিরিজের প্রথম পর্ব বেশি রহস্যময়
আপনি যদি ব্রিদের প্রথম সিজন না দেখেন তবে এই সিজনের ব্রিদ আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে যেরকমটা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এই ওয়েব সিরিজের বাকি ছ'টি পর্ব যেন থ্রিলারে ভরপুর থাকে।
