(ছবি) যে বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনী অফার ফিরিয়েছেন
বলিউডে এমন বেশ কিছু তারকা রয়েছেন যারা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফারকে সটান ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারা রয়েছেন সেই তালিকায় তা জেনে নিন একনজরে।
বলিউড অভিনেতা অভয় দেওল স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে তারকাদের ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করা নিয়ে একহাত নিয়েছেন শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, বিদ্যা বালন, শাহিদ কাপুরদের। এই তারকাদের করা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন শেয়ার করে তিনি উদাহরণ দিয়ে জানিয়েছেন, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো নিয়ে এই ধরনের বিজ্ঞাপনী প্রচার আসলে অর্থহীন, মিথ্যা ও বর্ণবিদ্বেষী।
জেনে নিন সলমনের পছন্দের সেরা দশ গান
বলিউড তারকাদের গোপন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
অভয় দেওলের এই পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ এর সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তবে বলিউডে এমন বেশ কিছু তারকা রয়েছেন যারা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফারকে সটান ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারা রয়েছেন সেই তালিকায় তা জেনে নিন একনজরে।
অনুষ্কা শর্মা
২০১৫ সালে ফেয়ারনেস ক্রিমের এনডোর্সমেন্টের অফার ফিরিয়ে দেন অনুষ্কা শর্মা। একেবারে জনসমক্ষে বলেন, আমি এই ধরনের বিজ্ঞাপন করবে না যেভাবে বর্ণবিদ্বেষী ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। আমি এমন কোনও ভাবনাকে প্রশ্রয় দেব না যা বলবে এটা ঠিক বা এটা ভুল। [১০ বলিউড সেলেবস যাঁরা ফেসবুক, টুইটারকে ঘৃণা করেন]
রণবীর কাপুর
২০১১ সালে রণবীর কাপুর একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফার ফিরিয়ে দেন। বলিউডের এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা অভিনেতার মতে ভারতীয় মানসিকতায় এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষী ভাবনা জোর আঘাত করে। [বলিউডের নিষিদ্ধ ছবি যা সিনেমাপ্রেমীদের দেখা উচিত]
কঙ্গনা রানাউত
বরাবরই স্পষ্টভাষী বলিউডের কুইন কঙ্গনা রানাউত। ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের জন্য কঙ্গনাকে ২ কোটি টাকা অফার করা হয়। তবে তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তারকা হওয়ার পর এই ধরনের বিজ্ঞাপন করলে কী ধরনের উদাহরণ তৈরি হয় যুবসমাজের কাছে? নিজেই এবিষয়ে মতামত জানিয়ে অফার ফিরিয়ে দেন তিনি। তাঁর মতে, পাবলিক ফিগার হিসাবে তাঁর দায়িত্ববোধ থেকেই এই কাজ তিনি করেছেন।
স্বরা ভাস্কর
২০১৫ সালে 'অনারকলি অব আরাহ' সিনেমা খ্যাত অভিনেত্রী স্বরাকেও একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফার দেওয়া হয়। তাঁকে মোটা টাকা অফারও করা হয়েছিল। তবে তিনি তা অবলীলায় ফিরিয়ে দেন।
রণদীপ হুডা
এই তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেতা রণদীপ হুডারও। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের বিজ্ঞাপনে তিনি বিশ্বাস করেন না। এমন পুরুষদের ক্ষেত্রে সবসময় 'টল, ডার্ক ও হ্যান্ডসাম' হওয়া উচিত। ফলে অনেক টাকার অফার পেয়েও তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
কলকি কোয়েচলিন
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক আলোচনাসভায় কলকি জানিয়েছেন, ফরসা হওয়া কোনও অপরাধ নয়। তবে আমাদের দেশে যেভাবে সকলে এর পিছনে ছোটে তা একেবারে অন্যরকম। বহু বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন যারা কালো। আমি নিজে অ্যান্টি এজিং ক্রিমের বিজ্ঞাপন করেছি কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তবে ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন কখনও করিনি আর করবও না।