পাঞ্জাব জঙ্গিদের আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা কঙ্গনার
পাঞ্জাব জঙ্গিদের আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা কঙ্গনার
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদ, ফুঁসে উঠলেন মোদী অনুরাগী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। পাঞ্জাবকে জঙ্গিদের আঁতুরঘর বলে সরাসরি নিশানা করলেন বলিউড অভিনেত্রী। এর আগেও বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমর্থনে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতকে। একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেই বিতর্কিত মন্তব্য করতে পিছুপা হচ্ছেন না অভিনেত্রী। নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
কংগ্রেসকে নিশানা কঙ্গনার
বরাবরই মোদী অনুরাগী কঙ্গনা রানাওয়াত। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমর্থনে কথা বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে গলদের খবর কানে যেতেই নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারেননি। ইনস্টা পোস্টে স্টোরি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পাঞ্জাবে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জা জনক। মাননিয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত প্রতিনিধি। ১০৪ কোটি ভারতবাসীর সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। তাঁর উপর হামলা দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উপর হামলার সমান। এমনকী দেশের গণতন্ত্রের উপরেও হামলার সামিল। পাঞ্জাব জঙ্গি কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা এখনই থামানো না গেলে ভবিষ্যতে বড় মূল্য দিতে হবে।
নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ
গতকাল পাঞ্জাবের ফিরোজ পুরে ৪২,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু যে ব্রিজ দিয়ে তাঁর কনভয়ে যাচ্ছিল সেখানে হঠাৎ করে প্রচুর ভিড় হয়ে যায়। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় সেদিকে না গিয়ে ফিরে যায়। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় গদল অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কীভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়ের সামনে এই বিপুল জনসমাগম হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী গতিপথের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাঞ্জাব সরকারের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
তদন্ত কমিটি গঠন
ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব সরকার এই নিয়ে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ৩ দিনের মধ্যে সেই কমিটি রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন চান্নি সরকার। এদিকে আবার সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে মামলা শুরু হয়েছে আগামিকাল সেই মামলার শুনানি। প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তায় গলদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই নিয়ে প্রদানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেছেন রাষ্ট্রপতি।
বিজেপিকে নিশানা কংগ্রেসের
কংগ্রেস আবার পাল্টা আক্রামণ শানিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছে ফিরোজপুরে মোদীর সভায় একটিও লোক হয়নি। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মাঝ পথ থেকে ফিরে যান। এবং জনগনের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যেই নিরাপত্তায় গাফিলতির অজুহাত দিয়েছেন। নইলে প্রধানমন্ত্রীর গতিপথ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেটা রাজ্যপুলিশের পক্ষে জানার কথা নয়।