বাংলায় এবার টলিউড দখলে বিজেপি! মুকুল-দিলীপগোষ্ঠী আলাদাভাবে নামছে ময়দানে
ক্লাব থেকে এলাকা, এই মুহূর্তে 'দখলের রাজনীতি' তে সরগরম গোটা বাংলা । এককালে তৃণমূলের দখলে যা কিছু ছিল তাই এবার দখলে আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
ক্লাব থেকে এলাকা, এই মুহূর্তে 'দখলের রাজনীতি' তে সরগরম গোটা বাংলা । এককালে তৃণমূলের দখলে যা কিছু ছিল তাই এবার দখলে আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ২২-১৮ হওয়ার পর থেকেই মমতার গড় ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে আরও জোর বাড়াচ্ছে পদ্মশিবির। বাংলায় বিভিন্ন পুরসভা, ক্লাব, পঞ্চায়েতে থাবা বসানোর পর এবার পদ্মশিবিরের লক্ষ্য় টলিউড। আর সেজন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি। তবে এক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে টলিউডের '৭০ এমএম' -এধরা দিচ্ছে অমিত শাহের দল।
টলিউডে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি!
টলিউডে সংগঠন গড়ে তুলতে মুকুল রায় ময়দানে নামিয়েছেন তাঁর সঙ্গী শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। অন্যদিকে , দিলীপ ঘোষের তুরুপের তাস এক্ষেত্রে ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। সেলেব হিসাবে পরিচিত হলেও, অভিনয়ে বা ক্যামেরার নেপথ্যে এঁদের কাউকেউ সেভাবে পাওয়া যায়নি। তবে টলিউডে বিজেপির সংগঠন মজবুত করতে এই দুই সেনাপতিকে নিয়েই মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠী এগিয়ে যেতে চাইছে বলে খবর।
দু'টি আলাদা সংগঠন ও টলিউডে ভাঙন
শঙ্কুদেব পণ্ডার সংগঠন 'বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ' ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। সংগঠন , টলিউডের কলাকুশলীদের পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনকে মুম্বই পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চাইছে। আর সেই জন্য মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে শঙ্কুদেবের সংগঠনের সমর্থনে মুখ খুলেছেন বিখ্যাত টলিউড অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে , অগ্নিমিত্রা পলের সংগঠন ,' ইস্টার্ন ইন্ডিয়া টেলি সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড আর্টিস্ট ফেডারেশন' যদিও সেভাবে এখনও আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি।
সিন্ডিকেট রাজ ও টলিউড
বিজেপির সংগঠনগুলির দাবি, টলিউড জুড়ে যে সিন্ডিকেট রাজ চলছে , তা বিনাশ করতেই এবার মাঠে নামছে বিজেপি। আর তার জন্য এবার আন্দোলনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা তথা স্বনামধন্য তারকা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে সামনে রাখছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই টলিউডে কলাকুশলীদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক ও পাওনা পারিশ্রমিক দাবি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনে আর্টিস্ট ফোরামের সদস্য হিসাবে মুখ খোলেন তিনি। এবার সেই কলাকুশলীদের পরিস্থিতি নিয়ে সরব প্রসেনজিতের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।