চলচ্চিত্রের এমন কয়েকজন বাঙালি নারী, পুরুষতান্ত্রিক সমাজেও যাঁরা উজ্জ্বল
চেনা পরিচিত ঘেরাটোপ পেরিয়েছেন বাংলা মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালকরা। অপর্ণা সেন থেকে সুদেষ্ণা রায়, কিংবা সোনালী বোস, ..বিভিন্ন সময়ে একাধিক মন ছুঁয়ে যাওয়া ছবি উপহার দিয়েছেন বাঙালির মহিলা চলচ্চিত্র পরিচা
সমানাধিকারের প্রশ্নে নারীবাদের দাপট নিয়ে বহু বার বহু বিতর্ক উঠেছে। বিতর্ক উঠেছে মহিলা ফিল্ম পরিচালকরা শুধুই নারীবাদের কথাই তুলে ধরেন কী না তা নিয়ে। একটা সময় ধারণা এমনও ছিল যে, মহিলা পরিচালকদের ছবি মানেই মহিলা সমস্যার কথাই শুধু ছবিতে তুলে ধরা হবে। এই সমস্ত চেনা পরিচিত ঘেরাটোপ পেরিয়েছেন বাংলা মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালকরা। অপর্ণা সেন থেকে সুদেষ্ণা রায়, কিংবা সোনালী বোস, ..বিভিন্ন সময়ে একাধিক মন ছুঁয়ে যাওয়া ছবি উপহার দিয়েছেন বাঙালির মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালকরা।
অপর্ণা সেন
পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত অপর্ণা সেন বিভিন্ন সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর অবদান যতটা, ততটাই তিনি পরিচালক হিসাবেও সফল। ১৯৮১ সালের '৩৬ চৌরঙ্গি লেন' ফিল্ম দিয়ে শুরু তাঁর পরিচালনার সফর। এই ফিল্মের হাত ধরে তিনি সম্মানিত হন জাতীয় পুরস্কারে। এরপর এই সফরে সাফল্যের পালক যোগ করে, ' ১৫ পার্ক অ্যাভিনিউ', 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার', 'পরমা', 'পারমিতার একদিন'-এর মতো ছবি। আগামী সময়ে তাঁর হাত ধরে নতুন করে সেলুলয়েড বন্দি হতে চলেছে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত উপন্যাস'ঘরে বাইরে' ।
সোনালী বোস
২০০৫ সালের ছবি 'আমু' দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল পরিচালক সোনালী বোসের। ১৯৮৪ -র শিখ দাঙ্গা নিয়ে এই ছবি তুলে ধরেছিল কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়। এরপর তাঁর অনবদ্য ছবি 'মার্গারিটা উইথ স্ট্র' মন ছুঁয়ে যায় বহু চলচ্চিত্র সমালোচকের। সোনালী বোস তাঁর পরবর্তী ছবি 'দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক ' -এর জন্য আপাতত ব্যস্ত। যে ছবিতে অভিনয় করছেন ফারহান আখতার, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
সুদেষ্ণা রায়
সাংবাদিক হিসাবে কেরিয়ারের শুরুটা হলেও, পরবর্তীকালে সুদেষ্ণা রায় পরিচিতি পান সফল পরিচালক হিসাবে। ২০০৪ সালে তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি 'শুধু তুমি' মুক্তি পায়। এরপর ধীরে ধীরে বক্স অফিস যুদ্ধ জন করতে থাকে, 'বাপি বাড়ি যা',' তিন ইয়ারি কথা',' বিয়ে নট আউট'। অভিজিৎ গুহর সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি পরিচালনা করেন এই ছবি।
অরুন্ধতী দেবী
স্বর্ণযুগের
অভিনেত্রী
অরুন্ধতী
দেবী
বাংলা
চবিকে
বিভিন্ন
সময়ে
সমৃদ্ধ
করেছেন।
শুধু
অভিনেত্রী
হিসাবে
নয়,
পরিচালক
হিসাবেও
তিনি
মন
ভরিয়েছেন
দর্শকের।
১৯৬৭
সালের
তাঁর
পরিচালিত
ছবি
'ছুটি'
সম্মানিত
হয়
জাতীয়
পুরস্কারে।
তবে
তাঁর
পরিচালিত
ছবি
'পদি
পিসির
বর্মী
বাক্স'
সবচেয়ে
বেশি
জনপ্রিয়
হয়।
নন্দিতা রায়
শিবপ্রসাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি বাংলা চলচ্চিত্রকে দিয়ে চলেছেন নন্দিতা রায়। 'বেলাশেষে','প্রাক্তন'-এর মতো একাধিক বিখ্যাত ছবি পরিচালনা করেন নন্দিতা।
শতরূপা সন্যাল
তিনি একদিকে, প্রযোজক, অভিনেত্রী, কবি অন্যদিকে তিনি পরিচালক। এমনই এক ব্যক্তিত্ব শতরূপা সান্যাল। 'অনু', 'আততায়ী'-এর মত বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছবিতে তিনি জয় করে নেন দর্শক মন।