নারী দিবসে ফিরে দেখা টলিউডের এই অনন্য বাঙালি মহিলা চরিত্রগুলিকে
কখনও মা, কখনও মেয়ে, কখনও স্ত্রী কিম্বা বান্ধবী কখনও আবার বোন বা দিদির ভূমিকায়, নারীর গুরুত্ব নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার নয়!
কখনও মা, কখনও মেয়ে, কখনও স্ত্রী কিম্বা বান্ধবী কখনও আবার বোন বা দিদির ভূমিকায়, নারীর গুরুত্ব নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার নয়! জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে কোনও না কোনও ভূমিকায় নারীর প্রভাব অনেককেই প্রভাবিত করেছে কিম্বা করে। নারী ও নারীবাদকে কুর্ণিশ জানিয়ে একাধিক ছবিতে বহু অনুপ্রেরণামূলক নার চরিত্র তুলে ধরেছে টলিউড। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত চরিত্রদের।
ভীতু
এক ধর্ষকের মুখো খুলে দেওয়ার কাহিনি বলেছে 'ভীতু'। পার্নো মিত্র ও সুদীপ্তা চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবিতে রয়েছেন ঋত্বিক ও সাহেব। একটি ধর্ষণের ঘটনা ও তাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা.. এই টানাপোড়েনেই আস্তে আস্তে মুখোশ খুলেছে ধর্ষকের। এই গল্পকেই তুলে ধরেছে বাংলা ফিল্ম ভীতু।
দহন
লড়াই
একজন
মহিলাকে
কতটা
শক্তিশালী
করতে
পারে,
আর
সেই
লড়াইয়ের
আগুনেই
আরও
একজন
মহিলা
কতটা
দুর্বল
হয়ে
গিয়ে
ধীরে
ধীরে
নিজেকে
ভস্মীভূত
করতে
থাকে,
তাই
তুলে
ধরেছে
ঋতুপর্ণ
ঘোষের
ছবি
'দহন'।
এক
গৃহবধূ
যাঁকে
স্বামীর
চোখের
সামনেই
স্থানীয়
গুণ্ডারা
শ্লীলতাহানি
করে।
কেউ
সাহায্য
করছে
না
দেখে
এক
শিক্ষিকা
এগিয়ে
আসে
গৃহবধূর
সাহায্যে।
এই
একটা
ঘটনা
কীভাবে
পাল্টে
দেয়
ওই
গৃহবধূর
জীবন
তাই
নিয়েই
এই
ছবি।
পারমিতার একদিন
এই ছবি নারীর প্রতি নারীর আন্তরিক ভাবনার ছবি। এক নারীর সঙ্গে নারীর সম্পর্কের ছবি। শাশুড়ি পুত্রবধূর বন্ধুত্ব আর সেই বন্ধুত্বের জেরে শাশুড়িকে আঁকড়ে ধরার কাহিনি অপর্ণা সেনের 'পারমিতার একদিন।'শনকা ও পারমিতা সম্পর্কে শাশুড়ি ও বউমা। বয়স, ব্যাকগ্রাউন্ড, চিন্তাশক্তিতে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দুজনের মধ্যে এক অনন্য সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সম্পর্ক নিয়েই এই ছবি।
পরমা
ছবির গল্প এক গৃহবধূ পরমাকে নিয়ে। নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রাখী গুলজার। ৪০ বছরের এক গৃহবধূ যার অস্তিত্ব শুধুমাত্র, 'বউমা', 'কাকিমা', 'বৌদি' এমন নানবিধ সম্পর্কের ডাকেই আটকে ছিল। এরপর রাহুল নামের এক পুরুষ তার জীবনে আসে। যে বয়সে অনেক ছোট হয়েও পরমাকে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে শিখিয়েছিল।
রাজকাহিনী
সৃজিত পরিচালিত এই ফিল্মের কাহিনি ছবি এঁকেছে এক পতিতাপল্লীর। যেখানে মহিলারাই আটকে দিতে চয়েছিলেন দেশভাগ। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গের বেড়া জাল আটকানোর চেষ্টায় চরম আত্মবলিদান দেন এঁরা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আঁচ পড়ে এক পতিতাপল্লিতে। কীভাবে তার বিরুদ্ধে কর্তৃী বেগম জানের (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) নেতৃত্বে তারা এই অবিচারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা নিয়েই এই গল্প।
[আরও পড়ুন: নারী চরিত্রকে অসামান্য শিল্পনৈপূণ্যে এই ছবিগুলিতে তুলে ধরেছে বলিউড ]