
বিমানে উঠতে পারেননি বলে অনুযোগ পোস্ট ঋতুপর্ণার, নাম না করে পাল্টা খোঁচা শ্রীলেখার
বিপত্তি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের একটি ফেসবুক।পোস্ট নিয়ে। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে নিজের একটি খারাপ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। তিনি ছবি সহ লিখেছেন শুটিংয়ে কারণে মঙ্গলবার ভোরে তাঁর আমেদাবাদ যাওয়ার কথা ছিল৷ কলকাতা বিমান বন্দর পৌঁছে একটু দেরি করে ফেলেন তিনি! এরপর রবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা তাঁকে বিমানে চাপতে দেননি! ঋতুপর্ণার এই পোস্ট সামনে আসতে সমর্থন ও বিরোধিতা দুই-ই শুরু হয়।

খুবই আকস্মিকভাবে ঋতুপর্ণার এই পোস্টের কিছুক্ষণ পর অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, 'ট্রেন হোক বা প্লেন নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা।' ঋতুপর্ণার পোস্টের পরই শ্রীলেখার এই পোস্ট নিয়ে যথারীতি জল্পনা শুরু হয়৷ যদিও এরপর এক বাংলা দৈনিককে প্রশ্নের উত্তরে শ্রীলেখা জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কাউকে উদ্দেশ্য করে নয় বরং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এই পোস্ট করেছেন৷
তবে শ্রীলেখা যাই বলুন না কে তার সমর্থক বা যাঁরা তাঁকে ফলো করেন তাঁরা জানেন বাংলা সিনেমা জগৎ এ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা এই জুটির বিরুদ্ধে একাধিকবার ফ্লিমইনডাস্ট্রিতে প্রভাব খাটিয়ে লোককে কাজ দেওয়া বা আটকানোর অভিযোগ এনেছেন শ্রীলেখা৷ যদিও এবারে তিনি সরাসরি ঋতুপর্ণার নাম নেননি তবে বিশেষজ্ঞদের মতে তাঁর ফেসবুক পোস্ট কিন্তু এমনি এমনিই ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি থেকে সিনেমা বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা মত দিতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী শ্রীলেখাকে।
৪৬৬ এনজিওকে তাদের 'ফরেন ফান্ড লাইসেন্স' পুনর্নবীকরণে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র
প্রসঙ্গত ঋতুপর্ণার পোস্টের কমেন্টে বক্সে অবশ্য অনেকে তাঁর এই অদ্ভুত দাবির সমালোচনা করেছেন। ঋতুপর্ণার ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বক্সে অর্ণব কুমার দাস নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'লেটে এসে ন্যাকামি করা আপনার থেকেই শিখতে হয়! ইন্ডিগো আপনার জন্য স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেয়নি। আপনার স্পেশাল ট্রিটমেন্ট এক্সপেক্ট করা উচিত হয়নি। ব্যাস।' হিমাদ্রী বিশ্বাস নামের আর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আপনার উপর যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ইন্ডিগো আজ যেটা করেছে সেটা ঠিকই করেছে কারণ কেউই নিয়মের উর্দ্ধে নন। নিয়মের কাছে আমি, আপনি বা অন্য যে কোনো ব্যক্তি, সবাই ই সমান এবং সাধারণ। আশা করি আপনি এই ঘটনাটির থেকে শিক্ষা নেবেন এবং পরের বার থেকে সঠিক সময়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছাবেন।'
(ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কিংবা শ্রীলেখা মিত্র সহ কারও কোনও ফেসবুক পোস্ট বা কমেন্টের সম্পাদনা করা হয়নি এই প্রতিবেদনে৷ সেগুলি যেমন রয়েছে সে রকমই তুলে দেওয়া হয়েছে।)