দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ থেকে ঋতুর সাথে জুটি, প্রসেনজিতের 'দৃষ্টিকোণ' থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর
' ইন্ডাস্ট্রি মানে প্রসেনজিৎ'! টলিউডের স্টুডিও পাড়ায় অনেকেই একথা বলে থাকেন। আগামীকাল তাঁর ছবি 'দৃষ্টিকোণ' মুক্তি পেতে চলেছে।
' ইন্ডাস্ট্রি মানে প্রসেনজিৎ'! টলিউডের স্টুডিও পাড়ায় অনেকেই একথা বলে থাকেন। একটি বিখ্যাত হেয়ার কালার প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনের পর থেকেই এই কথাটা বেশ চালু রয়েছে টালিগঞ্জের ইতিউতি। তবে, অনেকেই বলেন প্রসেনজিৎ, আজকের প্রসেনজিৎ হয়ে উঠতে পারতেন না , যদি না তাঁর সঙ্গে ঋতুপর্ণার জুটি এই অসামান্য সাফল্য দেখত। একজন স্টারের পক্ষে স্টারডাম পাওয়ার সফরে যতটা তাঁর পরিশ্রম লেগে থাকে, ততটাই প্রয়োজন হয় সহকর্মীদের সমর্থন। প্রযোজক, পরিচালক, সহ-অভিনেত্রী সকলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও একজন অভিনেতার কাজে বেশ প্রভাব ফেলে।
[আরও পড়ুন:দেবের 'হইচই' পাড়ি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক আঙিনায়! উজবেকিস্তানের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত]
[আরও পড়ুন:এবছরে ইদে টলিউডে আসছে 'সুলতান'! মুক্তি পেল আসন্ন ফিল্মের পোস্টার]
আজ টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে মেগাস্টার বলতে একজনই , তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আগামীকাল তাঁর ছবি 'দৃষ্টিকোণ' মুক্তি পেতে চলেছে। তার আগে ,দেখে নেওয়া যাক একাধিক বিষয়ে প্রসেনজিতের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই সমস্ত প্রসঙ্গ নিয়ে অকপট হয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির মেগাস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরবর্তী সময়টা কেমন ছিল?
দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অনেকদিন শ্যুটিং -ছবির বাইরে ছিলেন প্রসেনজিৎ। একবছর ছবি করেননি বুম্বা। তবে তারপর ফিরে এসে জুটি বাঁধেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে। ছবির নাম ছিল 'অবুঝ মন' । এরপর আর খুব একটা ফিরে তাকাতে হয়নি প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা জুটিকে। প্রসেনজিৎ বলছেন, সেই কঠিন সময় , হরনাথ চক্রবর্তী,স্বপন সাহা, সুজিত গুহর মতো পরিচালকরা তাঁর পাশে ছিলেন। তাঁকে ছবিতে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেন।
ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রথম ছবি ঘিরে কোন স্মৃতি মনে পড়ছে?
ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রসেনজিতের প্রথম ছবি 'নাগপঞ্চমী'। ছবির শ্যুটিং এ গিয়ে তখনএ পরিচিতি হয়নি নবাগতা ঋতুপর্ণার সঙ্গে, অথচ শ্যুটিং করার কথা ছিল বিয়ের প্রথম রাতের দৃশ্য! একই স্টুডিও তে শ্যুটিং করছিলেন মিঠুন। প্রসেনজিৎ স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন ,সেই সময় মিঠুন দা ঋতুপর্ণা সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন 'ভালো হাইট মেয়েটার!'
নব্বইয়ের দশকে শ্যুটিং করার কিছু স্মৃতি ?
নব্বইয়ের দশকে সেট-গুলো খুবই বড় ছিল । প্রসেনজিৎ বলছেন, সেই সময় ছবির জন্য বেশি টাকার বাজেট থাকতা না। আর তাই বড় সেট-এই একাধিক ফিল্মের শ্যুটিং হয়ে যেত।
তাপস পালের সঙ্গে স্টারডাম শেয়ার করার প্রসঙ্গ
মেগাস্টার প্রসেনজিৎ বলছেন, একটা সময় ছিল যখন তাঁকে আর তাপস পালকে 'গোল্ডেন জুবিলি হিরো' বলে তকমা দেওয়া হয়েছিল। তবে নব্বইয়ের দশকের সেই সময়ে, তাপস পাল ও প্রসেনজিতের চরম ফ্যান ফলোইং থাকলেও তাঁদের দুজনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। দুদনে একই মেক আপ রুম শেয়ার করতেন। শুয়ে থাকতেনও মেকআপ রুমের জারজীর্ণ খাটে। সেই সমস্ত দিন মনে করে আজও নস্টালজিক হয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ।
[আরও পড়ুন:তাপসকে 'দাদা সাহেব ফালকে এক্সলেন্স' পুরস্কার তুলে দিলেন রানা দগ্গুবাটি]
ঋতুপর্ণার সঙ্গে কাজ করা নিয়ে কোনও মজার স্মৃতি?
প্রসেনজিৎ বলছেন, ঋতুপর্ণা আর তিনি তাঁদের ছবির গানগুলির দৃশ্য নিয়ে বেশ উচ্ছসিত থাকতেন। গানের ভিডিও এডিট হয়ে আসলেই দুজনে মিলে তা দেখার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তবে এতটাই কাদের চাপ ছিল সেই সময়, যে একই দিনে দুটি ফিল্মের জন্য আলাদা শিডিউলে কাজ করতে হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ২-৩ টে পর্যন্ত শ্যুটিং করতে হত তখন। একবার 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' ছবির জন্য 'চোখ তুলে দেখ না' গানের শ্যুটিং এর ফাঁকে ঘুমিয়েই পড়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আর সেই ঘটনা মনে করে আজও মজা করেন প্রসেনজিৎ।
কেন 'দৃষ্টিকোণ'-এর জন্য রাজি হলেন ?
প্রসেনজিৎ বলছেন , 'প্রাক্তন' ছবিটি করার পর ঋতুপর্ণার সঙ্গে বহু ছবি করার প্রস্তাব এসেছিল। তবে 'দৃষ্টিকোণ' যেহেতু কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি তাই 'না' বলার সাহস হয়নি। তার চেয়েও বড় বিষয় ছিল ছবির গল্প। প্রসেনজিতের দাবি, এই ছবিতে এক অন্য বুম্বাকে আবিষ্কার করতে চলেছেন দর্শক।