বিয়ের ফাঁদে ফেলে সম্পত্তি হাতানোই ছিল ছক, অভিনেত্রী পরিমনির সহযোগী মৌ-এর কীর্তি চমকে ওঠার মত
বিয়ের ফাঁদে ফেলে সম্পত্তি হাতানোই ছিল ছক, অভিনেত্রী পরিমনির সহযোগী মৌ-এর কীর্তি চমকে ওঠার মত
বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমনির সহযোগি মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের কীর্তি শুনলে চমকে উঠবেন যেকেউ। ১১জনকে বিয়ে করেছেন মৌ। পুরোটাই সম্পত্তি হাঁকানোর ছক কষে। তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সম্পত্তি হাতানোর জন্য ফাঁদে ফেরে ধনীদের বিয়ে করাই ছিল পরীমনির সহযোগী মডেল মৌয়ের মূল ছক। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশের সিনেমা জগলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমনি। গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে মাদক কাণ্ডে। বাংলাদেশ পুলিশ দুপুের অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছ। আইস','এলএসডি'র মতো মাদক পরিমনির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশে অভিনয় জগতে বেশ সুখ্যাতি রয়েছে পরিমনির। একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সেই সুবাদেই বাংলাদেশের গ্ল্যামার জগতের অনেকের সঙ্গেই তাঁর পরিচয় রয়েছে। কিন্তু তিনি যে সরাসরি মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত সেকথা অনেকেই বিশ্বাস করবেন না।
পরীমনির আসল পরিচয় কী! মাদককাণ্ডের অভিযোগে বাংলা তোলপাড় করা এই অভিনেত্রীর কিছু অজানা কথা একনজরে
গ্রেফতার করা হয়েছে পরীমনির সহযোগী মডেল মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ ও ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে । এখন খবরের শিরোনামে রয়েছেন মৌ। বিপুল সম্পত্তির মালিক মডেল মৌ। মহম্মদপুরে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে তাঁর। নেক্সাস, পাজেরো ও টয়োটা ব্র্যান্ডের তিনটি দামি গাড়ি চালাতেন তিনি। যে বিলাস বহুল জীবনযাপন করতেন িতনি। তার সঙ্গে তাঁর আয়ের কোনও সামঞ্জস্য নেই। সেই থেকেই পুলিশের সন্দেহ হতে শুরু করে। জেরায় তাঁরা জানতে পেরেছেন ফাঁদে ফেলে বিত্তশালীদের বিয়ে করাই ছিল মৌয়ের পেশা। ১১টি বিয়ে করেছেন তিনি। সকলেই বিপুল সম্পত্তির মালিক। বিচ্ছেদের পর তাঁদের কাছ থেকে বিপুল টাকা নিয়েছেন মৌ। বাংলাদেশি মডেলের এই চক্রে আরও বেশ কয়েকজন তরুনী রয়েছেন।
মডেলিং পেশার আড়ালে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। কৌশলে বিত্তশালীদের বাড়িতে ডেকে আসতেন। মদ খাইয়ে অচেতন করে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি কিংবা ভিডিও তুলতেন। সেই ভিডিও এবং ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন তাঁদের। এমনকী সেই সব মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিতেন তিনি। তারসঙ্গে চলত মাদকের কারবার। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে চলত মাদক চক্র এবং মধুচক্র।