কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার বন্ধ করার আবেদন জমা পড়ল বম্বে হাইকোর্টে
বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেশে ক্রমাগত বিদ্বেষ, বৈষম্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং তার উগ্রবাদী টুইটের মাধ্যমে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

বন্ধ করে দেওয়া হোক অভিনেত্রীর টুইটার
এই ফৌজদারি রিট পিটিশন কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করেছেন আইনজীবী আলি কাসিফ দেশমুখ। তিনি সিআরপিসির ৪৮২ ধারায় এই আবেদন করেছেন তিনি। আবেদনকারী তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন যে কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট কঙ্গনা টিম ক্রমাগত বিদ্বেষ, বৈষম্য দেশে ছড়াচ্ছে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের উগ্রবাদী টুইট করে দেশকে বিভক্তের চেষ্টা করছে এবং দেশে অপরাধের প্রচার চালাচ্ছে। পিটিশনে এই মামলায় উত্তরদাতা হিসাবে টুইটারের নামও দেওয়া হয়েছে।

আবেদনে উত্তরদাতা হিসাবে নাম টুইটারের
দেশমুখ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘টুইটারকে এই মামলায় উত্তরদাতা হিসাবে রাখা হয়েছে কারণ তারা অভিনেত্রীর এ ধরনের টুইটের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং তারা নিজেদের নিয়ম ও নির্দেশিকা অনুসরণ করতে, যেমন বিদ্বেষ-বৈষম্যমূলক টুইট করার জন্য তাঁর টুইটার সাসপেন্ড করতে ব্যর্থ হয়েছে।' পিটিশনে এও বলা হয়েছে যে ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য টুইটারকে নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হোক।

কঙ্গনার বিরুদ্ধে আরও অনেক পিটিশন দায়ের
দেশমুখ তাঁর আবেদনে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধেও কঙ্গনা রানাওয়াতের বিভিন্ন অবমাননাকর টুইটের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। মুম্বই পুলিশ তার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার পরে অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলির বিরুদ্ধে আইনজীবী এর আগে অন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে দিল্লির কৃষক আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক বৃদ্ধার সঙ্গে শাহিনবাগের দাদি-কে গুলিয়ে ফেলেছিলেন কঙ্গনা। যার জেরে তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠায় পাঞ্জাবের এক আইনজীবী।

রঙ্গোলি চান্ডেলের টুইটার সাসপেন্ড
গত ১৭ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত বিদ্বেষ ও বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার জন্য কঙ্গনা রানাওয়াত ও আঁর দিদি রঙ্গোলি চান্ডেলের বিরুদ্ধে মুম্বই আদালত পুলিশকে এফাআইআর দায়ের করতে বলে। এই বছরের প্রথমদিকে টুইটারের পক্ষ থেকে রঙ্গোলির অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
যে সব কৃষক আত্মহত্যা করেন তাঁরা কাপুরুষ, মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে কর্নাটকের মন্ত্রী