(ছবি) বজরঙ্গী ভাইজান রিভিউ : সলমনের সেরা সিনেমার অন্যতম
গত কয়েকবছর ধরেই সলমন খানের সিনেমা বক্স অফিসে মুক্তি পাওয়া মানেই তা অবধারিতভাবে সুপারহিট হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের সময়ে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলি নানা রেকর্ড তৈরি করেছে। এদিন মুক্তি পাওয়া সলমনের 'বজরঙ্গী ভাইজান' সিনেমাটিতেও তার অন্যথা হল না।
প্রথম থেকে শেষ শুধুই বিনোদন নয় সঙ্গে রয়েছে আরও অনেক কিছু। পরিচালক কবীর খানের সিনেমায় নিছকই একটি সুন্দর গল্প নেই, সঙ্গে রয়েছে ইমোশন এবং এমন একজন সলমন খান যাঁকে আগে কখনও এমন রূপে পর্দায় দেখা যায়নি।
সিনেমার অভিনেতারা : সলমন খান, করিনা কাপুর, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি, হরশালি মালহোত্রা।
পরিচালক : কবীর খান
সিনেমার গল্প
সিনেমা শুরু হচ্ছে এমন একটি জিনিস দিয়ে যা প্রত্যেক ভারতীয় বা পাকিস্তানির পছন্দের, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ। এরপরই দেখা যাচ্ছে, একজন গর্ভবতী মহিলা পাকিস্তানের সুলতানপুর গ্রাম বসে ঠিক করছেন, তাঁর সন্তানের নাম রাখবেন 'শাহিদা'।
ছ'বছর এগিয়ে গল্প চলতে শুরু করেছে। শাহিদাকে (হরশালি মালহোত্রা) নিয়ে তার মা সমঝোতা এক্সপ্রেসে করে দিল্লি আসছেন দিল্লির নিজামুদ্দিন হজরত আলিতে মেয়ের সুস্থ জীবনের জন্য। কারণ শাহিদা কথা বলতে পারে না।
সেখান থেকে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার পথে সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধরতে পারেনি ছোট্ট শাহিদা। অসহায় শাহিদার এরপর দেখা হয় পবনকুমার চতুর্বেদীর (সলমন খান) সঙ্গে। সেখানেই সলমনের এন্ট্রি 'সেলফি লে লে' গানের তালে।
যেহেতু শাহিদা কথা বলতে পারে না, সেহেতু সলমন নানাভাবে বাচ্চাটির বাড়ির ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন। সেইসময়ই সলমন তাঁর নিজের জীবনের গল্প বলতে শুরু করেন শাহিদাকে। কীভাবে বাবার মৃত্যুর পর পবনকুমার আখড়ায় গিয়ে ভর্তি হন, কীভাবে রাশিকার (করিনা কাপুর) সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়, এইসবই দেখানো হয়েছে ফ্ল্যাশব্যাকে।
আবেগ সবসময়ই সলমনের সিনেমায় অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। এই সিনেমাও তার অন্যথা নয়। শাহিদাকে কি ভালোভাবে পাকিস্তানে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারবেন পবনকুমার? রাশিকার বাবার কাছে কি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারবে সে, এমন নানা প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনাকে যেতেই হবে সিনেমা হলে। তবে তার আগে নিচের স্লাইডে দেখে নিন কিজন্য যাবেন সিনেমা হলে।
{photo-feature}