নাসিরুদ্দিন প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন আশুতোষ, বিতর্ক কোন পথে এগোচ্ছে
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গোরক্ষক ইস্যুতে পুলিশ অফিসারের মৃত্যু সহ দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য উঠে আসতেই, শুরু হয় বিতর্ক।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গোরক্ষক ইস্যুতে পুলিশ অফিসারের মৃত্যু সহ দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য উঠে আসতেই, শুরু হয় বিতর্ক। পাল্টা মন্তব্য় উঠে আসে বলিউড অভিনেতা অনুপম খেরের তরফে। এছাড়াও দক্ষিণপন্থী সংগঠনের রোষের মুখে পড়েন বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বলিউডের আরও এক গুণী অভিনেতা আশুতোষ রানা।
আশুতোষের বক্তব্য
নাসিরুদ্দিন শাহ বিতর্কে এবার মুখ খুললেন বলিউড অভিনেতা আশুতোষ রানা। আশুতোষ জানান, 'প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে বিনা আতঙ্কে নিজের বক্তব্য বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার। কেউ যদি মনের কথা বলেন, তাহলে তাঁকে বিচার কারটা কি খুব জরুরি? আমাদের উচিত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টিতে নজর দেওয়া। ' পাশাপাশি তিনি বলেন, ' কেউ যদি কোনও মনের কথা বলেন, আর তাঁর মন্তব্যে যদি কোনও বিতর্ক তৈরি হয়, তাহলে তা দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির উন্নতি করবে। ' উল্লেখ্য, আশুতোষ রানা যেভাবে নাসিরুদ্দিনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাতে বলিউডে মেরুকরণ আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
অনুপম খের বনাম নাসিরুদ্দিন শাহ
নাসিরুদ্দিন শাহ বিতর্কে মুখ খোলেন অনুপম খেরও। অনুপম খের বলেন, 'দেশে স্বাধীনতা এতটাই যে যে কেউ সেনাকে অপমান করেত পারে, এয়ার চিফের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারে, সেনা জওয়ানদের পাথর ছুঁড়ে মারতে পারে। আর কত স্বাধীনতা চাই? তিনি তাইই বলেছেন যা তিনি মনে করেছেন। জরুরি নয় যে সেটা সত্যি হবে।'
নাসিরুদ্দিন শাহের বক্তব্য
এর আগে নাসিরুদ্দিন শাহ একটি ভিডিও ক্লিপিং -এ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয় মুখ খুলে বলেন, 'বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। এই জিন (আত্মা)কে বোতলে আবার ভরে ফেলা কঠিন।.. দেশের এরকম অনেক জায়গায় আমরা দেখছি একটি গরুর মৃত্যুকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে একজন পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর চেয়ে।' নাসিরুদ্দিন শাহ প্রসঙ্গ তোলেন তাঁর সন্তানদের নিয়েও। তিনি জানান, তাঁর সন্তানদের কোনও ধর্মের গণ্ডিতে বেঁধে রাখেননি তাঁরা। কারণ তিনি ও স্ত্রী রত্না বিশ্বাস করেন 'খারাপ' ও 'ভালো'র সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই।
বিতর্ক
নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্য উঠে আসতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে প্রয়াত পাক প্রধানমন্ত্রী জিন্নাহর তুলনা করেন। পাশাপাশি মোদী সরকারেরও সমালোচনা করেন। যার পাল্টা জবাবে নাসিরুদ্দিন ইমরানকে নিজের দেশের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলে কটাক্ষ করেন। এদিকে, নাসিরুদ্দিনের বিরোধিতায় নেমে দক্ষিণপন্থী সংগঠন গুলি তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর ঘোষণা করতে থাকে। পাশাপাশি, নাসিরুদ্দিন শাহকে 'দেশদ্রোহী' বলেও মন্তব্য করা হয়।