আন্তর্জাতিক মাদক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত শাহরুখ–পুত্র আরিয়ান, চাঞ্চল্যকর তথ্য এনসিবির হাতে
আন্তর্জাতিক মাদক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত শাহরুখ–পুত্র আরিয়ান
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান আন্তর্জাতিক মাদক নেটওয়ার্কের লোকেদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বিশেষ আদালতকে জানিয়েছে। বুধবার এই আদালতে ২৩ বছরের আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে এনসিবি তল্লাসি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে আরিয়ান খান সহ আটজনকে এবং একাধিক নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়।
খারিজ জামিনের আবেদন
এর আগে বিশেষ বিচারক ভি ভি পাটিল মাদক ও এনডিপিএস আইনের মামলা সংলগ্ন শুনানিতে জানিয়ে ছিলেন যে জামিনের আবেদনের শুনানি বুধবার হবে। কারণ তার আগে এনসিবি জানিয়েছিল যে এই আবেদনের শুনানি করার চূড়ান্ত জরুরি কিছু নেই এবং হলফনামা জমা করার জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিল। অন্যদিকে আরিয়ান খানের আইনজীবী জানিয়েছিলেন যে তাঁর মক্কেলকে 'ভুলভাবে ফাঁসানো' হয়েছে এবং তাঁকে জামিনে ছাড়ার অর্থ তদন্তকে থামিয়ে দেওয়া নয়।
আর্থার জেলে আরিয়ান
মুম্বই উপকূলে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে ৩ অক্টোবর এনসিবি তল্লাশি চালিয়ে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করে এবং কিছু নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করে সেখান থেকে। আরিয়ান এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন এবং আর্থার জেলে দিন কাটাচ্ছেন। গত ৮ অক্টোবর আরিয়ান বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন তবে তা গত সপ্তাহে খারিজ করে দেওয়া হয় এবং বলা হয় যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটা এখতিয়ার নয়।
নিষিদ্ধ মাদক সংগ্রহ
এনসিবি ইতিমধ্যেই তদন্তে জানতে পেরেছে যে আরিয়ান খান তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের থেকে নিষিদ্ধ মাদক সংগ্রহ করতেন। এই আরবাজও গ্রেফতার হয়েছে আরিয়ানের সঙ্গেই। শুধু তাই নয়, এনসিবি এও জানতে পারে যে আরিয়ান খান এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আছেন যারা অবৈধভাবে মাদক কেনার জন্য 'আন্তর্জাতিক মাদক নেটওয়ার্ক'-এর অংশ।
আরিয়ানের জামিনের বিপক্ষে এনসিবি
এনসিবি আদালতকে জানিয়েছে যে আরিয়ান খান জামিন পেলে তিনি সাক্ষী, প্রমাণদের প্রভাবিত করতে পারেন কারণ তিনি সমাজের প্রভাবশালী জায়গা থেকে এসেছেন। এনসিবি জানিয়েছে যে প্রমোদতরীর সিসি ক্যামেরা থেকে যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা তদন্তে বড় ধরনের সহায়তা করবে। এনসিবি এও জানিয়েছে যে আরিয়ানকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার দাবি মোটেও সত্যি নয়। সিসিটিভি ফুটেজের প্রাসঙ্গিকতা বিচারের শুনানির সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনসিবি।