পড়েছেন যে স্কুলে সেখানেই এবার নতুন পদে আসীন হলেন সকলের 'আশিকী' অরিজিৎ সিং
পড়েছেন যে স্কুলে সেখানেই এবার নতুন পদে আসীন হলেন সকলের 'আশিকী' অরিজিৎ সিং
'মেরি আশিকী তুম হি হো' কিংবা, 'বোঝে না সে বোঝে না', তাঁর গান শুনলে সকলেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান নিমেষে। ভালোবাসার গান হোক কিংবা ব্রেকআপের পর ভরা মনের গান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর গানই ত্রাতা। গলার জাদুতে বিশ্ব জয় করেছেন তিনি। টলিউড বা বলিউড, তাঁর গান ছাড়া যেন কিছু ভাবাই যায় না। প্রথম সারির গায়কদের তালিকায় রয়েছেন তিনি। তাঁর রয়েছে অগণিত ভক্তগণ। শুধু দেশের মধ্যেই নয় দেশের বাইরেও সুরের জাদু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, অরিজিৎ সিং।
বিনম্রতার নজির
সাধারণত, যে কোনও ব্যক্তি হঠাত পাওয়া নাম যশ, খ্যাতির আলোয় অন্ধ হয়ে বেপরোয়া উদ্দাম জীবন যাপন করেন। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে খ্যাতির বহরে নিজের সামান্য রম্য ব্যবহারটাও পর্যন্ত ভুলে গিয়ে অহংকারের উন্মত্ততায় মেতে উঠেছেন সেলেবরা। কিন্তু সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অন্য রাস্তায় বরাবর হাঁটেন এই মুহূর্তে দেশের পয়লা নম্বর প্লে-ব্যাক সিঙ্গার। মায়া নগরীর সেইসব অতিরঞ্জিত রঙিন জীবনের থেকে বাংলায় গঙ্গার তীরের সাধারণ ছিমছাম জীবন কাটাতেই বেশি অভ্যস্ত তিনি। আর তাই তাঁর এই বিনম্রতার উপহার দিল তাঁরই স্কুল।
অরিজিতের নতুন দায়িত্ব
বহরমপুরের জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরে ছোট থেকে পড়াশোনা করেছেন অরিজিৎ। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের স্কুলকে কখনও ভুলে যাননি গায়ক। নিজের স্কুল এর পরিচালন কমিটির সভাপতি হলেন তিনি। স্কুলে নিজে গিয়ে সেই পদ গ্রহণ করেছেন অরিজিৎ সিং।
সাধারণে অসাধারণ
রিয়েলিটি শো এর মাধ্যমে বলিউডে পা রাখলেও বেশ কিছু বছর পরে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে তাঁর গান মানুষকে মুগ্ধ করেছিল। বর্তমানে তাঁর লাইভ শো এর টিকিট পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এত জনপ্রিয়তা সত্বেও নিজের জীবনকে খুব সাদামাটা ভাবেই পরিচালিত করেন। সব সময় থাকেন মাটির কাছাকাছি। মাঝেমধ্যেই তার সাদামাটা জীবনের ছবি ভাইরাল হয়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও মানুষ যখন সাদামাটা জীবন যাপন করেন, সেই ছবি ভাইরাল তো হবেই।
"আমায় বুকে রাখবি"
মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকা সত্বেও, করোনার সময় থেকে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেই থাকছেন তিনি। আর পাঁচ জন বাবা মায়ের মত ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দেন তিনি। দাঁড়িয়ে থাকেন সাধারন মানুষের সঙ্গে স্কুলের বাইরে। সেইসময় তার সঙ্গে থাকে না কোনো দেহরক্ষী। আবার কখনো তাকে দেখতে পাওয়া যায় স্কুটি করে ঘুরে বেড়াতে। অনুরাগীদের ছবি তুলতে দেখে, তাঁদের অবলীলায় বলেন "আমায় বুকে রাখবি"। করোনায় নিজের মাকে হারিয়েছেন। এরপর শুধুই জিয়াগঞ্জের উন্নতির কথা ভেবে গিয়েছেন তিনি। চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করেছেন। বরাবর সাধারন মানুষের সঙ্গে মিশে থাকার চেষ্টা করেন। অনেক সময়ে রূপম ইসলামের গান শুনতে, সাধারণ মানুষের মতো দর্শক আসনে বসেই গান শোনেন। নিজের গানের জাদুতে যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি, তেমনই জনপ্রিয় হয়েছেন সাদামাটা জীবন যাপন করার জন্য।
দর্শকদের হাসাতে ফের আসছেন মুন্নাভাই–সার্কিট জুটি, ইঙ্গিত দিলেন সঞ্জয় দত্ত