অমিতাভের সঙ্গে তাঁর বাবা হরিবংশের এককালে ঝগড়া হয়েছিল চরম! তারকার জন্মদিনে ফিরে দেখা স্মৃতির পাতা
বলিউড তাঁকে 'শহেনশাহ' হিসাবে কুর্ণিশ জানায়। গোটা বিশ্ব তাঁকে সম্মান করে তাঁর অসামান্য অভিনয় দক্ষতার জন্য। আর তাঁর ভক্তদের কাছে তিনি যেন এক মহীরুহ!
বলিউড সহ গোটা বিশ্ব তাঁকে 'শাহেনশা' হিসাবে কুর্ণিশ জানায়। গোটা বিশ্ব তাঁকে সম্মান করে তাঁর অসামান্য অভিনয় দক্ষতার জন্য। আর তাঁর ভক্তদের কাছে তিনি যেন এক মহীরুহ! যে মহীরুহের ছায়ায় কেউ পেয়েছে প্রাণ-পুরুষকে, কেউ মুগ্ধ হয়েছেন রাজকীয় কণ্ঠস্বরে, কেউবা তাঁর 'হেয়ারস্টাইল' অনুসরণ করেই কাঙ্খিত তৃপ্তি পেয়েছেন। ব্যক্তি অমিতাভের জীবনের বাইরে, 'অভিনেতা' অমিতাভ কতটা উজ্জ্বল , তা এই সমস্ত নির্দশনেই স্পষ্ট হয়ে যায়। আজ বলিউডের এই তামাম সুপারস্টারের জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক তাঁর ব্য়ক্তিগত অজানা কিছু দিক।
|
জীবন সংগ্রামের সময়ের এক ঘটনা
আজ যে রাজকীয়সনে অমিতাভ বচ্চনকে দেখা যায়, একটা সময় তার একাংশও ছিল না বিগ বি-র কাছে। তখন তিনি লড়াই করছেন বলিউডে নিজের জমি শক্ত করতে। একের পর এক ফিল্ম তখন ফ্লপ হচ্ছে। আর সেই সময়ই বাবা হরিবংশরাই বচ্চনের সঙ্গে একবার তুমুল কথা কাটাকাটি হয় অমিতাভের। শোনা যায়, ছেলে ব্যবহারে অবাক হয়ে সেই সময়ই হরিবংশ লিখেছিলেন 'নয়ী লীক' কবিতাটি। আর এই ঘটনার কথা পরবর্তীকালে নিজে বলেই লজ্জায় পড়ে যান অমিতাভ।
|
বাবাকে ভয় পেতেন অমিতাভ
শোনা যায়, বাবা হরিবংশকে খুবই ভয় পেতেন অমিতাভ বচ্চন। যে অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠস্বরে গোটা দুনিয়া কাঁপে, সেই কণ্ঠস্বরও ম্লান হয়ে যেত বাবা হরিবংশের সামনে পড়লে।
ঠাকুরদা প্রতাপ নারায়ণের মতো দেখতে অমিতাভকে!
অনেকেই বলে থাকেন যে, অমিতাভ বচ্চনকে এক্কেবারে ঠাকুরদা প্রতাপ নারায়ণের মতো দেখতে। অনেক সময়েই হরিবংশ বিশ্বাস করতেন যে, তাঁর সন্তান অমিতাভকে ঠাকুরদা প্রতাপ নারায়ণের মতো দেখতে ছিল।
বচ্চন-এর আগে ছিলেন শ্রীবাস্তব
অমিতাভরা এককালে ছিলেন 'শ্রীবাস্তব'। তবে সেই পদবী শেষমেশ আর রাখেননি তাঁরা। হরিবংশ নিজের পদবী ছেড়ে দিয়ে 'বচ্চন' পদবী গ্রহণ করেন। কারণ কায়স্থ, দলিত এই সামাজিক ভাগাভাগিতে তিনি বিশ্বাস করতেন না। এই কথা একবার জানিয়েছিলেন অমিতাভই।
ছবি সৌ:টুইটার