নিজের প্রিয় তারকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন এই সব বলি সেলেবরা
নিজের প্রিয় তারকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন এই সব বলি সেলেবরা
প্রিয় তারকাকে পাশে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেক ভক্তই। কিন্তু অনেকের কাছেই তা সোনার পাথর বাটির মতই শুধু কল্পনার জগতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। বেশিরভাগ মানুষেরই ভাগ্যে নিজেদের পছন্দের সেলেবকে সামনে থেকে দেখা করার সুযোগটুকু জোটে না। আবার অনেকের সেক্ষেত্রে খুলে যায় ভাগ্যের দরজা। আবার অনেকের ক্ষেত্রে স্বপ্নের মানুষকে পাশে নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ায় জীবন। তেমন অনেকই আছেন যাঁরা নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন বাস্তব জীবনে। সেরকমই কয়েকজন সেলিব্রিটির জীবন নিয়ে আলোচনা করা যাক যাঁরা বিয়ে করেছেন নিজেদের ফ্যানদের। দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকায় কারা কারা সামিল রয়েছেন।
দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু
বলিউডের গোল্ডেন টাইম থেকেই অন্যতম জনপ্রিয় জুটি দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু। তাঁরা একে অপরের পাশে সব সময় ছিলেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে দিলীপ কুমার সায়রা বানুর ছোটবেলার ক্রাশ। সকলের 'সাহেব-এ-আলম' দিলীপ কুমারকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতেন সায়রা। এই পাওয়ার কাপলের বয়সের ফারাক ২২ বছর। ১৯৬৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সায়রা বানু ও দিলীপ কুমার। বিয়ের সময় দিলীপ কুমারের বয়স ছিল ৪৪। সায়রা বানু তখন ২২। এই বিয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের সন্দেহ ছিল। কিন্তু তাঁরা নিজেদের ভালোবাসার সম্পর্কে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
মুমতাজ ও ময়ূর মাধবনী
বি-টাউনের অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন অভিনেত্রী মুমতাজ। তিনি বিয়ে করেছিলেন তাঁর অন্যতম ভক্ত ময়ূর মাধবনীকে। ১৯৭৪ সালে ২৯ মে বিয়ে করেন দুজনে। মুমতাজের সৌন্দর্যের কারণে ময়ূর মাধবন বিয়ে করেছিলেন বলে অনেকে মনে করছেন। সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে মুমতাজের সবথেকে খারাপ সময়ে তাঁর পাশে শক্ত হয়ে থেকেছেন ময়ূর। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সমস্ত সৌন্দর্য যখন অভিনেত্রীর চলে যায়, তখনও ভালোবাসার মানুষটির পাশে ছিলেন ময়ূর।
জিতেন্দ্র ও শোভা কাপুর
নিজের নাচের কৌশলে ও মনমুগ্ধকর আচরণে অনেকের মন জয় করেছিলেন বলিউডের 'হিম্মতওয়ালা' জিতেন্দ্র। তাঁর প্রতি আকর্ষিত ছিলেন শোভা কাপুর। সেই সময় তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এয়ার হোস্টেস হিসেবে কাজ করতেন শোভা। শোভা কাপুর অনেক আগে থেকেই জিতেন্দ্র কে পছন্দ করতেন। ১৯৭৪ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা কন্যা ও পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বলিউডে তাদেরও এখন সকলে এক নামে চেনেন। তাঁরা আর কেউ নন বরং একতা কাপুর ও তুষার কাপুর।
রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়া
রাজেশ খান্নার প্রতি আকর্ষিত হননি এরকম মানুষ খুব কমই রয়েছে। রাজেশ খান্নাকে নিয়ে দিবা স্বপ্ন দেখতেন অনেক তরুণী। তাদের মধ্যে একজন ডিম্পল কাপাডিয়া। রাজেশ খান্নার অন্যতম ভক্ত ছিলেন তিনি। ডিম্পল কাপাডিয়ার থেকে রাজেশ খান্না বয়সে অনেকটাই বড়। ১৯৭২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। সেই সময়ে ডিম্পল কাপাডিয়ার বয়স ১৬। ৯ বছর চুটিয়ে সংসার করার পর আলাদা হয়ে যান। কিন্তু রাজেশ খান্নার মৃত্যুর পর সেখানে দেখা গিয়েছিল ডিম্পল কাপাডিয়াকে।
শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রা
উজ্জ্বল চোখ, লাস্যময়ী ফিগারে ভক্তদের বুকে ঝড় তুলতে জুড়ি নেই শিল্পা শেট্টির। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রিচার্ড গেরের মতো সেলিব্রিটিদের কাছে তিনি প্রশংসিত। এইরকমই তার একজন ভক্ত ছিলেন রাজ কুন্দ্রা। ২০০৯ সালে নভেম্বর মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
এষা দেওল ও ভরত তখতানি
ভরত তখতানি বরাবরই এষা দেওলের ভক্ত। তারা দুজন একসঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন। স্কুলে পড়তে এষাকে নাকি ভয় পেতেন ভরত। ছোট থেকেই এষাকে ভালো লাগতো তাঁর। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এষা দেওলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক সবকিছু তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো মনে হত। এষাকে বিয়ে করার ছোটবেলার স্বপ্ন প্রায় ভুলতে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে ২০১২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
বিবেক ওবেরয়- প্রিয়াঙ্কা আলভার
বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের বিশাল বড় ভক্ত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা আলভার। বিবেক ওবেরয় তাঁর পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উত্থান পতন দেখেছেন। কিন্তু তারপরেও তাঁকে ভালোবাসা কম করেননি প্রিয়াঙ্কা। শেষে কর্নাটকের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে ২০১০ সালে তাঁকে বিয়ে করেন বিবেক। এখন তাঁরা সুখী দম্পতি।
দেশজুড়ে গরম কমাতে শাহরুখ খানের কাছে অদ্ভুত আর্জি ভক্তের, ভাইরাল নিমিষে