‘কাজ না করে আমার বাড়িতে বসে থাকতে ভালো লাগে না’! শকুন্তলা বড়ুয়া
টলিউডের অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়াকে কে না চেনে। নানান সময়ে নানান চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তাঁর অভিনয়ে মন কেড়েছে অনেক ভক্তের। কিছুদিনের মধ্যে মুক্তি পেতে চলেছে 'টনিক’।

এই বাংলা ফিল্ম টনিকে অভিনয় করছেন শকুন্তলা বড়ুয়া, দেব, পরাণ। অনেকগুলি বছর কেটে গেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু তাঁর সাজ কিন্তু একেবারেই পাল্টায়নি। অভিনেত্রীর কপালে বড় টিপ, খোঁপায় ফুল, ঠোঁটে লিপস্টিক সব সময়ই দেখা যায়। বয়স বেড়েছে তবুও তিনি একেবারেই কাজ না করে বাড়িতে বসে থাকতে চান না। তবে, শারীরিক কারণে 'টনিক’ ফিল্মের শুটিংয়ের সময় একটু অসুবিধা হয়েছিল অভিনেত্রীর।
এই ছবির শুটিং হয়েছে দার্জিলিঙে। পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটাচলা করতে কষ্ট হত অভিনেত্রী শকুন্তলার। তাই শুটিং ইউনিট থেকে তাঁর জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যে হোটেলে শকুন্তলা উঠেছিলেন, সেটি পাহাড়ের অনেকটা উঁচুতে থাকায় তাঁর উপরে উঠতে কষ্ট হত। দেবকে তিনি তাঁর অসুবিধার কথা জানান। বলার সাথে সাথেই সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। দেবের প্রশংসা করে শকুন্তলা জানালেন, আগেও তিনি অভিনেতা দেবের সাথে কাজ করেছেন।
'টনিক’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অভিজিৎ সেন। এখানে শকুন্তলার চরিত্রের নাম হয়েছে উমা সেন। এই চরিত্রে অভিনয় পেয়ে বেজায় খুশী অভিনেত্রী। যতক্ষণ না অভিনেত্রীর শট পছন্দ হত না ততক্ষণ তিনি পরিচালককে আটকে রাখতেন। দরকারে তিনি ২দিন ধরে একটি শট নিয়েছেন।
অভিনেত্রী শকুন্তলা মনে করেন, তিনি প্রাচীনপন্থী। কিন্তু এটাও তিনি মানেন পরিবর্তন জীবনের নিয়ম। কখনও কখনও আধুনিকতার কিছু রকম-সকম মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু সবকিছু মানিয়ে নিয়ে তার মধ্যেও বজায় রাখেন শকুন্তলা। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলেও স্লিভলেস পরেননি তিনি। শুধুমাত্র এই মানসিকতা থেকেই। তবে লেস, নেটের পোশাক পছন্দ অভিনেত্রীর।
টেলিভিশনে অভিনেত্রী শকুন্তলা শেষ কাজ ধারাবাহিক 'ক্ষীরের পুতুল’। তারপর থেকে অনেকেই কাজের আশ্বাস দিলেও কিছুই হয়নি। যা জীবনে করেননি, তাই করতে হয়েছে শকুন্তলাকে। এক নামী প্রযোজককে ফোন করে কাজ চাইতে হয়েছে। অন্ন সংস্থানের জন্য নয়, শুধুমাত্র কাজের খিদে থেকেই কাজ করতে পছন্দ করেন শকুন্তলা। কিন্তু সেই প্রযোজক যোগাযোগ করেননি। তবে অন্য এক প্রযোজনা সংস্থা যোগাযোগ করেছিল। শকুন্তলার বয়সজনিত কারণে একটি আলাদা মেকআপ রুমের প্রয়োজন ছিল। সমবয়সী কারো সঙ্গে রুম শেয়ার করতে অসুবিধা না থাকলেও অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের ভিড়ে বসতে অস্বস্তি হয় তাঁর। অবসর সময়ে আগে ছবি আঁকতেন শকুন্তলা। এখন কবিতা লেখেন, রান্না করতে ভালোবাসেন। তাঁর জামাই আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi) পছন্দ করেন শকুন্তলার রান্না। 'টোয়েন্টি ফোর’-এর শুটিংয়ের সময় একদিন তিনি বলেছিলেন শকুন্তলাকে মাছ রেঁধে দিতে।