মা হয়েছেন প্রিয় বান্ধবী, ওড়িশায় শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত 'বোনুয়া', নুসরতকে কী বার্তা দিলেন মিমি
মা হয়েছেন প্রিয় বান্ধবী, ওড়িশায় শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত 'বোনুয়া', নুসরতকে কী বার্তা দিলেন মিমি
১০ মাসে একটি বারের জন্যও দেখা করার সময় করে উঠতে পারেননি বনুয়া। প্রিয় বান্ধবী যখন হাসপাতালে শুভ মুহূর্তের অপেক্ষা করছেন তখনও তিনি অনেক দূরে রাজ্যের বাইরে শ্যুটিংয়ের ব্যস্ত। তবে নুসরত জাহানের মা হওয়ার সুখবর পেয়েছেন ঠিকই। সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠািনর রীতি মেনেই টুইটে নুসরত এবং তাঁর নবজাতককে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পুরো ঘটনাতেই কোথায় যেন সুতো গাঁট পরা সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে। হঠাৎ করে বনুয়ার সঙ্গে নুসরতের এত কেন দূরত্ব তা নিয়ে টলিপাড়ায় গুঞ্জনের শেষ নেই। কিন্তু এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা
মা হলেন নুসরত
অবশেষে এল সেই শুভক্ষণ। পাপারাৎজিদের চোখ এড়াতে পারেননি তিনি। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের হাত ধরেই পার্কস্ট্রিটের নার্সিংহোমে ভর্তি হন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ঠিক দুপুর ১২টায় শুরু হয় তাঁর সি সেকশন। তারপরেই আসে সুখবর। ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম িদয়েছেন তিনি। মা এবং নবজাতক দুজনেই সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। দাবানলের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সরণী বেয়ে ছড়িয়ে পড়ে খবর। নুসরতকে শুভেচ্ছার বন্যা বইতে শুরু করে। যশ দাশগুপ্ত নিজে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে নুসরত এবং তাঁর সন্তানের সুস্থ থাকার খবর জানান।
বনুয়ার শুভেচ্ছা
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরণী বেেয়ই সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল নুসরতের বোনুয়া মিমি চক্রবর্তীর কাছে। পাশের রাজ্য ওড়িশায় তখন তিনি শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। সেখান থেকেই সৌজন্যের টুইট করে নুসরতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মিমি। মাএবং নবজাতককে ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মিমির এই সৌজন্যের শুভেচ্ছাই যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী যে তাঁদের সম্পর্ক এখন আর আগের জায়গায় নেই। কারণ গত ১০ মাসে একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন নুসরত জাহান। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে। এই ১০ মাসে একটিবারের জন্যেও নুসরতের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় হয়নি মিমির। যাঁকে ভালবেসে বোনুয়া বলে ডাকেন নুসরত। তুরস্কে নিখিলের সঙ্গে বিয়ের আসরে মিমিকে যেভাবে সক্রিয় ভাবে যোগদান করতে দেখা গিয়েছিল। নিখিলের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্কের ভাঙনের সময় কিন্তু আর মিমিকে কোনও ভাবে দেখা যায়নি নুসরতের পাশে। এমনকী নুসরত অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও মিমির সময় হয়নি তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করার। যদিও মিমি সেসব জল্পনা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি নুসরতের সঙ্গে তাঁর বন্ডিং আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে।
নুসরতের বিয়েতে মিমি
২০১৯ সালে নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে হয় নুসরত জাহানের। তুরস্কে বসেছিল সেই বিয়ের আসর। সেখানে ৫দিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে টলিপাড়া থেকে একমাত্র বোনুয়া মিমি চক্রবর্তী শরিক হয়েছিলেন। নুসরতের মেহেন্দি, সঙ্গীত, হলদি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিেয়ছিল মিমি চক্রবর্তীকে। টেলিভিশনে সেই সব ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন মিমি এবং নুসরত দুজনেই। কলকাতায় ফিরে এসে নুসরতের রিসেপশনের পার্টিতেও মিমিকে দেখা গিেয়ছিল ভীষণভাবে। নুসরতের পাশেপাশেই ছিলেন তিনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কী এমন হল যে বোনুয়ার সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরল নুসরতের। যাঁকে বিয়ের অনুষ্ঠানে এত সক্রিয়ভাবে দেখা গিয়েছিল। নুসরতের অসময়ে তাঁকে একটিবারের জন্যেও দেখা গেল না কেন এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। নুসরত যেমন একদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন, ঠিক তেমনই মিমিও সেই সব প্রশ্ন বারবারই এড়িয়ে গিয়েছেন।
নুসরতের পাশে ছিলেন কারা
বোনুয়া দেখা করতে না এলেও অসময়ে নুসরত পাশে পেয়েছেন শ্রাবন্তী, তণুশ্রীদের। নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙনের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নুসরত নিজের বেবিবাম্পের ছবি পোস্ট করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তী এবং তণুশ্রীর সঙ্গে পার্টি করছেন তিনি। একবার নয় একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল নুসরতকে। নুসরতের মা হওয়ার খবর পেয়ে খুশি তাঁরা। শ্রীবন্তী এখন মলদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন সেখান থেকেই টুইট করে বান্ধবীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তণুশ্রীও বান্ধবী নুসরতের মা হওয়ার খবর পেয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।