বিহারের সীমার সীমাহীন লড়াইকে সেলাম জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সোনু সুদ
বলিউডের
পর্দায়
তিনি
খলনায়ক
হলেও
বাস্তবের
মাটিতে
তিনি
নায়ক।
করোনা
কালে
আর্ত
মানুষদের
পাশে
দাঁড়িয়েছেন
অনেকেই,
কিন্তু
সবার
আগে
মনে
আসে
একজনের
নাম।
তিনি
আর
কেউ
নন,
সোনু
সুদ।
সকলের
কাছে
তিনি
'মসিহা'
নামেও
পরিচিত
হয়ে
উঠেছেন
তাঁর
অসামান্য
মানবিকতা
এবং
সমাজসেব
মূলক
কাজের
জন্য।
করোনাকালে
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
সাহায্য
থেকে
শুরু
করে
বহুবার
তাঁর
মানবিক
হৃদয়ের
নিদর্শনের
সাক্ষী
থেকেছে
গোটা
দেশ।
আরও
একবার
অসহায়ের
দিকে
সাহায্যের
হাত
বাড়িয়ে
দিয়েছেন
এই
বলি
অভিনেতা।
বিহারের এক অসহায় নাবালিকা। দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছে সে। কিন্তু তার অদম্য জেদের কাছে হার মেনেছে সেই বাধা। এক পায়ে হেঁটেই স্কুলে পড়তে রায় সে। স্কুলের দূরত্ব নেহাত কম নয়, প্রায় এক কিলোমিটার। সেই রাস্তা এক পায়ে হেঁটেই প্রতিদিন রায় সে। সোশ্যাল্যমিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার, মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে সোনু সুদ টুইট করে লিখেছেন, 'এখন সময় এসেছে দু পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার।' সেই সঙ্গে ইতিমধ্যেই তিনি টিকিট পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ১০ বছরের সীমা। বিহারের জুমাই জেলার বাসিন্দা সে। দুই বছর আগে ট্রাক্টরের ধাক্কায় একটি পা বাদ যায়। সে স্কুলে এক পায়ে হেঁটে যায়। শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে সীমা। জীবনে এত বড় দুর্ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। নিজের জীবনে দাঁড়ানোর জন্য সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে সে। এই ঘটনা সকলের কাছে অনুপ্রেরণার।
মেয়েটির পাশে সোনু সুদের দাঁড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা। করোনাকালে অক্সিজেন থেকে শুরু করে বেড,রেমডিসিভির, চিকিৎসা,খাবার, পরিবহণের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। করোনা কালের মসিহা বলেও অভিহিত করা হয় তাঁকে। অভিনেতার এই মানবিক কাজটি সকলের মত ছুঁয়ে গিয়েছে। নেটিজেনদের মধ্যে একজন লিখেছেন, জীবনে দেখা অন্যতম এক নায়ক। আপনার আন্তরিকতায় উদারতা সমগ্র দেশবাসী আন্তরিকভাবে খুশি। আরও এক ভক্ত লিখেছেন, অসহায়দের পাশে এইভাবে দাঁড়ানোর জন্য আপনাকে এবং আপনার ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ।
বিহারের ছোট্ট মেয়ে সীমার জীবনে এই হার না মানা মনোভাব এবং অদম্য লড়াই দেখে মুগ্ধ হয়েছে গোটা দেশ। তবে শুধুমাত্র অভিনেতা সোনু সুদ নন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও সীমার এই সীমাহীন লড়াই নিয়ে টুইট করেছেন। বিহারের জামুইয়ের জেলাশাসক অবনীশ কুমারও নিজে পৌঁছে গিয়েছেন সীমার বাড়ি এবং তার পাশে প্রশাসনের সাহায্যের হাতের আশ্বাস দেন।