For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

'আর্টিকলফিফটিন' জ্বলন্ত সময়ের একটি দলিল আড়াই ঘন্টায় ভালো পরিবেশন করেছেন পরিচালক অনুভব সিনহা

জুনমাসের শেষ শুক্রবার মুক্তিপেয়েছে অনুভব সিনহার ছবি 'আর্টিকল ফিফটিন' যা আদতে ভারতীয় সংবিধানেরপনেরো নম্বর অনুচ্ছেদ উপরে নির্মিত।

  • |
Google Oneindia Bengali News

জুনমাসের শেষ শুক্রবার মুক্তিপেয়েছে অনুভব সিনহার ছবি 'আর্টিকল ফিফটিন' যা আদতে ভারতীয় সংবিধানেরপনেরো নম্বর অনুচ্ছেদ উপরে নির্মিত। ভারতীয়সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে বলারয়েছে দেশের কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধেকোনওরকম বৈষম্য করা যাবে না-- তা ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ যে কোনও ভিত্তিতেইহোক না কেন। করাযাবে না কোনও স্থানেও। স্বাধীনতারসাত দশক কেটে গিয়েছে।সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে।

তিনটাকা বেশি চাওয়ার জন্যে ধর্ষণ, খুন, সমাজে নিজের জায়গা দেখিয়ে দেওয়া!

তিনটাকা বেশি চাওয়ার জন্যে ধর্ষণ, খুন, সমাজে নিজের জায়গা দেখিয়ে দেওয়া!

ছবিরপ্লটে বিশদে আর ঢুকছি না।সে তো পাঠকগণের অনেকেইচাক্ষুষ করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে।যেটা বলতে চাইছি তাহল স্বাধীনতার প্রায় বাহাত্তর বছর পরেও সামান্যতিন টাকা মজুরি বৃদ্ধিরদাবির জন্যে যখন দুই নাবালিকাকেগণধর্ষণ করে মেরে গাছেঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং তৃতীয়জনকেখুঁজে পাওয়া যায় না, তখনরাষ্ট্রের উপরে রাগ হয়।সংবিধানের রক্ষাকর্তা তবে কে? আমাদেরদেশের সমাজব্যবস্থায় গণতান্ত্রিকতার বিন্দুবিসর্গও যেখানে আশা করা যায়না, সেখানে গণতন্ত্রের ধারক হয়ে তোরাষ্ট্রেরই আসরে নামার কথা।কিন্তু যখন দেখা যায়রাষ্ট্রের হয়ে যাদের নিয়মবলবৎ করার কথা, সেইপুলিশকর্মীরাও মেতে উঠেছে ধর্ষণে, তখন আস্থা থাকে কার প্রতি? নাকি আস্থা রাখার কথা ভাবাটাই বোকামি? ইউরোপফেরত নবীন আইপিএস আয়ানরঞ্জনের (আয়ুষ্মান খুরানা) কাছে স্বদেশের এইরূপটি ভয়াবহ ঠেকে। সহধর্মিনীর কাছে তিনি ব্যক্তকরেন তাঁর মনের ক্ষোভকিন্তু পাশাপাশি দুই নাবালিকাকে ধর্ষণও খুনের ঘটনাটির শেষ দেখে
ছাড়ারশপথও নেন তিনি।

ছবিতে সাময়িক স্বস্তি পেলেও এই অন্ধকারের শেষ কোথায়?

ছবিতে সাময়িক স্বস্তি পেলেও এই অন্ধকারের শেষ কোথায়?

ছবিটিরশেষ ইতিবাচকই হয়, যেমন বেশিরভাগহিন্দি ছবির ক্ষেত্রে হয়।অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়েতৃতীয় কিশোরীটিকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধারকরেন আয়ান। শেষ সিনে আয়ানব্রাহ্মণ হয়েও দলিত মহিলারহাতের রুটি তরকারি খাচ্ছেন, এমনটি দেখিয়ে ছবিটি শেষ হয়। কিন্তুবাস্তবে কি আদৌ এইযন্ত্রণার কোনও শেষ আছে? ছবির বেশ কয়েকটি সংলাপমনছুঁয়ে যায়, যেমন ''আমরা কখনও হরিজন, কখনও বহুজন কিন্তুএখনও জন গণ মন-এর জন হয়েউঠতে পারলাম না''। কথাটা কতবড় সত্য অথচ আমরাদৈনন্দিন জীবনে কতটা
ভাবি এইনিয়ে?

এরকমছবি আরও হওয়া দরকার

এরকমছবি আরও হওয়া দরকার

'আর্টিকলফিফটিন'-এর মতো ছবিআরও হওয়া দরকার। উত্তরভারতের বিস্তীর্ন অঞ্চলে যে বৈষম্য আজওবর্তমান, তাকে নির্মূল করাসহজ না হলেও তাঅবিরত শিরোনামে আসার প্রয়োজন। রাষ্ট্রকেতাঁর দায়িত্ববোধও মনে করিয়ে দেওয়াপ্রয়োজন বারংবার কারণ সে প্রায়ইভুলে যায় নাগরিক সুরক্ষারক্ষেত্রে
তার কী করণীয়।এর আগে উত্তর ভারতেররাজনীতি নিয়ে ছবি যেহয়নি, তা নয়। 'শূল' বা 'গঙ্গাজল' যেমন। কিন্তু সে-সবের মধ্যেমানুষরূপী ভিলেন দমনটিই বড় ছিল। 'আর্টিকলফিফটিন'-এর মুখ্য ভিলেনমানুষ নয়, পুরো সিস্টেম।আর সেই সিস্টেমকে
রাতারাতিবদলানো সহজ কাজ নয়।পরিচালক তাই একটি বিশেষঅধ্যায়কে বড় পর্দায় সাজিয়েএই সিস্টেমের একটি দিকের উপরেআলোকপাত করেছেন। সেই কাজে তাঁরপ্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য।

English summary
A document of burning issues well presented in two andhalf hours
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X