ঠিক কতটা কাছাকাছি ছিলেন অক্ষয়-রবিনা - স্পষ্ট 'খিলাড়ি' জুটির উষ্ণতম এই ৫ গানের দৃশ্যায়নে
৫ টি উষ্ণতম গান, যা অক্ষয় কুমার এবং রবিনা ট্যান্ডনের অফ-স্ক্রিন রসায়নকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।
নয়ের দশকে তিনি ছিলেন সব ভারতীয় পুরুষের স্বপ্ন-সুন্দরী। হলুদ সিক্ত বসনে বৃষ্টির মধ্য়ে নৃত্যরত রবিনা ট্যান্ডন-কে কে ভুলতে পারে। এহেন লাস্যময়ী সুন্দরীর মনও একসময় বাঁধা পড়েছিল। আর কেউ নন, তাঁর মন চুরি করেছিলেন বলিউডের খিলারি অক্ষয কুমার। আর এই প্রেম-কাহিনি ডানা মেলেছিল তাঁদের একসঙ্গে করা প্রথম ছবি মোহরা (১৯৯৪)-র মুক্তি থেকে। অনস্ক্রিন থেকে অফস্ক্রিন - তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন ঝড় তুলেছিল।
ওপর ওপর দেখলে তাঁরা একেবারে ছবির মতো নিখুঁত যুগল ছিলেন। দুজনেই পাঞ্জাবি, একসঙ্গে দারুণ মানানসই। দুজনেই সেই সময় সাফল্যের চুড়ায়। একসঙ্গে বিভিন্ন বলিউডে অনুষ্ঠানেও তাঁদের দেখা যেত। ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ছিল যে কোনও দিন তাঁরা বিবাহের কথা ঘোষণা করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি।
শোনা যায়, বিয়ের পরও রবিনা ফিল্মে কাজ করুন চাননি অক্ষয়। রবিনাকে গৃহবধু হিসেবেই দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই আব্দার মেনে রবিনাও সিনেমার কাজ নেওয়া বন্ধ করে দেন। পরবর্তী সময়ে রবিনা দাবি করেছেন, সেই সময় তাঁরা এক মন্দিরে গিয়ে গোপনে বাকদানও সেড়ে ফেলেছিলেন। তাঁদের বাকদানে কথা জানতে পারলে তাঁর উত্তুঙ্গ কেরিয়ারের ক্ষতি হবে, মহিলা ভক্তদের হারাবেন - এই ভয়ে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চাননি অক্ষয়।
এতদূর এগিয়েও কেন ভেঙে গেল এই স্বপ্নের জুটি? নানা কারণ শোনা যায়। তবে মূল কারণ হিসেবে উঠে আসে বাস্তবেও অক্ষয়ের 'খিলারি' স্বভাব। ১৯৯৬ সালে তাঁদের সম্পর্ক যখন মধ্যগগনে সেইসময়ে অক্ষয়, রবিনা ও রেখা তিনজনে 'খিলাড়িও কা খিলাড়ি' ছবিটি করেছিলেন। এরপরই ফের রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়।
এরপরই ধৈর্য্যের বাধ ভাঙে রবিনার। শেষ হয়ে যায় সম্ভাবনাময় এই বলিউডি জুটির পথ চলা। তবে সম্পর্কে থাকা কালীন তাঁরা কতটা কাছাকাছি ছিলেন তা বারেবারেই প্রতিফলিত হয়েছে রূপোলি পর্দায়। দেখে নেওয়া যাক খিলাড়ি জুটির এরকমই কিছু উষ্ণতম গানের দৃশ্য -
সানা সানা সান্নানা (বারুদ, ১৯৯৪)
পাহাড়ি পরিবেশে বিভিন্ন রঙের ব্যাকলেস পোষাকে রবিনা। খোলা পিঠে আবার কাঁকড়াবিছের ট্যাটু। বিষের জ্বালা তো করবেই।
সুবাহ সে লেকার (মোহরা, ১৯৯৪)
এই সিনেমাতেই প্রথম তাঁদের একসঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছিল। আর এরপরেই শুরু হয়েছিল তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জন।
তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত্ মস্ত্ (মোহরা, ১৯৯৪)
মোহরা ফিল্মের আরও একটি গান। এই গানে তাঁর একেকটি ঠুমকায় সবাইকে ছিটকে দিয়েছিলেন রবিনা। এই গানটি কতটা জনপ্রিয় তাঁর প্রমাণ সম্প্রতি 'মেশিন' ছবিতে এই গানটিকে নতুন করে আয়োজন করা হয়েছে।
দে দিয়া দিল পিয়া (কীমাত, ১৯৯৮)
নির্জন গুহা। পিছনে জলের ধারা। তার সামনে সাদা শাড়ি ও ব্যাকলেস ব্লাউজে গানের তালে তালে রবিনার শরীরের মোচর ওখেলা শার্টে লোমশ বুকের অক্ষয়। উত্তাপ বাড়াতে আর কী চাই?
টিপ টিপ বরষা পানি (মোহরা, ১৯৯৪)
শিফনের শাড়িতে বৃষ্টি-সিক্ত রবিনার আবেদন চুড়ান্ত রূপ পেয়েছিল এই গানের দৃশ্য়ায়নে। তবে বলতেই হবে সেই সময়ে অক্ষয় ও রবিনার অফস্ক্রিন রসায়নই এই গানটিকে নয়ের দশকের চিরস্মরণীয় গান করে তুলেছে।