(ছবি) 'আম আদমি'দের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন যে ১৫ বলিউড তারকা!
বলিউড তারকাদের বিয়ে বা প্রেমের খবরে মানুষের আগ্রহ হয়তো সবচেয়ে বেশি। বলিউড তারকারা যদি বলিউড ব্যক্তিত্বকেই বিয়ে করেন তা নিয়ে তো কৌতুহল তৈরি হয় ঠিকই। কিন্তু বলিউডের কোনও তারকা যদি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে কারোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে যান তাহলে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে বেশি আলোচনা পর্যালোচনা শুরু হয়।[(ছবি) যে বলিউড তারকাদের দ্বিতীয় বিয়ে আলোড়ন ফেলেছিল]
আবার অনেক ক্ষেত্রে এমনটাও হয়, যে নিজেদের বিয়ে লো প্রোফাফাইল রাখতে বি টাউনের বাইরে থেকেই সঙ্গী নির্বাচন করেন। এর ফলে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন মিডিয়ার নজরদারির বাইরে রাখতে সমর্থ হন। [(ছবি)রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রেমকাহিনী]
অনেক তারকা রয়েছেন, যারা হয়তো নিজেদের সহ-অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এবং দেখা গিয়েছে সেই সম্পর্ক খুব সুখকর হয়নি। আর তাই অতীতের সম্পর্ক থেকে শিক্ষা নিয়েই নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছেন বলিউড জগতের বাইরে বেরিয়ে। অনেকে আবার রয়েছেন যাঁরা নিজেদের ছোটবেলার সঙ্গী-বা সঙ্গীনীকে বিয়ে করেছেন। [(ছবি) জেনে নিন কোন কোন বলিউড জোড়ির বয়সের আকাশ-পাতাল ফারাক]
আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন ১৫ জন বলিউড তারকাকে যারা বলিউডের বাইরে থেকেই জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছেন।
মাধুরী দীক্ষিত- শ্রীরাম নেনে
যখন মাধুরী দীক্ষিত নিজের বিয়ের খবর ঘোষণা করেছিলেন, তখন গোটা দেশ বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ডাঃ শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করেন মাধুরী। বর্তমানে আবার ভারতে ফিরে এসেছেন। বলিউডেও ফের কাজ করতে শুরু করেছেন।
অনিল কাপুর-সুনীতা কাপুর
একসময়ে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে অনিল কাপুর একের পর এক হিট দিয়েছেন বক্স অফিসে। অনেকে তো ভাবতে শুরু করেছিলেন অনিল কাপুর হয়তো মাধুরীকেই বিয়ে করবেন। কিন্তু তারা জানতেন না ১৯৮৪ সালেই ফ্যাশন ডিজাইনার সুনীতা কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন অনিল কাপুর।
জুহি চাওলা - জয় মেহতা
শিল্পপতি জয় মেহতার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা। ১৯৯৭ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
জিতেন্দ্র-শোভা কাপুর
গুজব ছিল সেই সময় অভিনেত্রী হেমা মালিনীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন জিতেন্দ্র। কিন্তু যদিও পরে তিনি শোভা কাপুরকে বিয়ে করেন। সেই সময়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান সেবিকা ছিলেন।
ইরফান খান-সুতপা শিকদার
১৯৯৫ সালে লেখিকা সুতপা শিকদারকে বিয়ে করেন ইরফান খান।
রবিনা টন্ডন-অনিল থাডানি
অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর কাজের দিক থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবেও খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন রবিনা। এমন সময় ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটার অনিল থাডানির সঙ্গে রবিনার বিয়ের খবরে শুধু ওঁর ঘণিষ্ঠ মহলই নয়, বরং গোটা বলিউড চমকে গিয়েছিল।
বিবেক ওবেয়য়-প্রিয়াঙ্কা আলবা
ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতির পর আর বলিউডের কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কথা ভাবেনওনি বিবেক। কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আলবার সঙ্গে এর পরে বিয়ে করেন বিবেক।
শাহিদ কাপুর-মীরা রাজপুত
সম্প্রতি দিল্লির মেয়ে মীরা রাজপুতকে ধুমধাম করে বিয়ে করলেন শাহিদ কাপুর। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোনাক্ষী সিনহা, বিদ্যা বালান আরও অনেকের সঙ্গে শাহিদের নাম জড়িয়েছিল, কিন্তু সবাইকে ছেড়ে কোন মীরা রাজপুতকে বিয়ে করতে চলেছেন শাহিদ তা নিয়ে আম জনতা এমনতী ইন্ডাস্ট্রিতেও কৌতুহলের শেষ ছিল না।
শিল্পা শেঠী-রাজ কুন্দ্রা
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠী ব্রিটিশ-ভারতীয় শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে বিয়ে করেছেন। আইপিএল-এ দম্পতির একটি দল কেনায় চর্চায় এসেছিলেন রাজ কুন্দ্রাও।
গোবিন্দ -সুনীতা
১৯৮৭ সালে সুনীতার সঙ্গে বিয়ে হয় গোবিন্দর। গোবিন্দর প্রেমে পড়েছিলেন সুনীতা। যদিও বিয়ের পরেও চার বছর তার বিয়ের খবর গোপন ছিল।
ইমরান হাসমি - পরভিন সাহানি
সাড়ে ৬ বছরের সম্পর্কের পরে পারভিনকে ২০০৬ সালে বিয়ে করেন ইমরান।
সুনীল শেঠি- মানা শেঠি
১৯৯১ সালে মানা শেঠির সঙ্গে বিয়ে হয় সুনীলের। একটি সংস্থার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মানা। সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন্ডিয়া নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও চালান মানা।
এষা দেওয়ল - ভারত তখটানি
২০১২ সালে মুম্বইয়ের শিল্পপতি ভারত তখটানির সঙ্গে বিয়ে করে ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীর মেয়ে তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী এষা দেওয়ল। ১০ বছর একে অপরকে ডেট করার পর বিয়ে করেন তারা।
আয়েষা টাকিয়া- ফারহান আজমি
দীর্ঘ সময়ের বয়ফ্রেন্ড তথা রেস্তোরাঁর মালিক ফারহানের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে করে আয়েষা। ফারহানের আরও একটি পরিচয় আছে, আর তা হল, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমির ছেলে ফরহান।
মুমতাজ-ময়ূর মাধানী
বিজনেস টাইকুন ময়ূর মাধানীকে বিয়ে করেছিলেন বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রী মুমতাজ। অনেকে মনে করেন মুমতাজের রূপ ও গ্ল্যামারের জন্যই শুধু তিনি তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মুমতাজের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যখন ক্যানসারের জন্য তার চুল সব ঝরে গিয়েছিল, ভ্রুতে কোনও চুল ছিল না। চোখের পাতার সব চুলও পরে গিয়েছিল।
একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি কখনও ভুলব না, ওই অবস্থায় ও আমাকে একটা শিশুর মতো জড়িয়ে ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসাবে বর্ণনা করেছিল। আমি জানি আমাকে ঠিক কেমন দেখতে লাগছিল, কিন্তু তাও ও আমাকে সবচেয়ে সুন্দর নারী হওয়ার অনুভূতি অনুভব করিয়েছিল।"