
যে প্রেমের কাহিনি নিয়ে ফিল্ম তৈরি করেছিলেন সেই দাম্পত্য ভাঙে একাধিক পরকীয়ায়! বহু গুঞ্জন এই পরিচালককে ঘিরে
বলিউডে কোনও সেলেবের বিয়ে নিঃসন্দেহে জন সাধারণের নজর কাড়ে। বিয়ের রাজকীয় সমারোহ থেকে আমন্ত্রিতদের তালিকায় কারা কারা থাকছেন , তা নিয়েও থাকে কৌতূহল। এদিকে, শুধু যে বিয়ে তা নয়, বিয়ের আগে সেই সেলেবের প্রেম পর্বও বারবার বলিউডের নামী গসিপের মধ্যে পড়ে যায়। এমনই এক বিয়ে হয়েছিল মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে। সাল ১৯৮৬। পাত্রের নাম মহেশ ভাট ও পাত্রী সোনি রাজদান। তবে, বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক মহেশের এই বিয়ের আগে ও পরে রয়েছে একাধিক বিতর্কিত পর্ব। একনজরে দেখা যাক সেই বিতর্কিত কিছু দিক।

'আশিকি' র কাহিনি!
১৯৯০ সালে মুক্তি পায় আশিকি ছবিটি। মহেশ ভাট পরিলাচিত এই ছবি নাকি তাঁর সঙ্গে কিরণ ভাট (লরিয়েন ব্রাইট) এর প্রেম কাহিনি নিয়ে তৈরি। এমনই দাবি বলিউডের বহু গুঞ্জনের। বলিউডে পা রাখার বহু আগে মহেশের সঙ্গে মুম্বইয়ের এক অনাথ শিশুদের স্কুলের পড়ুয়া লরিয়ান ব্রাইটের আলাপ হয়। ২০ বছর বয়সে বিয়ে করে ফেলেন মহেশ।

সুখের দাম্পত্য
লরিয়ানের সঙ্গে সুখের দাম্পত্যের সঙ্গে সঙ্গেই ২১ বছর বয়সে বাবা হন মহেশ। বলছে ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন। সেই সময় ঘর আলো করে জন্ম নেন পূজা। তবে, ব্যক্তিগত জীবন মহেশকে সুখী করলেও পেশাগত জীবনে হতাশ হয়ে পড়েন মহেশ। একের পর এক ছবি ফ্লপ হতে থাকে তাঁর। অবসাদে চলে যান মহেশ।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বাড়ায় দাম্পত্যের তিক্ততা!
পূজার পরও মহেশের সংসারে তখন তাঁর ছোট একটি ছেলের জন্ম হয়েছে। এদিকে, ইন্ডাস্ট্রিতে পর পর ধাক্কা খাওয়া মহেশ তখন ধীরে ধীরে পরভিন ববির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় লিপ্ত হচ্ছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। এরই মাঝে পরভিনের সঙ্গে এক সুপারস্টারের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চড়তে থাকে। আঁচ পড়ে পরভিন-মহেশের সম্পর্কে।

চড়তে থাকে গুঞ্জন
এদিকে, মহেশ ভাটের সঙ্গে পরভিন বাবির সম্পর্ক নিয়ে যখন মিডিয়ায় নান বিতর্কিত খবর উঠে আসতে শুরু করে, তখনই দেখা যায় যে মহেশ একদিন পরভিনের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। সেই সময়, পরভিন তাঁকে আটকাতে যান বলেও দেখা যায়। এমনই সমস্ত গসিপ ইন্ডাস্ট্রির আনাচ কানাচ ঘোরাফেরা করেছে।

'সারাংশ' এ কী দাঁড়াল!
এরপর মহেশের জীবনে একের পর এক হিট চবির নাম উঠে আসতে থাকে। চর্চা শুরু হয় তাঁর পরিচালনা গুণের। ততদিনে পূজা ও রাহুলের মা লরিয়ানের সঙ্গে মহেশের দাম্পত্য কার্যত তলানিতে। এই সময় মহেশের জীবনে আসে সোনি রাজদান।

সোনি রাজদান ও মহেশের প্রেম
১৯৮৪ সালের ছবি 'সারংশ'। ছবিটিতে অসামান্য অভিনয়ে সকলের মন জয় করেন সোনি রাজদান। মহেশ ভাট পরিচালিত এই ছবির হাত ধরেই সোনির সঙ্গে মহেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। ছড়িয়ে পড়তে থাকে সোনি ও মেহেশের প্রেম পর্বের কাহিনি।

মহেশ-সোনি বিয়ের পর্ব
এরপর মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে এক ছোট করে আয়োজিত বিবাহ পর্বে সোনিকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেন মহেশ। বিয়ে হয় মুসলিম মতে। এমনই খবর শোনা যেতে থাকে। গুঞ্জনে শোনা যায়, এই বিয়ে এতটাই গোপনে হয় যে , মহেশের প্রথম স্ত্রী লরিয়ান জানতে পারেননি। পরবর্তীকালে এই বিয়ের কথা এক ম্যাগাজিনে প্রথম প্রকাশিত হয় বলে জানা যায়।